০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে কর্মকর্তা নিয়োগ করতে চায় বিএসইসি চেয়ারম্যান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • / ১০৪৩৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিজস্ব কর্মকর্তাদের ওপর নিরঙ্কুশ নির্ভরশীল হতে চান না খোদ বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। কমিশনের কাজের উন্নয়ন ও গতিশীলতা আনতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ৩ জন নির্বাহী পরিচালক, ৩ জন পরিচালক, ১ জন কমিশন সচিব এবং ১২ জন যুগ্ম/অতিরিক্ত পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা নিয়োগ করতে চান। এজন্য দ্রুত পদায়নের দাবি জানিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করার কথা জানান তিনি। এক্ষেত্রে কমিশনের অনেক বিষয় গোপনীয়তা বজায় থাকবে। দেশের পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিতে গত ৫ মার্চ সংঘটিত কার্যক্রম এবং এ জন্য কমিশনের তরফ থেকে নেওয়া পদক্ষেপ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে অবহিত করতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ দাবি জানিয়েছেন বিএইসি চেয়ারম্যান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সেই সঙ্গে বিএসইসিতে হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও দ্রুত প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফেরাতে নয় দফা সুপারিশ করেছে কমিশন। অর্থ উপদেষ্টার কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেছেন, বিভিন্ন গুরুতর অনিয়মের কারণে সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে অবসর দেওয়া হয়। এছাড়া সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও রেজাউল করিম, পরিচালক শেখ মাহবুব-উর-রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এবং এস কে মো. লুৎফুর কবির ও যুগ্ম পরিচালক মো. রশিদুল আলমের বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ শেয়ারবাজার লুটপাটে সহযোগিতার এবং অবৈধ সম্পদ গড়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এটি তদন্ত রিপোর্টে বেরিয়ে আসছে।

আরও পড়ুন: ভোরে গ্রেপ্তার, বিকেলে জামিন পেলেন বিএসইসি পরিচালক

ঘটনার দিন কমিশনের উচ্ছৃঙ্খল এবং উদ্ধত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাবেক নির্বাহী পরিচালকের অবসরের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। একই সঙ্গে তারা কমিশন যাদের শেয়ার কারসাজি ও অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে তা প্রত্যাহার এবং সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির সুপারিশ গ্রহণ না করতে চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অফিস ভাঙচুর চালায়।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে নজিরবিহীন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং চাকরি শৃঙ্খলার পরিপন্থি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম ইতোমধ্যে কমিশন গ্রহণ করেছে এবং ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় আরও কার্যক্রম গ্রহণ করা আবশ্যক বলে কমিশন মনে করে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে কর্মকর্তা নিয়োগ করতে চায় বিএসইসি চেয়ারম্যান

আপডেট: ১১:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিজস্ব কর্মকর্তাদের ওপর নিরঙ্কুশ নির্ভরশীল হতে চান না খোদ বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। কমিশনের কাজের উন্নয়ন ও গতিশীলতা আনতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ৩ জন নির্বাহী পরিচালক, ৩ জন পরিচালক, ১ জন কমিশন সচিব এবং ১২ জন যুগ্ম/অতিরিক্ত পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা নিয়োগ করতে চান। এজন্য দ্রুত পদায়নের দাবি জানিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করার কথা জানান তিনি। এক্ষেত্রে কমিশনের অনেক বিষয় গোপনীয়তা বজায় থাকবে। দেশের পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিতে গত ৫ মার্চ সংঘটিত কার্যক্রম এবং এ জন্য কমিশনের তরফ থেকে নেওয়া পদক্ষেপ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে অবহিত করতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ দাবি জানিয়েছেন বিএইসি চেয়ারম্যান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সেই সঙ্গে বিএসইসিতে হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও দ্রুত প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফেরাতে নয় দফা সুপারিশ করেছে কমিশন। অর্থ উপদেষ্টার কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেছেন, বিভিন্ন গুরুতর অনিয়মের কারণে সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে অবসর দেওয়া হয়। এছাড়া সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও রেজাউল করিম, পরিচালক শেখ মাহবুব-উর-রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এবং এস কে মো. লুৎফুর কবির ও যুগ্ম পরিচালক মো. রশিদুল আলমের বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ শেয়ারবাজার লুটপাটে সহযোগিতার এবং অবৈধ সম্পদ গড়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এটি তদন্ত রিপোর্টে বেরিয়ে আসছে।

আরও পড়ুন: ভোরে গ্রেপ্তার, বিকেলে জামিন পেলেন বিএসইসি পরিচালক

ঘটনার দিন কমিশনের উচ্ছৃঙ্খল এবং উদ্ধত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাবেক নির্বাহী পরিচালকের অবসরের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। একই সঙ্গে তারা কমিশন যাদের শেয়ার কারসাজি ও অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে তা প্রত্যাহার এবং সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির সুপারিশ গ্রহণ না করতে চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অফিস ভাঙচুর চালায়।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে নজিরবিহীন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং চাকরি শৃঙ্খলার পরিপন্থি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম ইতোমধ্যে কমিশন গ্রহণ করেছে এবং ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় আরও কার্যক্রম গ্রহণ করা আবশ্যক বলে কমিশন মনে করে।

ঢাকা/এসএইচ