০৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

ঋণ করে সংসার চালাচ্ছে ৩৭ শতাংশ মানুষ: বিবিএস

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৫৫ বার দেখা হয়েছে

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রায় ৩৭ শতাংশ মানুষ ঋণ করে সংসার চালাচ্ছে। শহরের মানুষকে বেশি ঋণ করতে হচ্ছে। প্রতি পরিবারে গড়ে ৭৩ হাজার ৯৮০ টাকা ঋণ রয়েছে।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের অডিটোরিয়ামে বিবিএসের ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভের’ (এইচআইইএস- ২০২২) চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. মো. কাউছার আহমেদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ এমপিএইচ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের একটি পরিবার মাসে গড় আয় করে সাড়ে ৩২ হাজার টাকা। আয়ের বিপরীতে একটি পরিবারের ব্যয় সাড়ে ৩১ হাজার টাকা। অর্থাৎ একটি পরিবার মাসে এক হাজার টাকার মতো সঞ্চয় করে।

বিবিএস জানায়, দেশের প্রতিটি খানার গড় আয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এইচআইইএস ২০২২ জরিপের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী খানার মাসিক গড় আয় ৩২ হাজার ৪২২ টাকা, যা ২০১০ ও ২০১৬ সালের জরিপে ছিল যথাক্রমে ১১ হাজার ৪৭৯ এবং ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা।

এছাড়া এইচআইইএস ২০২২ অনুযায়ী গতবারের তুলনায় এবার প্রতিটি খানার মাসিক আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাসিক ব্যয়ও বেড়েছে। এইচআইইএস ২০২২ অনুযায়ী, বর্তমানে একটি খানার মাসিক ব্যয় ৩১ হাজার ৫০০ টাকা, যা ২০১০ ও ২০১৬ সালে ছিল যথাক্রমে ১১ হাজার ২০০ এবং ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা।

আরও পড়ুন: ৬৬১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার তেল-ডাল-গম কিনবে সরকার

সংস্থাটি জানায়, ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে’র ২০২২ এর তথ্য-উপাত্ত নিরীক্ষণে দেখা যায়, খানায় খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত ব্যয়ের ধারায় পরিবর্তন হয়েছে। খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০২২ সালে খাদ্য ব্যয়ের হার ৪৫.৮%, এবং খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ৫৪.২%। ২০১৬ সালে খাদ্যের জন্য ব্যয় ছিল ৪৭.৭% এবং খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ৫২.৩%।

২০২২ সালে চালের দৈনিক মাথাপিছু গড় ভোগের পরিমাণ ছিল ৩২৮.৯ গ্রাম; যা ২০১৬ সালে ছিল ৩৬৭.২ গ্রাম এবং ২০১০ সালে ছিল ৪১৬.০ গ্রাম। ২০০৫ সালে ছিল ৪৩৯.৬ গ্রাম এবং ২০০০ সালে ৪৫৮.৫ গ্রাম। অন্যদিকে, সবজি ও মাংসের ব্যবহার ধীরে ধীরে বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা গয়, প্রোটিন গ্রহণের গড় পরিমাণ বেড়েছে। ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী দৈনিক মাথাপিছু প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ ৭২.৫ গ্রাম, যা ২০১৬ সালে ছিল ৬৩.৮ গ্রাম। এছাড়া ২০১০ সালে ৬৬.২৬ গ্রাম, ২০০৫ সালে ৬২.৫২ গ্রাম ও ২০০০ সালে ছিল ৬২.৫০ গ্রাম ছিল।

ঢাকা/এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

ঋণ করে সংসার চালাচ্ছে ৩৭ শতাংশ মানুষ: বিবিএস

আপডেট: ০৫:৪৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রায় ৩৭ শতাংশ মানুষ ঋণ করে সংসার চালাচ্ছে। শহরের মানুষকে বেশি ঋণ করতে হচ্ছে। প্রতি পরিবারে গড়ে ৭৩ হাজার ৯৮০ টাকা ঋণ রয়েছে।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের অডিটোরিয়ামে বিবিএসের ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভের’ (এইচআইইএস- ২০২২) চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. মো. কাউছার আহমেদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ এমপিএইচ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের একটি পরিবার মাসে গড় আয় করে সাড়ে ৩২ হাজার টাকা। আয়ের বিপরীতে একটি পরিবারের ব্যয় সাড়ে ৩১ হাজার টাকা। অর্থাৎ একটি পরিবার মাসে এক হাজার টাকার মতো সঞ্চয় করে।

বিবিএস জানায়, দেশের প্রতিটি খানার গড় আয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এইচআইইএস ২০২২ জরিপের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী খানার মাসিক গড় আয় ৩২ হাজার ৪২২ টাকা, যা ২০১০ ও ২০১৬ সালের জরিপে ছিল যথাক্রমে ১১ হাজার ৪৭৯ এবং ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা।

এছাড়া এইচআইইএস ২০২২ অনুযায়ী গতবারের তুলনায় এবার প্রতিটি খানার মাসিক আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাসিক ব্যয়ও বেড়েছে। এইচআইইএস ২০২২ অনুযায়ী, বর্তমানে একটি খানার মাসিক ব্যয় ৩১ হাজার ৫০০ টাকা, যা ২০১০ ও ২০১৬ সালে ছিল যথাক্রমে ১১ হাজার ২০০ এবং ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা।

আরও পড়ুন: ৬৬১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার তেল-ডাল-গম কিনবে সরকার

সংস্থাটি জানায়, ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে’র ২০২২ এর তথ্য-উপাত্ত নিরীক্ষণে দেখা যায়, খানায় খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত ব্যয়ের ধারায় পরিবর্তন হয়েছে। খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০২২ সালে খাদ্য ব্যয়ের হার ৪৫.৮%, এবং খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ৫৪.২%। ২০১৬ সালে খাদ্যের জন্য ব্যয় ছিল ৪৭.৭% এবং খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ৫২.৩%।

২০২২ সালে চালের দৈনিক মাথাপিছু গড় ভোগের পরিমাণ ছিল ৩২৮.৯ গ্রাম; যা ২০১৬ সালে ছিল ৩৬৭.২ গ্রাম এবং ২০১০ সালে ছিল ৪১৬.০ গ্রাম। ২০০৫ সালে ছিল ৪৩৯.৬ গ্রাম এবং ২০০০ সালে ৪৫৮.৫ গ্রাম। অন্যদিকে, সবজি ও মাংসের ব্যবহার ধীরে ধীরে বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা গয়, প্রোটিন গ্রহণের গড় পরিমাণ বেড়েছে। ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী দৈনিক মাথাপিছু প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ ৭২.৫ গ্রাম, যা ২০১৬ সালে ছিল ৬৩.৮ গ্রাম। এছাড়া ২০১০ সালে ৬৬.২৬ গ্রাম, ২০০৫ সালে ৬২.৫২ গ্রাম ও ২০০০ সালে ছিল ৬২.৫০ গ্রাম ছিল।

ঢাকা/এসএম