০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে উপকূলের লোকজন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
  • / ৪১৮৬ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতংকে কক্সবাজারের উপকূল এলাকার লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু করেছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে জেলার ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার সদরের পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে শতাধিক মানুষ। শহরের নিচু এলাকা সমিতি পাড়া থেকে এসব লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে চলে এসেছে। এখানে আশ্রয় নেয়া শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের বাড়ি ঘর নিচু এলাকায়। সমুদ্রের পানিতে ডুবে যেতে পারে। তাই প্রাণ বাঁচাতে বাচ্চাদের নিয়ে আগেই চলে এসেছি।’

জহুরা বেগম নামে একজন বলেন, ‘আমার স্বামী অসুস্থ। তাই আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসলাম।’ তিনি বলেন- প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে বলা হচ্ছে, আজ সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড় শুরু হতে পারে। লোকজন আতংকের মধ্যে রয়েছে।’

কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গির আলম বলেন, সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মহেশখালীর মাতারবাড়ি, ধলঘাটা, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এবং সেন্টমার্টিনে লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজনকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রান্না করা এবং শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে । নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মোবাইল নম্বর- ০১৮৭২৬১৫১৩২। এছাড়াও সকল উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সোমবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার বিকেল থেকে প্রবল বর্ষণসহ ঝড়ো হাওয়া শুরু হতে পারে। এতে জেলার নিচু এলাকা ডুবে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তিনি জানান সেন্টমার্টিন দ্বীপকে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এখান থেকে ইতিমধ্যে আড়াই হাজার লোকজনেক টেকনাফে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যারা আশ্রয় গ্রহণ করবেন তাদের খাদ্য সামগ্রী দেয়া হবে। ৫৭৬ আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিতে পারবে। তিনি জানান, জেলার উপকূলীয় এলাকায় রেড ক্রিসেন্ট এর ৮,৬০০ স্বেচ্ছাসেবক ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তারা লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যানবাহন দিয়েও লোকজনকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি জানান- ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশংকাও রয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে উপকূলের লোকজন

আপডেট: ০২:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতংকে কক্সবাজারের উপকূল এলাকার লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু করেছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে জেলার ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার সদরের পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে শতাধিক মানুষ। শহরের নিচু এলাকা সমিতি পাড়া থেকে এসব লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে চলে এসেছে। এখানে আশ্রয় নেয়া শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের বাড়ি ঘর নিচু এলাকায়। সমুদ্রের পানিতে ডুবে যেতে পারে। তাই প্রাণ বাঁচাতে বাচ্চাদের নিয়ে আগেই চলে এসেছি।’

জহুরা বেগম নামে একজন বলেন, ‘আমার স্বামী অসুস্থ। তাই আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসলাম।’ তিনি বলেন- প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে বলা হচ্ছে, আজ সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড় শুরু হতে পারে। লোকজন আতংকের মধ্যে রয়েছে।’

কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গির আলম বলেন, সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মহেশখালীর মাতারবাড়ি, ধলঘাটা, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এবং সেন্টমার্টিনে লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজনকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রান্না করা এবং শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে । নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মোবাইল নম্বর- ০১৮৭২৬১৫১৩২। এছাড়াও সকল উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সোমবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার বিকেল থেকে প্রবল বর্ষণসহ ঝড়ো হাওয়া শুরু হতে পারে। এতে জেলার নিচু এলাকা ডুবে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তিনি জানান সেন্টমার্টিন দ্বীপকে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এখান থেকে ইতিমধ্যে আড়াই হাজার লোকজনেক টেকনাফে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যারা আশ্রয় গ্রহণ করবেন তাদের খাদ্য সামগ্রী দেয়া হবে। ৫৭৬ আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিতে পারবে। তিনি জানান, জেলার উপকূলীয় এলাকায় রেড ক্রিসেন্ট এর ৮,৬০০ স্বেচ্ছাসেবক ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তারা লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যানবাহন দিয়েও লোকজনকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি জানান- ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশংকাও রয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

ঢাকা/এসএম