০২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

কয়লার অভাবে বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৩১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১০৪১০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরুর প্রথম মাসেই কয়লা সংকটে বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ডলারের সংকটে এলসি খুলতে না পারায় কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার প্রথম ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় অবস্থিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট থেকে গত ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। উৎপাদন শুরুর পর নিয়মিত ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল কেন্দ্রটি। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কিন্তু ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলার অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণপত্র খোলার জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন।

কিন্তু তাতে বিষয়টি সমাধান না হলে কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় শনিবার থেকে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ঢাকায় দৈনিক প্রায় ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। বাকি বিদ্যুৎ খুলনায় সরবরাহ করা হতো। মাঝে কয়লার অভাবে উৎপাদন কমে যাওয়ায় ঢাকার কিছু অঞ্চলে লোডশেডিং হয়েছিল। তবে নতুন করে কয়লা আমদানি না করা হলে কেন্দ্রটির উৎপাদনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন: রিজার্ভ চু‌রির মামলার রায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে

এ বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আজিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডেইলি প্রোডাকশনে আমাদের পাঁচ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার না পাওয়ায় আমরা কয়লা আমদানি করতে পারছি না। ফলে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে আশা করছি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

কয়লার অভাবে বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন

আপডেট: ০৪:৩১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরুর প্রথম মাসেই কয়লা সংকটে বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ডলারের সংকটে এলসি খুলতে না পারায় কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার প্রথম ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় অবস্থিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট থেকে গত ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। উৎপাদন শুরুর পর নিয়মিত ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল কেন্দ্রটি। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কিন্তু ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলার অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণপত্র খোলার জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন।

কিন্তু তাতে বিষয়টি সমাধান না হলে কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় শনিবার থেকে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ঢাকায় দৈনিক প্রায় ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। বাকি বিদ্যুৎ খুলনায় সরবরাহ করা হতো। মাঝে কয়লার অভাবে উৎপাদন কমে যাওয়ায় ঢাকার কিছু অঞ্চলে লোডশেডিং হয়েছিল। তবে নতুন করে কয়লা আমদানি না করা হলে কেন্দ্রটির উৎপাদনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন: রিজার্ভ চু‌রির মামলার রায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে

এ বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আজিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডেইলি প্রোডাকশনে আমাদের পাঁচ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার না পাওয়ায় আমরা কয়লা আমদানি করতে পারছি না। ফলে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে আশা করছি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।

ঢাকা/এসএ