০৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

ইউক্রেনকে গুচ্ছ বোমা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
  • / ১০৪২৬ বার দেখা হয়েছে

এবার ইউক্রেনকে বিতর্কিত গুচ্ছ বোমা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এ সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছেন, ইউক্রেনের অস্ত্র ভান্ডার শেষ হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বিতর্কিত এ সিদ্ধান্তে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বাইডেন।

ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ১২০টিরও বেশি দেশ। যুক্তরাষ্ট্রও বারবারই এই বোমা ব্যবহারের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও এখন অন্য সুর। মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্র এবার সেই অবস্থান থেকে একেবারেই ঘুরে দাঁড়ালো।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রাশিয়াকে জব্দ করতে এবার ইউক্রেনকে বিতর্কিত এই গুচ্ছ বোমা দিতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েও দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এ সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছেন, সিদ্ধান্ত নেয়াটা বেশ কঠিনই ছিল তার জন্য। ইউক্রেনের অস্ত্রভান্ডর ফুরিয়ে আসায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো বলে জানান বাইডেন।

বাইডেন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষের সম্ভাব্য ক্ষতি কমিয়ে আনতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এই বোমা ইউক্রেন বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করবে না।

ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে রাশিয়া।

কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে বারবার শক্তিশালী অস্ত্র চেয়ে আসছিল ইউক্রেন। নিজেদের অস্ত্রভান্ডার ফুরিয়ে আসার আগে দ্রুত সরবারহের আহ্বান জানিয়েছিল দেশটি।

গুচ্ছ বোমা তৈরির ক্ষেত্রে অনেকগুলো ছোট ছোট বোমাকে একটি রকেটে পুরে দেওয়া হয়। এরপর যন্ত্রের সাহায্যে এগুলো মাঝ আকাশ থেকে লক্ষ্যবস্তুতে ছোড়া হলে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: গ্যাস লিক করে প্রাণ গেল ১৬ জনের

ভেজা কিংবা নরম জায়গায় পড়লে অনেক সময় এই বোমা অবিস্ফোরিত থেকে যায়। যা ওই অঞ্চলে দীর্ঘ মেয়াদী ঝুঁকি তৈরি করে। ফলে যুদ্ধ পরবর্তী সময়েও এই ধরনের বোমায় অনেক প্রাণহানী ঘটে।

যুদ্ধক্ষেত্রে এর ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। মারণাস্ত্রটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করে এক দশকেরও বেশি সময় আগে একটি চুক্তিতে শতাধিক দেশ স্বাক্ষর করেছিল।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

ইউক্রেনকে গুচ্ছ বোমা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট: ১২:০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

এবার ইউক্রেনকে বিতর্কিত গুচ্ছ বোমা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এ সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছেন, ইউক্রেনের অস্ত্র ভান্ডার শেষ হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বিতর্কিত এ সিদ্ধান্তে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বাইডেন।

ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ১২০টিরও বেশি দেশ। যুক্তরাষ্ট্রও বারবারই এই বোমা ব্যবহারের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও এখন অন্য সুর। মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্র এবার সেই অবস্থান থেকে একেবারেই ঘুরে দাঁড়ালো।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রাশিয়াকে জব্দ করতে এবার ইউক্রেনকে বিতর্কিত এই গুচ্ছ বোমা দিতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েও দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এ সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছেন, সিদ্ধান্ত নেয়াটা বেশ কঠিনই ছিল তার জন্য। ইউক্রেনের অস্ত্রভান্ডর ফুরিয়ে আসায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো বলে জানান বাইডেন।

বাইডেন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষের সম্ভাব্য ক্ষতি কমিয়ে আনতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এই বোমা ইউক্রেন বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করবে না।

ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে রাশিয়া।

কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে বারবার শক্তিশালী অস্ত্র চেয়ে আসছিল ইউক্রেন। নিজেদের অস্ত্রভান্ডার ফুরিয়ে আসার আগে দ্রুত সরবারহের আহ্বান জানিয়েছিল দেশটি।

গুচ্ছ বোমা তৈরির ক্ষেত্রে অনেকগুলো ছোট ছোট বোমাকে একটি রকেটে পুরে দেওয়া হয়। এরপর যন্ত্রের সাহায্যে এগুলো মাঝ আকাশ থেকে লক্ষ্যবস্তুতে ছোড়া হলে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: গ্যাস লিক করে প্রাণ গেল ১৬ জনের

ভেজা কিংবা নরম জায়গায় পড়লে অনেক সময় এই বোমা অবিস্ফোরিত থেকে যায়। যা ওই অঞ্চলে দীর্ঘ মেয়াদী ঝুঁকি তৈরি করে। ফলে যুদ্ধ পরবর্তী সময়েও এই ধরনের বোমায় অনেক প্রাণহানী ঘটে।

যুদ্ধক্ষেত্রে এর ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। মারণাস্ত্রটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করে এক দশকেরও বেশি সময় আগে একটি চুক্তিতে শতাধিক দেশ স্বাক্ষর করেছিল।

ঢাকা/এসএ