০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

এনআরবি ব্যাংকের সিএফও’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪১৩৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি এনআরবি ব্যাংকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারিতে সংশ্লিষ্টতার কারণে বেসরকারি  ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার গঠিত এক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে প্রধান অর্থ কর্মকর্তার পাশাপাশি ব্যাংকটির ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং ইউনিটের সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক একই ঘটনায় ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল। কারণ নির্ধারিত সীমার বেশী বিনিয়োগ করে ব্যাংকটি সিকিউরিটিজ আইনের পাশাপাশি ব্যাংক কোম্পানি আইনও লংঘন করেছে।

বেসরকারি ব্যাংকটি আইনী সীমার বাইরে গিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে। বিধি লংঘন করে কিনেছে বীমা খাতের কোম্পানি পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের বিপুল পরিমাণ শেয়ার। এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাংকটিকে জরিমানা করে।

একই বছরের নভেম্বর মাসে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আলোচিত বিনিয়োগের কারণে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন  হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়াকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বিএসইসির উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উপব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দীন। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

সম্প্রতি কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এনআরবি ব্যাংকের সিএফও কামরুল হাসান বহিরাগতদের সহযোগিতায় অনৈতিক ব্যবসায়িক কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাংকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহিরাগতসহ তিনি লাভবান হয়েছেন।

প্রতিবেদনে এনআরবি ব্যাংকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়। অন্যদিকে ব্যাংকটির ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং ইউনিটের সব সদস্য ও অন্য কর্মকর্তারা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। তাই তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন সময়ে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ে। এতে এনআরবি ব্যাংক জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর ২০২১ সালের ১৪ জুন ২১৫ টাকায় ওঠে, যা এক বছর আগেও ছিল ২৯ টাকা। এ সময়ে বীমা কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে সাত গুণের বেশি।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x

এনআরবি ব্যাংকের সিএফও’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

আপডেট: ০৩:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি এনআরবি ব্যাংকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারিতে সংশ্লিষ্টতার কারণে বেসরকারি  ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার গঠিত এক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে প্রধান অর্থ কর্মকর্তার পাশাপাশি ব্যাংকটির ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং ইউনিটের সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক একই ঘটনায় ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল। কারণ নির্ধারিত সীমার বেশী বিনিয়োগ করে ব্যাংকটি সিকিউরিটিজ আইনের পাশাপাশি ব্যাংক কোম্পানি আইনও লংঘন করেছে।

বেসরকারি ব্যাংকটি আইনী সীমার বাইরে গিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে। বিধি লংঘন করে কিনেছে বীমা খাতের কোম্পানি পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের বিপুল পরিমাণ শেয়ার। এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাংকটিকে জরিমানা করে।

একই বছরের নভেম্বর মাসে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আলোচিত বিনিয়োগের কারণে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন  হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়াকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বিএসইসির উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উপব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দীন। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

সম্প্রতি কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এনআরবি ব্যাংকের সিএফও কামরুল হাসান বহিরাগতদের সহযোগিতায় অনৈতিক ব্যবসায়িক কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাংকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহিরাগতসহ তিনি লাভবান হয়েছেন।

প্রতিবেদনে এনআরবি ব্যাংকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়। অন্যদিকে ব্যাংকটির ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং ইউনিটের সব সদস্য ও অন্য কর্মকর্তারা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। তাই তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন সময়ে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ে। এতে এনআরবি ব্যাংক জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর ২০২১ সালের ১৪ জুন ২১৫ টাকায় ওঠে, যা এক বছর আগেও ছিল ২৯ টাকা। এ সময়ে বীমা কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে সাত গুণের বেশি।

ঢাকা/এসআর