০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এবার ভারতে ইলিশ পাঠাবে না বাংলাদেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪৭:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৪১২ বার দেখা হয়েছে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে এবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনো ইলিশ মাছ যাবে না। এছাড়া আমরা কোনো মাংস আমদানি করতে চাচ্ছি না। এখন লাখ লাখ খামারি গবাদিপশু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, কিছু অর্থলোভী ব্যবসায়ী মাংস আমদানির পাঁয়তারা করছে। ওই চক্রের তৎপরতা থেমে নেই। প্রান্তিক খামারিদের বাঁচাতে সরকারিভাবে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে আমরা মাংস আমদানি করব না।

উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে মাংসের দাম কমানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা ফরিদা বলেন, নতুন করে হিমায়িত গরুর মাংস আমদানির পক্ষে একটি পক্ষ তৎপরতা শুরু করেছে। আমরা কোনো মাংস আমদানি করতে চাচ্ছি না। এ দেশে এখন লাখ লাখ খামারি গবাদিপশু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত। প্রতি বছর কোরবানির ঈদে ২০-২৫ লাখ পশু অবিক্রীত থেকে যায়। এমন পরিস্থিতিতে দাম বৃদ্ধির অজুহাত তুলে মাংস আমদানি করলে মাংসের চাবিকাঠি চলে যেতে পারে অন্য দেশের কাছে।

আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি মামুন ও শহীদুল হক রিমান্ডে

হিমায়িত মাংসের পুষ্টিগুণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফরিদা আখতার বলেন, বিদেশ থেকে এসব মাংস এসে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগবে। সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না করার কারণে অনেক ক্ষেত্রে গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। ফলে এসব খাবারে নানা রোগ-ব্যাধি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে মাংসের দাম কমানোর বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা সচেতন আছি, জনগণ যেন স্বল্প ও ন্যায্যমূল্যে মাংস খেতে পারে এবং খামারিরা টিকে থাকতে পারে।

গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪৯ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ২ হাজার ৯০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টন। আগের বছরগুলোতেও একই পরিস্থিতি হয়েছিল। অনুমোদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

এবার ভারতে ইলিশ পাঠাবে না বাংলাদেশ

আপডেট: ১১:৪৭:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে এবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনো ইলিশ মাছ যাবে না। এছাড়া আমরা কোনো মাংস আমদানি করতে চাচ্ছি না। এখন লাখ লাখ খামারি গবাদিপশু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, কিছু অর্থলোভী ব্যবসায়ী মাংস আমদানির পাঁয়তারা করছে। ওই চক্রের তৎপরতা থেমে নেই। প্রান্তিক খামারিদের বাঁচাতে সরকারিভাবে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে আমরা মাংস আমদানি করব না।

উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে মাংসের দাম কমানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা ফরিদা বলেন, নতুন করে হিমায়িত গরুর মাংস আমদানির পক্ষে একটি পক্ষ তৎপরতা শুরু করেছে। আমরা কোনো মাংস আমদানি করতে চাচ্ছি না। এ দেশে এখন লাখ লাখ খামারি গবাদিপশু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত। প্রতি বছর কোরবানির ঈদে ২০-২৫ লাখ পশু অবিক্রীত থেকে যায়। এমন পরিস্থিতিতে দাম বৃদ্ধির অজুহাত তুলে মাংস আমদানি করলে মাংসের চাবিকাঠি চলে যেতে পারে অন্য দেশের কাছে।

আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি মামুন ও শহীদুল হক রিমান্ডে

হিমায়িত মাংসের পুষ্টিগুণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফরিদা আখতার বলেন, বিদেশ থেকে এসব মাংস এসে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগবে। সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না করার কারণে অনেক ক্ষেত্রে গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। ফলে এসব খাবারে নানা রোগ-ব্যাধি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে মাংসের দাম কমানোর বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা সচেতন আছি, জনগণ যেন স্বল্প ও ন্যায্যমূল্যে মাংস খেতে পারে এবং খামারিরা টিকে থাকতে পারে।

গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪৯ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ২ হাজার ৯০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টন। আগের বছরগুলোতেও একই পরিস্থিতি হয়েছিল। অনুমোদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম।

ঢাকা/এসএইচ