০৬:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

ইনস্টিটিউট থেকে নিজের নাম বাদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • / ১০২১৫ বার দেখা হয়েছে

মাদারীপুরের শিবচরে প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি থেকে নিজের নাম বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে প্রতিষ্ঠানটির নাম বদলে হচ্ছে ‘ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি’।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি আইন ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দেন।

পরে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে উপস্থাপিত শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি (শিফট) আইন-২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের জন্য আজকের সভায় উপস্থাপিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই বললেন- এটি তার নামে হবে না। এটি থেকে শেখ হাসিনা নাম বাদ দিয়ে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি আইন-২০২৪ এই নামে অনুমোদিত হয়েছে।

এই ইনস্টিটিউটটি মূলত আইসিটিসংক্রান্ত প্রযুক্তি, গবেষণা, প্রযুক্তি উৎপাদন, গবেষণায় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এটি হবে মাদারীপুরের শিবচরে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটির একটি গভর্নিং বর্ডি থাকবে এবং একজন প্রধান পৃষ্ঠপোষক থাকবেন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন: দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি নয়: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনার নামটা বাদ দিয়েছেন, তিনি তার নামটি গ্রহণ করেননি। তিনি এর আগেও একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওনার নামে নিষেধ করেছেন। যেহেতু এই জাতীয় একটি প্রথম প্রতিষ্ঠান হবে এবং এটির মূল উদ্দেশ্য এটি যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করতে পারে। মন্ত্রিসভা থেকে অনুরোধ করা হয়েছে (প্রধানমন্ত্রীর নামে) কিন্তু উনি সম্মত হননি। উনি উনার নামে প্রতিষ্ঠান না করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না। দুর্নীতি তো সবাই করে না। যারা দুর্নীতি করছে, সরকারের নজরে এলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মাহবুব হোসেন বলেন, দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরে সরকার কাউকে ছেড়ে দিয়েছে এমন নজির নেই।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

ইনস্টিটিউট থেকে নিজের নাম বাদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৬:০৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

মাদারীপুরের শিবচরে প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি থেকে নিজের নাম বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে প্রতিষ্ঠানটির নাম বদলে হচ্ছে ‘ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি’।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি আইন ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দেন।

পরে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে উপস্থাপিত শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি (শিফট) আইন-২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের জন্য আজকের সভায় উপস্থাপিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই বললেন- এটি তার নামে হবে না। এটি থেকে শেখ হাসিনা নাম বাদ দিয়ে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি আইন-২০২৪ এই নামে অনুমোদিত হয়েছে।

এই ইনস্টিটিউটটি মূলত আইসিটিসংক্রান্ত প্রযুক্তি, গবেষণা, প্রযুক্তি উৎপাদন, গবেষণায় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এটি হবে মাদারীপুরের শিবচরে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটির একটি গভর্নিং বর্ডি থাকবে এবং একজন প্রধান পৃষ্ঠপোষক থাকবেন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন: দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি নয়: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনার নামটা বাদ দিয়েছেন, তিনি তার নামটি গ্রহণ করেননি। তিনি এর আগেও একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওনার নামে নিষেধ করেছেন। যেহেতু এই জাতীয় একটি প্রথম প্রতিষ্ঠান হবে এবং এটির মূল উদ্দেশ্য এটি যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করতে পারে। মন্ত্রিসভা থেকে অনুরোধ করা হয়েছে (প্রধানমন্ত্রীর নামে) কিন্তু উনি সম্মত হননি। উনি উনার নামে প্রতিষ্ঠান না করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না। দুর্নীতি তো সবাই করে না। যারা দুর্নীতি করছে, সরকারের নজরে এলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মাহবুব হোসেন বলেন, দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরে সরকার কাউকে ছেড়ে দিয়েছে এমন নজির নেই।

ঢাকা/এসএইচ