০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

ইইউ প্রতিনিধিদলের সফর নির্বাচনের জন্য সহায়ক: তথ্যমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
  • / ৪১৮৮ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সফর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) তথ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) সম্মেলনকক্ষে ‘গন্তব্য: স্মার্ট বাংলাদেশ’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় ইইউ ও মার্কিন প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, ‘ইইউ প্রতিনিধিদল এসেছে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে। তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে এসেছে, তা নয়। তারা যে এসেছে, এটি আগামী নির্বাচনের জন্য সহায়ক। নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণেই তারা এসেছে, তারা পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তুতি হিসেবে এ সফরে এসেছেন। সুতরাং সেটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সহায়ক হবে।’

মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফর প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের নানাবিধ বহুমাত্রিক সহযোগিতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমাদের বাণিজ্য রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। রোহিঙ্গা সমস্যা, সেটি একটি মানবিক সমস্যা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি সেখানে গিয়েছেন। মূলত এসব বিষয়ের জন্যই তারা এসেছেন।

‘সেখানে অবশ্য নির্বাচন প্রসঙ্গেও আলোচনা হতে পারে। এগুলো আমাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে, সহযোগিতার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের আগমন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। মার্কিন প্রতিনিধিদলের আগমন আমাদের সহযোগতিার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ‘মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কথা হয়নি’

একদফা আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নতুন কিছু কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা মাঝেমধ্যেই এমন কর্মসূচি দেন। গত বছর একবার একদফা ঘোষণা করে বলেছিল যে, খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে এসে সভায় যোগ দেবেন। তারেক জিয়া উড়ে এসে সভায় বক্তব্য রাখবেন। কীভাবে উড়ে আসবে, সেই ব্যাখ্যা দেননি। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, সম্ভবত বোরাকে চড়ে আসবে বা অন্য কোনোভাবে আসবে। এসে তারপর যোগ দেবে। এরকম আরও অনেক কথা বলেছিল। কিন্তু সেই আন্দোলন গরুর হাটে মারা গেছে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বেগম জিয়ার শাস্তি যাখন নিশ্চিত হয়, তখনো এক দফা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সেটি হালে পানি পায়নি। আবার বেগম জিয়াকে মাঝেমধ্যে খুব অসুস্থ বানিয়ে, জীবন সংকটাপন্ন বলে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছে। সেগুলোও হালে পানি পায়নি। গতকাল তারা পুরোনো কথাই নতুন করে বলেছেন, সেটি সরকারের পদত্যাগ। এটি নতুন কিছু নয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি জিনিস অবশ্যই প্রণিধানযোগ্য, সেটি হচ্ছে- তারা (বিএনপি) যে দাবি দিয়েছে, সেখানে তারা বলছেন সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী, পরবর্তী সংসদ নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সংসদ বহাল থাকে। সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি দুরভিসন্ধিমূলক। সরকারের পদত্যাগ বিভিন্ন সময় বিরোধীরা চান, সেটি চাইতেই পারেন। বিভিন্ন দেশে সরকারের পদত্যাগ চাওয়া হয়। সরকারের পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার যে কারও আছে। কিন্তু সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি-দাওয়া প্রচণ্ড দুরভিসন্ধিমূলক।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

ইইউ প্রতিনিধিদলের সফর নির্বাচনের জন্য সহায়ক: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট: ০৪:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সফর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) তথ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) সম্মেলনকক্ষে ‘গন্তব্য: স্মার্ট বাংলাদেশ’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় ইইউ ও মার্কিন প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, ‘ইইউ প্রতিনিধিদল এসেছে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে। তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে এসেছে, তা নয়। তারা যে এসেছে, এটি আগামী নির্বাচনের জন্য সহায়ক। নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণেই তারা এসেছে, তারা পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তুতি হিসেবে এ সফরে এসেছেন। সুতরাং সেটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সহায়ক হবে।’

মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফর প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের নানাবিধ বহুমাত্রিক সহযোগিতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমাদের বাণিজ্য রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। রোহিঙ্গা সমস্যা, সেটি একটি মানবিক সমস্যা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি সেখানে গিয়েছেন। মূলত এসব বিষয়ের জন্যই তারা এসেছেন।

‘সেখানে অবশ্য নির্বাচন প্রসঙ্গেও আলোচনা হতে পারে। এগুলো আমাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে, সহযোগিতার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের আগমন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। মার্কিন প্রতিনিধিদলের আগমন আমাদের সহযোগতিার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ‘মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কথা হয়নি’

একদফা আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নতুন কিছু কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা মাঝেমধ্যেই এমন কর্মসূচি দেন। গত বছর একবার একদফা ঘোষণা করে বলেছিল যে, খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে এসে সভায় যোগ দেবেন। তারেক জিয়া উড়ে এসে সভায় বক্তব্য রাখবেন। কীভাবে উড়ে আসবে, সেই ব্যাখ্যা দেননি। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, সম্ভবত বোরাকে চড়ে আসবে বা অন্য কোনোভাবে আসবে। এসে তারপর যোগ দেবে। এরকম আরও অনেক কথা বলেছিল। কিন্তু সেই আন্দোলন গরুর হাটে মারা গেছে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বেগম জিয়ার শাস্তি যাখন নিশ্চিত হয়, তখনো এক দফা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সেটি হালে পানি পায়নি। আবার বেগম জিয়াকে মাঝেমধ্যে খুব অসুস্থ বানিয়ে, জীবন সংকটাপন্ন বলে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছে। সেগুলোও হালে পানি পায়নি। গতকাল তারা পুরোনো কথাই নতুন করে বলেছেন, সেটি সরকারের পদত্যাগ। এটি নতুন কিছু নয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি জিনিস অবশ্যই প্রণিধানযোগ্য, সেটি হচ্ছে- তারা (বিএনপি) যে দাবি দিয়েছে, সেখানে তারা বলছেন সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী, পরবর্তী সংসদ নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সংসদ বহাল থাকে। সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি দুরভিসন্ধিমূলক। সরকারের পদত্যাগ বিভিন্ন সময় বিরোধীরা চান, সেটি চাইতেই পারেন। বিভিন্ন দেশে সরকারের পদত্যাগ চাওয়া হয়। সরকারের পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার যে কারও আছে। কিন্তু সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি-দাওয়া প্রচণ্ড দুরভিসন্ধিমূলক।

ঢাকা/টিএ