০৫:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

কঠোর লকডাউনের খবরে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১
  • / ৪১৮৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের ডেলটা ধরনের সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ায় সারাদেশে সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে ‘কঠোর লকডাউন’ জারির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ খবর শুনে গতকাল থেকে বিকল্প উপায়ে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে মানুষ ছুটছে। নগরীর প্রবেশমুখ ও বাহিরের অন্যতম সড়ক গাবতলী এলাকা, ঢাকা-মাওয়া রোড, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে, উত্তরার আব্দুল্লাপুরে ছিল মানুষের ঢল।

বাস বন্ধ থাকায় বিভিন্ন যানবাহনে কয়েক ধাপে, কয়েক গুণ ভাড়া বেশি দিয়ে গন্তব্যে ছুটছেন মানুষ। অপরদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়িকেই ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তবুও ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না মানুষের স্রোত।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

করোনায় কোণঠাসা দেশ। এর বিস্তার রোধে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার কৌশল নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা থেকে বন্ধ রয়েছে সারা দেশের বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল। কিন্তু চিকিৎসা, জীবিকা ও অন্যান্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়াও অপ্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় ঢুকছে মানুষ। একই ভাবে ঢাকা ছাড়ছে অনেকে। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র গণপরিবহন চলাচল বন্ধের সুপারিশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

সারা দেশে ১৪ দিনের শাটডাউনের সুপারিশ করার পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন তা বাস্তবায়নের ব্যাপারে যে কোনো বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ইঙ্গিত করেছেন।

No description available.রাজধানীর আব্দুল্লাপুর এলাকায় কামরুল ইসলাম নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, শাটডাউন দিলে ঢাকায় কোনো কিছুই করতে পারব না। শাটডাউনের খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটছি। ফুটপাতের ব্যবসা বন্ধ থাকলে ঢাকায় থেকে কী করব? ঢাকায় থাকলে খরচ তো হবেই। রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়া হচ্ছে না কোনো ধরনের পরিবহন। তবে থেমে নেই মানুষের যাতায়াত। গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে একটু সামনে এগোলেই আমিন বাজার ব্রিজ। ব্রিজ মুখেই চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। সেখানে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ ও ত্যাগে পুলিশ বাধা দিচ্ছে।
No description available.

লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী পারাপারে চাপ বেড়েছে। এবার শাটডাউন ঘোষণার আশঙ্কায় যাত্রী পারাপার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে এ নৌরুটের ফেরিগুলোতে ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গগামী উভয়মুখী প্রচুর যাত্রীকে পারাপার করতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে পারাপার হচ্ছে পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

কঠোর লকডাউনের খবরে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

আপডেট: ০১:৫১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের ডেলটা ধরনের সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ায় সারাদেশে সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে ‘কঠোর লকডাউন’ জারির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ খবর শুনে গতকাল থেকে বিকল্প উপায়ে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে মানুষ ছুটছে। নগরীর প্রবেশমুখ ও বাহিরের অন্যতম সড়ক গাবতলী এলাকা, ঢাকা-মাওয়া রোড, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে, উত্তরার আব্দুল্লাপুরে ছিল মানুষের ঢল।

বাস বন্ধ থাকায় বিভিন্ন যানবাহনে কয়েক ধাপে, কয়েক গুণ ভাড়া বেশি দিয়ে গন্তব্যে ছুটছেন মানুষ। অপরদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়িকেই ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তবুও ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না মানুষের স্রোত।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

করোনায় কোণঠাসা দেশ। এর বিস্তার রোধে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার কৌশল নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা থেকে বন্ধ রয়েছে সারা দেশের বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল। কিন্তু চিকিৎসা, জীবিকা ও অন্যান্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়াও অপ্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় ঢুকছে মানুষ। একই ভাবে ঢাকা ছাড়ছে অনেকে। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র গণপরিবহন চলাচল বন্ধের সুপারিশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

সারা দেশে ১৪ দিনের শাটডাউনের সুপারিশ করার পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন তা বাস্তবায়নের ব্যাপারে যে কোনো বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ইঙ্গিত করেছেন।

No description available.রাজধানীর আব্দুল্লাপুর এলাকায় কামরুল ইসলাম নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, শাটডাউন দিলে ঢাকায় কোনো কিছুই করতে পারব না। শাটডাউনের খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটছি। ফুটপাতের ব্যবসা বন্ধ থাকলে ঢাকায় থেকে কী করব? ঢাকায় থাকলে খরচ তো হবেই। রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়া হচ্ছে না কোনো ধরনের পরিবহন। তবে থেমে নেই মানুষের যাতায়াত। গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে একটু সামনে এগোলেই আমিন বাজার ব্রিজ। ব্রিজ মুখেই চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। সেখানে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ ও ত্যাগে পুলিশ বাধা দিচ্ছে।
No description available.

লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী পারাপারে চাপ বেড়েছে। এবার শাটডাউন ঘোষণার আশঙ্কায় যাত্রী পারাপার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে এ নৌরুটের ফেরিগুলোতে ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গগামী উভয়মুখী প্রচুর যাত্রীকে পারাপার করতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে পারাপার হচ্ছে পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: