০২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

কানাডায় সংবাদ প্রচার বন্ধ করে দিল মেটা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২০৬ বার দেখা হয়েছে

কানাডায় অনলাইন নিউজ সংক্রান্ত নতুন বিল পাস হওয়ার পর নিউজ আউটলেটের কোনও কনটেন্ট শেয়ার করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে মেটা। ফলে পাঠক, দর্শক ও আয় কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দেশটির ছোট ও মাঝারি আকারের প্রকাশকরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সংসদে সি-১৮ বিল পাস করেছে কানাডা। এই বিল অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য প্ল্যাটফর্মে নিউজ কনটেন্ট শেয়ার করা হলে তার জন্য সে দেশের মিডিয়া সংস্থাগুলোকে টাকা দিতে হবে। এরপরই সংবাদ প্রকাশক এবং সম্প্রচারকসহ নিউজ আউটলেটের কোনও কনটেন্ট শেয়ার করা হবে না বলে জানিয়ে দেয় মেটা।

সি-১৮ বিলটিকে অনলাইন নিউজ অ্যাক্ট নামে ডাকা হয়। এই বিলটি আগামী ১৯ ডিসেম্বর কার্যকর হবে। কিন্তু মেটা এরইমধ্যে কানডার সংবাদসংস্থাগুলো থেকে নিউজ শেয়ার করা বন্ধ করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় নিউজ সাইট ইনসাউগা ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ ইওয়ামুরা বলেন, ‘আমরা আক্ষরিক অর্থে রাজস্ব উপার্জনে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম হয়ে পড়েছি। আমাদের উপার্জন ফেসবুকে সংবাদ প্রচারের উপর ভিত্তি করে হতো।

ইওয়ামুরা আরও বলেছেন, গত আগস্ট পর্যন্ত ইনসাউগা ডটকমের ৩০ শতাংশ ট্রাফিক ফেসবুক থেকে এসেছিল। এরপরই মেটা নিউজ লিঙ্ক শেয়ার করা বন্ধ করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, ‘কানাডিয়ানরা এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিউ ইয়র্ক পোস্টের মতো আন্তর্জাতিক প্রকাশনার কনটেন্টসহ কোনও খবর দেখতে পাচ্ছেন না।’

আরও পড়ুন: এখন থেকে প্রিয়জনের চ্যাট পিন করে রাখতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপে

হাইপারলোকাল অন্টারিও মিডিয়া কোম্পানি ভিলেজ মিডিয়ার প্রধান জেফ এলজি বলেছেন, মেটার লিঙ্ক ব্লক দুই মাস আগে শুরু হওয়ার পর থেকে তার কোম্পানির ২৪টি ওয়েবসাইটে প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ট্রাফিক হ্রাস পেয়েছে।’

তবে এলজি তার ক্ষতির জন্য মেটাকে দোষারোপ করছেন না। তিনি বলেন, কানাডিয়ান নিউজ এক্সিকিউটিভদের সতর্কতা না শোনার জন্য কানাডিয়ান সরকারই দায়ী। প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সঙ্গে এ রকম বিরোধিতা করলে এর প্রতিক্রিয়া মারাত্মক হবে।’

তবে এ বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, এই লড়াই সহজ না। তবে শেষ পর্যন্ত এটাই সঠিক হবে। কারণ যদি স্বাধীন সাংবাদিকতা না থাকে তাহলে গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

কানাডায় সংবাদ প্রচার বন্ধ করে দিল মেটা

আপডেট: ০৬:১৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

কানাডায় অনলাইন নিউজ সংক্রান্ত নতুন বিল পাস হওয়ার পর নিউজ আউটলেটের কোনও কনটেন্ট শেয়ার করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে মেটা। ফলে পাঠক, দর্শক ও আয় কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দেশটির ছোট ও মাঝারি আকারের প্রকাশকরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সংসদে সি-১৮ বিল পাস করেছে কানাডা। এই বিল অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য প্ল্যাটফর্মে নিউজ কনটেন্ট শেয়ার করা হলে তার জন্য সে দেশের মিডিয়া সংস্থাগুলোকে টাকা দিতে হবে। এরপরই সংবাদ প্রকাশক এবং সম্প্রচারকসহ নিউজ আউটলেটের কোনও কনটেন্ট শেয়ার করা হবে না বলে জানিয়ে দেয় মেটা।

সি-১৮ বিলটিকে অনলাইন নিউজ অ্যাক্ট নামে ডাকা হয়। এই বিলটি আগামী ১৯ ডিসেম্বর কার্যকর হবে। কিন্তু মেটা এরইমধ্যে কানডার সংবাদসংস্থাগুলো থেকে নিউজ শেয়ার করা বন্ধ করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় নিউজ সাইট ইনসাউগা ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ ইওয়ামুরা বলেন, ‘আমরা আক্ষরিক অর্থে রাজস্ব উপার্জনে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম হয়ে পড়েছি। আমাদের উপার্জন ফেসবুকে সংবাদ প্রচারের উপর ভিত্তি করে হতো।

ইওয়ামুরা আরও বলেছেন, গত আগস্ট পর্যন্ত ইনসাউগা ডটকমের ৩০ শতাংশ ট্রাফিক ফেসবুক থেকে এসেছিল। এরপরই মেটা নিউজ লিঙ্ক শেয়ার করা বন্ধ করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, ‘কানাডিয়ানরা এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিউ ইয়র্ক পোস্টের মতো আন্তর্জাতিক প্রকাশনার কনটেন্টসহ কোনও খবর দেখতে পাচ্ছেন না।’

আরও পড়ুন: এখন থেকে প্রিয়জনের চ্যাট পিন করে রাখতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপে

হাইপারলোকাল অন্টারিও মিডিয়া কোম্পানি ভিলেজ মিডিয়ার প্রধান জেফ এলজি বলেছেন, মেটার লিঙ্ক ব্লক দুই মাস আগে শুরু হওয়ার পর থেকে তার কোম্পানির ২৪টি ওয়েবসাইটে প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ট্রাফিক হ্রাস পেয়েছে।’

তবে এলজি তার ক্ষতির জন্য মেটাকে দোষারোপ করছেন না। তিনি বলেন, কানাডিয়ান নিউজ এক্সিকিউটিভদের সতর্কতা না শোনার জন্য কানাডিয়ান সরকারই দায়ী। প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সঙ্গে এ রকম বিরোধিতা করলে এর প্রতিক্রিয়া মারাত্মক হবে।’

তবে এ বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, এই লড়াই সহজ না। তবে শেষ পর্যন্ত এটাই সঠিক হবে। কারণ যদি স্বাধীন সাংবাদিকতা না থাকে তাহলে গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’

ঢাকা/এসএম