০৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৮ কোটি ডলার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • / ১০৩৭০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

দেশে চলমান ডলার সংকটের মধ্যেই একটু স্বস্তি যোগাচ্ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহ। চলতি বছরের শুরু থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে বইছিল সুবাতাস। রেমিট্যান্সের এ উর্ধ্বগতি এপ্রিলে হ্রাস পেয়েছে। এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। গত মার্চ মাসে প্রবাসীরা ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। মাসের ব্যবধানে প্রবাসীরা ৩৩ কোটি ৪২ লাখ ডলার কম রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার।

এদিকে এপ্রিলের প্রথম ৭ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলো ৪৭ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। এরপর ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পাঠায় ৪৮ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল আসে ৩১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।

প্রবাসীরা রোজার শুরু ও মাঝামাঝিতে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। শেষ দিকে তা কমে গেছে। যে কারণে চলতি মাসের প্রথমদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশি থাকলেও শেষ দিকে কম ছিল। এর ফলে এপ্রিল মাসে এর আগের মাসের চেয়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমেছে।

আরও পড়ুন: ১২০০ ডলার সঙ্গে নিতে পারবেন হজযাত্রীরা

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে বৈধপথে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। যা এর আগের মাসের তুলনায় ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার বেশি ছিল। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার।

এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই- মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫২৯ কোটি ডলার। অর্থাৎ এই সময়ে ৭৪ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।

এর আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

একই সাথে হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তবে দুইটি বড় ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল ফিতর শেষ হয়েছে। সামনে রয়েছে ঈদুল আজহা। এ কারণে আগামীতে রেমিট্যান্স বেশি পরিমাণ আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৮ কোটি ডলার

আপডেট: ০৭:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

দেশে চলমান ডলার সংকটের মধ্যেই একটু স্বস্তি যোগাচ্ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহ। চলতি বছরের শুরু থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে বইছিল সুবাতাস। রেমিট্যান্সের এ উর্ধ্বগতি এপ্রিলে হ্রাস পেয়েছে। এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। গত মার্চ মাসে প্রবাসীরা ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। মাসের ব্যবধানে প্রবাসীরা ৩৩ কোটি ৪২ লাখ ডলার কম রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার।

এদিকে এপ্রিলের প্রথম ৭ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলো ৪৭ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। এরপর ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পাঠায় ৪৮ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল আসে ৩১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।

প্রবাসীরা রোজার শুরু ও মাঝামাঝিতে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। শেষ দিকে তা কমে গেছে। যে কারণে চলতি মাসের প্রথমদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশি থাকলেও শেষ দিকে কম ছিল। এর ফলে এপ্রিল মাসে এর আগের মাসের চেয়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমেছে।

আরও পড়ুন: ১২০০ ডলার সঙ্গে নিতে পারবেন হজযাত্রীরা

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে বৈধপথে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। যা এর আগের মাসের তুলনায় ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার বেশি ছিল। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার।

এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই- মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫২৯ কোটি ডলার। অর্থাৎ এই সময়ে ৭৪ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।

এর আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

একই সাথে হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তবে দুইটি বড় ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল ফিতর শেষ হয়েছে। সামনে রয়েছে ঈদুল আজহা। এ কারণে আগামীতে রেমিট্যান্স বেশি পরিমাণ আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/টিএ