০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইউক্রেনের যে শহর রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১০৩৯৫ বার দেখা হয়েছে

কয়েকদিন ধরে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সলেদার শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। লবন খনি সমৃদ্ধ শহরটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে সর্বশক্তি নিয়ে হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। এই শহরটিতে বিজয় অর্জন রাশিয়ার জন্য কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) জোর গলায় দাবি করেন, ‘সলেদারকে মুক্ত করেছেন তারা। ডনেস্ক অঞ্চল দখলের জন্য এই বিজয় রাশিয়ার জন্য গুরুত্ব বহন করে।’

কিন্তু ইউক্রেন এখনও মস্কোর এমন দাবির সত্যতা নিশ্চিত করে কোনও ঘোষণা দেয়নি। কিয়েভের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা সলেদার শহরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে এবং রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আরও জোরদার করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সলেদার মস্কোর জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো, এ প্রসঙ্গে রাশিয়ার সামরিক বিশ্লেষক ভিক্টর লিটোভকিন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, ‘সলেদারে এমন এক জায়গায় যা ডনেস্ক পিপলস রিপাবলিকের বৃহত্তম শহর ক্রামতোর্স্কে ঢোকার পথ খুলে দেবে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর জন্য।’

এই সামরিক বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘বাখমুত বিজয়ের পর ইউক্রেন থেকে ডনেস্ককে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করতে একটি আক্রমণাত্মক অভিযান প্রস্তুত করা হবে।’

উল্লেখ্য, ডনবাস অঞ্চলের ইউক্রেনের একটি শহর ডনেস্ক। ২০১৪ সালের পর থেকে এর কিছু অংশ মস্কো সমর্থিত রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে ছিল এটি। কিন্তু ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নতুন করে যুদ্ধে নামে মস্কো। ইউক্রেনের ডনবাসে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যোগ দেয় রুশ যোদ্ধারা। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। ডনস্ককে গত বছরের শেষ দিকে রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণাও দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আরও পড়ুন: ইরানের সাবেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

এই অঞ্চলটিতে মস্কোর হয়ে আক্রমণের সম্মুখভাগে নেতৃত্বে দিচ্ছে আলোচিত সশস্ত্র রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনার। যারা বাখমুতসহ বিভিন্ন শহরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বিদায়ী বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ইউক্রেন যুদ্ধে আলোচনা এসেছে সশস্ত্র ভাড়াটে গোষ্ঠীটি। এর প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।

এদিকে ভিক্টর লিটোভকিনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মস্কোভিত্তিক বিশ্লেষক পাভেল ফেলগেনহাওয়ার বলেন, ‘সলেদারকে ধরে রাখা হবে একটি ‘কৌশলগত বিজয়’। সামরিকভাবে ততটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও রাশিয়ার জন্য হবে মনস্তাত্ত্বিক বিজয়। সূত্র: আল জাজিরা

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

ইউক্রেনের যে শহর রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ

আপডেট: ০৭:১৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

কয়েকদিন ধরে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সলেদার শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। লবন খনি সমৃদ্ধ শহরটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে সর্বশক্তি নিয়ে হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। এই শহরটিতে বিজয় অর্জন রাশিয়ার জন্য কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) জোর গলায় দাবি করেন, ‘সলেদারকে মুক্ত করেছেন তারা। ডনেস্ক অঞ্চল দখলের জন্য এই বিজয় রাশিয়ার জন্য গুরুত্ব বহন করে।’

কিন্তু ইউক্রেন এখনও মস্কোর এমন দাবির সত্যতা নিশ্চিত করে কোনও ঘোষণা দেয়নি। কিয়েভের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা সলেদার শহরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে এবং রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আরও জোরদার করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সলেদার মস্কোর জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো, এ প্রসঙ্গে রাশিয়ার সামরিক বিশ্লেষক ভিক্টর লিটোভকিন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, ‘সলেদারে এমন এক জায়গায় যা ডনেস্ক পিপলস রিপাবলিকের বৃহত্তম শহর ক্রামতোর্স্কে ঢোকার পথ খুলে দেবে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর জন্য।’

এই সামরিক বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘বাখমুত বিজয়ের পর ইউক্রেন থেকে ডনেস্ককে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করতে একটি আক্রমণাত্মক অভিযান প্রস্তুত করা হবে।’

উল্লেখ্য, ডনবাস অঞ্চলের ইউক্রেনের একটি শহর ডনেস্ক। ২০১৪ সালের পর থেকে এর কিছু অংশ মস্কো সমর্থিত রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে ছিল এটি। কিন্তু ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নতুন করে যুদ্ধে নামে মস্কো। ইউক্রেনের ডনবাসে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যোগ দেয় রুশ যোদ্ধারা। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। ডনস্ককে গত বছরের শেষ দিকে রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণাও দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আরও পড়ুন: ইরানের সাবেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

এই অঞ্চলটিতে মস্কোর হয়ে আক্রমণের সম্মুখভাগে নেতৃত্বে দিচ্ছে আলোচিত সশস্ত্র রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনার। যারা বাখমুতসহ বিভিন্ন শহরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বিদায়ী বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ইউক্রেন যুদ্ধে আলোচনা এসেছে সশস্ত্র ভাড়াটে গোষ্ঠীটি। এর প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।

এদিকে ভিক্টর লিটোভকিনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মস্কোভিত্তিক বিশ্লেষক পাভেল ফেলগেনহাওয়ার বলেন, ‘সলেদারকে ধরে রাখা হবে একটি ‘কৌশলগত বিজয়’। সামরিকভাবে ততটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও রাশিয়ার জন্য হবে মনস্তাত্ত্বিক বিজয়। সূত্র: আল জাজিরা

ঢাকা/এসএ