এবার লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজে বিনিয়োগকারীদের অর্থে নয়-ছয়!
- আপডেট: ০৯:২৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
- / ৪৩৩৬ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: এবার দেশের অন্যতম ব্রোকারেজ হাউজ লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের হিসাবে পৌনে ৬ কোটি টাকার গরমিল পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ডিএসই’র মনিটরিং অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স ডিপার্টমেন্ট থেকে বুধবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এসআরআই ডিপার্টমেন্ট, ডিএসই’র এমডি, সিডিবিএলসহ সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মঙ্গলবার লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডে নিয়মিত তদন্ত করতে যায় ডিএসইর তদন্ত দল। সেখানে দলটি লঙ্কাবাংলার ২৮ আগস্টের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে গরমিল পায়। হিসাবে এই ঘাটতির পরিমাণ ৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ৩১১ টাকা।
সুপারিশ অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা নিলে প্রতিষ্ঠানটি দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সাতটি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত-উল ইসলাম স্বাক্ষরিত ২২ মার্চের চিঠির নির্দেশনা অনুযায়ী, লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ অর্থ ও শেয়ার ঘাটতি থাকার কারণে আইপিও কোটা বাতিলসহ সাতটি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। এর মধ্যে মার্জিন রেগুলেশনের ফ্রি লিমিট সুবিধাও রয়েছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে মালিকানার বিপরীতে ডিভিডেন্ড প্রাপ্তি, আইপিও/কিউআইও কোটা, স্টেকহোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর (ডিপি) নিবন্ধন সনদ নবায়ন এবং নতুন শাখা বা ডিজিটাল বুথ খোলার সুবিধা স্থগিত থাকবে।
আরও পড়ুনঃ ‘ডিভিডেন্ড প্রদানের বাধ্যবাধকতার কারণেই ভালো কোম্পানির তালিকাভূক্তিতে অনীহা’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং অনেকগুলোর গ্রাহক হিসাবে অনিয়ম পেয়েছে ডিএসই ও বিএসইসি। এজন্য যেসব সিকিউরিটিজ হাউজে গ্রাহক হিসাবে গড়মিল পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে বেশকিছু শাস্তির বিষয় উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিএসইসি।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্রোকারেজ হাউজের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতির পাশাপাশি ডিপজিটরি অংশগ্রহণকারী হিসেবে গ্রাহকদের সিকিউরিটিজে ঘাটতি পাওয়া গেলে সেগুলোকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
যেসব শাস্তি দেওয়া হবেঃ
১। ব্রোকারেজ হাউজ মার্জিন ঋণের আওতায় যে ফ্রি লিমিট সুবিধা পায় সেটা স্থগিত করা হবে।
২। দোষী ব্রোকারেজ হাউজ তাদের স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানার লভ্যাংশ পাবে না।
৩। দোষী ব্রোকারেজ হাউজ যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসেবে আইপিওতে যে সুবিধা পায় সেটি বন্ধ থাকবে।
৪। তাদের সনদ নবায়ন স্থগিত করা হবে। নতুন শাখা খুলতে পারবে না।
৫। ঘাটতি পূরণ করার পর এক বছর এসব হাউজকে তদারক করতে বলেছে বিএসইসি।
এছাড়া ঘাটতি পূরণ করার পর হাউজগুলোর সমন্বিত গ্রাহক হিসাব ও ডিপজিটারি অংশগ্রহণকারী হিসাব প্রতি মাসে দুবার খতিয়ে দেখতে বলেছে বিএসইসি।
বিনিয়োগকারীর টাকা ও শেয়ারের ঘাটতি পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত সুযোগ সুবিধা বন্ধ রেখে শাস্তি বহাল থাকবে।
এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) ব্যবস্থা নিতে বলেছে বিএসইসি।
ঢাকা/এসআর