০১:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ঈদের ৭ দিনে ডায়রিয়া আক্রান্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:০৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
  • / ১০৪০৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশে ডায়রিয়া আক্রান্তের হার অনেকটাই কমে এসেছে। তবে, ঈদের দিন থেকে পরবর্তী সাতদিনে রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোয় তিন হাজার ৩৮৯ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (১০ মে) আইসিডিডিআর,বি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত পহেলা মে ৬৩১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর ২ মে ৫৫৯ জন, ৩ মে ৪২৯ জন, ৪ মে ৬৪১ জন, ৫ মে ৫৪৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এরপর ৬ মে ৪৫৭ জন, ৭ মে ৪৭২ জন, ৮ মে ৪৩৮, ৯ মে ৪০৫ জন, এবং ১০ মে সকাল ৭টা পর্যন্ত ৫৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ৩ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত (৭ দিন) হাসপাতালটিতে মোট ৩ হাজার ৩৮৯ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ বিষয়ে আইসিডিডিআর,বির জনসংযোগ শাখার সিনিয়র ম্যানেজার তারিফুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশে ডায়রিয়া প্রকোপ অনেকটাই কমতে শুরু করেছে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও অনেকটা কমে এসেছে। ঈদে অন্যান্য সবাই ছুটি কাটালেও আমাদের চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা ডায়রিয়া প্রকোপ মোকাবিলায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।

তিনি বলেন, গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে ডায়রিয়া প্রকোপ বেড়ে গেলে রোগীদের চাপ সামলাতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। তখন হাসপাতালের নির্ধারিত শয্যার বাইরেও খোলা জায়গায় নতুন করে দুইটি তাঁবু স্থাপন করে চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করতে হয়েছে। তবে, এখন সংক্রমণ কমে আসায় দুইটি তাঁবুর মধ্যে থেকে একটি খুলে ফেলা হয়েছে।

হাসপাতালটিতে কর্মরত চিকিৎসক, আইসিডিডিআর,বির অ্যাসিস্ট্যান্ট সাইনটিস্ট ডা. শোয়েব বিন ইসলাম বলেন, আমাদের হাসপাতালে এখন দৈনিক ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫০০ এর নিচে চলে এসেছে। এটিকে আমরা মোটামুটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিই বলে থাকি। তবে, এখন তো অনেকেই ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন, তারা ঢাকায় ফিরলেই মূল পরিস্থিতিটা বলা যাবে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিকে আমরা সহনীয় বলতে পারি। পর্যায়ক্রমে আরও কমতে থাকবে।

সংক্রমণ কিছুটা কমে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এপিডেমিওলজিক্যাল ব্যাপারটাই এরকম। আমরা সাধারণত বলে থাকি, বর্ষা শুরুর আগে এবং পরে এই দুইটা সময় আমাদের ডায়রিয়া বাড়ে। এ সব সময়ে প্রকোপ দেখা দিলে সাধারণত এক মাস থেকে দুই মাসের মতো স্থায়ী হয়। এর বেশি তো আর থাকে না। এবারের প্রকোপটাও প্রায় দুই মাসের মতো থেকেছে।

জানা গেছে, মার্চের মাঝামাঝি থেকেই রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। গত ১৬ মার্চ সর্বপ্রথম এক হাজার ৫৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তির খবর জানিয়েছিল আইসিডিডিআর,বি। এরপর দিনই (১৭ মার্চ) আরও এক হাজার ১৪১ জন রোগী ভর্তি হন। এরপর রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। গত ৪ এপ্রিল রেকর্ডসংখ্যক ১ হাজার ৩৮৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।

শুরু থেকেই রোগীর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও গত ৮ এপ্রিলের পর থেকে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তির সংখ্যা কিছুটা কমতে থাকে। এরপর ১৪ এপ্রিল দীর্ঘ একমাস পর হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এক হাজারের নিচে নেমে আসে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

