০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ জুন ২০২৪

একুশে পদক পাচ্ছেন ২১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৯০ বার দেখা হয়েছে

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও দুই প্রতিষ্ঠানকে ২০২৩ সালের একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ বছর ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য তিনজন, শিল্পকলায় আটজন, শিক্ষায় এক ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান, সমাজসেবায় এক ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান এবং রাজনীতিতে দুজন একুশে পদক পাচ্ছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে একজন, সাংবাদিকতায় একজন, গবেষণায় একজন এবং ভাষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে একজন মনোনীত হয়েছেন।

‘ভাষা আন্দোলন’ ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পদক পাচ্ছেন খালেদা মনযুর-ই-খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুল হক (মরণোত্তর) ও হাজী মো. মজিবর রহমান।

‘শিল্পকলা’ ক্ষেত্রে পদক পেয়েছেন- মাসুদ আলী খান (অভিনয়), শিমূল ইউসুফ (অভিনয়), মনোরঞ্জন ঘোষাল (সংগীত), গাজী আব্দুল হাকিম (সংগীত), ফজল-এ-খোদা (সংগীত) (মরণোত্তর), জয়ন্ত চট্টপাধ্যায় (আবৃত্তি), নওয়াজীশ আলী খান, কনক চাঁপা চাকমা (চিত্রকলা)। ‘শিক্ষা’ ক্ষেত্রে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর)। জাতীয় জাদুঘরকেও এ ক্যটাগারিতে মনোনীত করা হয়েছে।

সমাজসেবায় পদক পাচ্ছেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। ব্যক্তি ক্ষেত্রে মো. সাইদুল হকও সমাজসেবায় একুশে পদক পাচ্ছেন। অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম (মরণোত্তর) এবং আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) ‘রাজনীতি’ ক্যটাগরিতে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

এছাড়া ‘মুক্তিযুদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর), ‘সাংবাদিকতা’য় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), ‘গবেষণা’য় ড. মো. আব্দুল মজিদ, ‘ভাষা ও সাহিত্য’ ক্ষেত্রে ড. মনিরুজ্জামান একুশে পদক পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: অনিয়মিত পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বন্ধে কাজ চলছে: তথ্যমন্ত্রী

নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ চার লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘একুশে পদক’। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

একুশে পদক পাচ্ছেন ২১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

আপডেট: ০৫:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও দুই প্রতিষ্ঠানকে ২০২৩ সালের একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ বছর ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য তিনজন, শিল্পকলায় আটজন, শিক্ষায় এক ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান, সমাজসেবায় এক ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান এবং রাজনীতিতে দুজন একুশে পদক পাচ্ছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে একজন, সাংবাদিকতায় একজন, গবেষণায় একজন এবং ভাষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে একজন মনোনীত হয়েছেন।

‘ভাষা আন্দোলন’ ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পদক পাচ্ছেন খালেদা মনযুর-ই-খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুল হক (মরণোত্তর) ও হাজী মো. মজিবর রহমান।

‘শিল্পকলা’ ক্ষেত্রে পদক পেয়েছেন- মাসুদ আলী খান (অভিনয়), শিমূল ইউসুফ (অভিনয়), মনোরঞ্জন ঘোষাল (সংগীত), গাজী আব্দুল হাকিম (সংগীত), ফজল-এ-খোদা (সংগীত) (মরণোত্তর), জয়ন্ত চট্টপাধ্যায় (আবৃত্তি), নওয়াজীশ আলী খান, কনক চাঁপা চাকমা (চিত্রকলা)। ‘শিক্ষা’ ক্ষেত্রে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর)। জাতীয় জাদুঘরকেও এ ক্যটাগারিতে মনোনীত করা হয়েছে।

সমাজসেবায় পদক পাচ্ছেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। ব্যক্তি ক্ষেত্রে মো. সাইদুল হকও সমাজসেবায় একুশে পদক পাচ্ছেন। অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম (মরণোত্তর) এবং আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) ‘রাজনীতি’ ক্যটাগরিতে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

এছাড়া ‘মুক্তিযুদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর), ‘সাংবাদিকতা’য় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), ‘গবেষণা’য় ড. মো. আব্দুল মজিদ, ‘ভাষা ও সাহিত্য’ ক্ষেত্রে ড. মনিরুজ্জামান একুশে পদক পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: অনিয়মিত পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বন্ধে কাজ চলছে: তথ্যমন্ত্রী

নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ চার লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘একুশে পদক’। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/এসএম