০৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

ইউরোপে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪২৪৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা রয়েছে পুরো বিশ্বজুড়েই। তবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বড় ক্রেতা ইউরোপ। এছাড়া বিশ্বের নতুন নতুন বাজারেও যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশি পোশাকপণ্য। ফলে ক্রমেই বড় হচ্ছে ক্রেতার তালিকা। দেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা আমেরিকার মতো ইউরোপেও বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি বেড়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সম্প্রতি ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ইউরোপের পোশাক আমদানির তথ্য প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ ছিল। এই সময়ে (জানুয়ারি-জুন) বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বাজারে পোশাক আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ (৪৪ দশমিক ৬০ শতাংশ) বেড়েছে। যেখানে তাদের বৈশ্বিক আমদানি বেড়েছে ২৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এর মাধ্যমে ৬ মাসে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ১১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ পোশাক আমদানির উৎস চীন। আলোচ্য সময়ে চীন থেকে ইউরোপের পোশাক আমদানি ২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। চীন থেকে এ সময়ে আমদানি হয় ১২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের পোশাকপণ্য।

অপরদিকে, তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাকের উৎস। আলোচ্য সময়ে তুরস্ক থেকে ইউরোপের পোশাক আমদানি ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে তুরস্ক থেকে ১০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ। এ সময়ে ইউরোপের অন্যান্য শীর্ষ পোশাক আমদানির উৎস- যেমন কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারত থেকে আমদানি যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, ৪০ দশমিক ১৫ শতাংশ, ৩২ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে।

ইইউ বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি নিয়ে কথা হয় তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, মূলত করোনা মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো এবং ভোক্তাদের কেনাকাটা বৃদ্ধির ফলে ইউরোপের খুচরা বিক্রি স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়েছে। তবে, মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দার কারণে ২০২২ সালের বাকি সময়টিতে প্রবৃদ্ধির এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা কতটা টিকে থাকবে, তা ভাবনার বিষয়।

এছাড়া, অস্বাভাবিক দীর্ঘ গ্রীষ্মের কারণে শীতের পোশাকের চাহিদাও ইউরোপে বর্তমানে তুলনামূলকভাবে কম। বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানি চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছিল। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের আমদানি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারে। তবে পরবর্তীতে অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে খুচরা বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় ক্রেতারা আপাতত সতর্ক অবস্থানে আছেন বলেও জানান মো. মহিউদ্দিন রুবেল।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রফতানি বেড়েছে ২৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে নীতি সুদহার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

ইউরোপে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ

আপডেট: ১২:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা রয়েছে পুরো বিশ্বজুড়েই। তবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বড় ক্রেতা ইউরোপ। এছাড়া বিশ্বের নতুন নতুন বাজারেও যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশি পোশাকপণ্য। ফলে ক্রমেই বড় হচ্ছে ক্রেতার তালিকা। দেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা আমেরিকার মতো ইউরোপেও বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি বেড়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সম্প্রতি ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ইউরোপের পোশাক আমদানির তথ্য প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ ছিল। এই সময়ে (জানুয়ারি-জুন) বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বাজারে পোশাক আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ (৪৪ দশমিক ৬০ শতাংশ) বেড়েছে। যেখানে তাদের বৈশ্বিক আমদানি বেড়েছে ২৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এর মাধ্যমে ৬ মাসে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ১১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ পোশাক আমদানির উৎস চীন। আলোচ্য সময়ে চীন থেকে ইউরোপের পোশাক আমদানি ২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। চীন থেকে এ সময়ে আমদানি হয় ১২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের পোশাকপণ্য।

অপরদিকে, তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাকের উৎস। আলোচ্য সময়ে তুরস্ক থেকে ইউরোপের পোশাক আমদানি ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে তুরস্ক থেকে ১০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ। এ সময়ে ইউরোপের অন্যান্য শীর্ষ পোশাক আমদানির উৎস- যেমন কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারত থেকে আমদানি যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, ৪০ দশমিক ১৫ শতাংশ, ৩২ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে।

ইইউ বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি নিয়ে কথা হয় তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, মূলত করোনা মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো এবং ভোক্তাদের কেনাকাটা বৃদ্ধির ফলে ইউরোপের খুচরা বিক্রি স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়েছে। তবে, মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দার কারণে ২০২২ সালের বাকি সময়টিতে প্রবৃদ্ধির এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা কতটা টিকে থাকবে, তা ভাবনার বিষয়।

এছাড়া, অস্বাভাবিক দীর্ঘ গ্রীষ্মের কারণে শীতের পোশাকের চাহিদাও ইউরোপে বর্তমানে তুলনামূলকভাবে কম। বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানি চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছিল। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের আমদানি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারে। তবে পরবর্তীতে অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে খুচরা বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় ক্রেতারা আপাতত সতর্ক অবস্থানে আছেন বলেও জানান মো. মহিউদ্দিন রুবেল।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রফতানি বেড়েছে ২৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে নীতি সুদহার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ঢাকা/এসএ