ঈদের ৭ দিনে ডায়রিয়া আক্রান্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার

আপডেট: ০৫:০৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশে ডায়রিয়া আক্রান্তের হার অনেকটাই কমে এসেছে। তবে, ঈদের দিন থেকে পরবর্তী সাতদিনে রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোয় তিন হাজার ৩৮৯ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (১০ মে) আইসিডিডিআর,বি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত পহেলা মে ৬৩১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর ২ মে ৫৫৯ জন, ৩ মে ৪২৯ জন, ৪ মে ৬৪১ জন, ৫ মে ৫৪৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এরপর ৬ মে ৪৫৭ জন, ৭ মে ৪৭২ জন, ৮ মে ৪৩৮, ৯ মে ৪০৫ জন, এবং ১০ মে সকাল ৭টা পর্যন্ত ৫৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ৩ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত (৭ দিন) হাসপাতালটিতে মোট ৩ হাজার ৩৮৯ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ বিষয়ে আইসিডিডিআর,বির জনসংযোগ শাখার সিনিয়র ম্যানেজার তারিফুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশে ডায়রিয়া প্রকোপ অনেকটাই কমতে শুরু করেছে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও অনেকটা কমে এসেছে। ঈদে অন্যান্য সবাই ছুটি কাটালেও আমাদের চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা ডায়রিয়া প্রকোপ মোকাবিলায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।

তিনি বলেন, গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে ডায়রিয়া প্রকোপ বেড়ে গেলে রোগীদের চাপ সামলাতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। তখন হাসপাতালের নির্ধারিত শয্যার বাইরেও খোলা জায়গায় নতুন করে দুইটি তাঁবু স্থাপন করে চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করতে হয়েছে। তবে, এখন সংক্রমণ কমে আসায় দুইটি তাঁবুর মধ্যে থেকে একটি খুলে ফেলা হয়েছে।

হাসপাতালটিতে কর্মরত চিকিৎসক, আইসিডিডিআর,বির অ্যাসিস্ট্যান্ট সাইনটিস্ট ডা. শোয়েব বিন ইসলাম বলেন, আমাদের হাসপাতালে এখন দৈনিক ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫০০ এর নিচে চলে এসেছে। এটিকে আমরা মোটামুটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিই বলে থাকি। তবে, এখন তো অনেকেই ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন, তারা ঢাকায় ফিরলেই মূল পরিস্থিতিটা বলা যাবে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিকে আমরা সহনীয় বলতে পারি। পর্যায়ক্রমে আরও কমতে থাকবে।

সংক্রমণ কিছুটা কমে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এপিডেমিওলজিক্যাল ব্যাপারটাই এরকম। আমরা সাধারণত বলে থাকি, বর্ষা শুরুর আগে এবং পরে এই দুইটা সময় আমাদের ডায়রিয়া বাড়ে। এ সব সময়ে প্রকোপ দেখা দিলে সাধারণত এক মাস থেকে দুই মাসের মতো স্থায়ী হয়। এর বেশি তো আর থাকে না। এবারের প্রকোপটাও প্রায় দুই মাসের মতো থেকেছে।

জানা গেছে, মার্চের মাঝামাঝি থেকেই রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। গত ১৬ মার্চ সর্বপ্রথম এক হাজার ৫৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তির খবর জানিয়েছিল আইসিডিডিআর,বি। এরপর দিনই (১৭ মার্চ) আরও এক হাজার ১৪১ জন রোগী ভর্তি হন। এরপর রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। গত ৪ এপ্রিল রেকর্ডসংখ্যক ১ হাজার ৩৮৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।

শুরু থেকেই রোগীর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও গত ৮ এপ্রিলের পর থেকে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তির সংখ্যা কিছুটা কমতে থাকে। এরপর ১৪ এপ্রিল দীর্ঘ একমাস পর হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এক হাজারের নিচে নেমে আসে।

ঢাকা/এসএম