০৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

কার্ডে লেনদেন ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
  • / ১০২৭৪ বার দেখা হয়েছে

একক মাসে গত মার্চে প্রথমবারের মতো কার্ডে লেনদেন ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বিভিন্ন ধরনের লেনদেন হয়েছে মোট ৫২ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৪৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। আর গত বছরের মার্চে লেনদেন হয় ৪৫ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। মূলত ঈদের আগে রমজানকে কেন্দ্র করে লেনদেন বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, লেনদেনের সহজ মাধ্যম হিসেবে কার্ড দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ব্যাংকগুলোও এ খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। অন্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন সেবা নিয়ে এসেছে। কার্ড কিংবা অ্যাপ ব্যবহার করে কেনাকাটা, বিভিন্ন ইউটিলিটি বিলসহ সহজে বিভিন্ন পরিশোধ করা যায়। টাকা উত্তোলন ও জমাও করা যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশ কিংবা বিদেশে হোটেল বুকিং থেকে নানা পরিশোধ করা যায়। এতে ঝামেলা কম। আবার অনেক সময় নানা ছাড় মিলছে। বিশেষ করে উৎসবের আগে কেনাকাটায় বিভিন্ন অফার দেয় ব্যাংক ও মার্চেন্ট।

তারা জানান, কার্ড বা অ্যাপের মাধ্যমে নিজের সুবিধামতো সময়ে মুহূর্তে টাকা স্থানান্তর করা যাচ্ছে। এ ব্যবস্থায় লেনদেনে জাল নোট এবং পকেটমারের ঝুঁকি নেই। আবার ব্যাংকে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা নেই। এসব কারণে অনেকেই এখন কার্ড লেনদেন বেছে নিয়েছেন। অবশ্য কার্ডের লেনদেনে বাড়তি সতর্কতা ও সচেতনতা জরুরি।

আরও পড়ুন: ‘দুবাই ও সিঙ্গাপুরের বিলিয়নিয়ারদের তথ্য দিতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক’

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে কার্ড থেকে মোট লেনদেনের মধ্য স্থানীয় মুদ্রায় হয়েছে ৫১ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। আগের মাসে যা ছিল ৪৪ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। এর আগে এক মাসে স্থানীয় মুদ্রায় সর্বোচ্চ ৪৮ হাজার ৫০ কোটি টাকা লেনদেন হয় গত জুনে। সব মিলিয়ে ওই মাসে কার্ডে লেনদেন হয় ৪৮ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা, যা ছিল কোনো

একক মাসে সর্বোচ্চ। বৈদেশিক মুদ্রায় গত মার্চে ৭২৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের মাসে যা ছিল ৭৭২ কোটি টাকা। বৈদেশিক মুদ্রায় এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯২৯ কোটি টাকা লেনদেন হয় গত ডিসেম্বরে।

চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা মোট কার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ ১৭ হাজার। গত বছরের মার্চ শেষে ছিল ৩ কোটি ৬৯ লাখ ২১ হাজার। গত এক বছরে কার্ডের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৭১ লাখ। ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা মোট কার্ডের বেশির ভাগই ডেবিট কার্ড। গত মার্চ পর্যন্ত ডেবিট কার্ড দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৭০ হাজার। গত বছরের একই মাস শেষে ছিল ৩ কোটি ১ লাখ। ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা গত বছরের মার্চের ২১ লাখ ৭৮ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৫১ হাজার। আর প্রিপেইড কার্ডের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৬ লাখ ৯৭ হাজার। ২০২৩ সালের মার্চ শেষে যা ছিল ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার।

কার্ড থেকে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনের বেশির ভাগই হয়েছে ডেবিট কার্ড থেকে। গত মার্চে ডেবিট কার্ড থেকে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৮ হাজার ১০১ কোটি টাকা। ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন হয় ৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। আর প্রিপেইড কার্ডে ৪৬৭ কোটি টাকা।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

কার্ডে লেনদেন ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

আপডেট: ০৩:১৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

একক মাসে গত মার্চে প্রথমবারের মতো কার্ডে লেনদেন ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বিভিন্ন ধরনের লেনদেন হয়েছে মোট ৫২ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৪৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। আর গত বছরের মার্চে লেনদেন হয় ৪৫ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। মূলত ঈদের আগে রমজানকে কেন্দ্র করে লেনদেন বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, লেনদেনের সহজ মাধ্যম হিসেবে কার্ড দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ব্যাংকগুলোও এ খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। অন্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন সেবা নিয়ে এসেছে। কার্ড কিংবা অ্যাপ ব্যবহার করে কেনাকাটা, বিভিন্ন ইউটিলিটি বিলসহ সহজে বিভিন্ন পরিশোধ করা যায়। টাকা উত্তোলন ও জমাও করা যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশ কিংবা বিদেশে হোটেল বুকিং থেকে নানা পরিশোধ করা যায়। এতে ঝামেলা কম। আবার অনেক সময় নানা ছাড় মিলছে। বিশেষ করে উৎসবের আগে কেনাকাটায় বিভিন্ন অফার দেয় ব্যাংক ও মার্চেন্ট।

তারা জানান, কার্ড বা অ্যাপের মাধ্যমে নিজের সুবিধামতো সময়ে মুহূর্তে টাকা স্থানান্তর করা যাচ্ছে। এ ব্যবস্থায় লেনদেনে জাল নোট এবং পকেটমারের ঝুঁকি নেই। আবার ব্যাংকে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা নেই। এসব কারণে অনেকেই এখন কার্ড লেনদেন বেছে নিয়েছেন। অবশ্য কার্ডের লেনদেনে বাড়তি সতর্কতা ও সচেতনতা জরুরি।

আরও পড়ুন: ‘দুবাই ও সিঙ্গাপুরের বিলিয়নিয়ারদের তথ্য দিতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক’

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে কার্ড থেকে মোট লেনদেনের মধ্য স্থানীয় মুদ্রায় হয়েছে ৫১ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। আগের মাসে যা ছিল ৪৪ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। এর আগে এক মাসে স্থানীয় মুদ্রায় সর্বোচ্চ ৪৮ হাজার ৫০ কোটি টাকা লেনদেন হয় গত জুনে। সব মিলিয়ে ওই মাসে কার্ডে লেনদেন হয় ৪৮ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা, যা ছিল কোনো

একক মাসে সর্বোচ্চ। বৈদেশিক মুদ্রায় গত মার্চে ৭২৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের মাসে যা ছিল ৭৭২ কোটি টাকা। বৈদেশিক মুদ্রায় এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯২৯ কোটি টাকা লেনদেন হয় গত ডিসেম্বরে।

চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা মোট কার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ ১৭ হাজার। গত বছরের মার্চ শেষে ছিল ৩ কোটি ৬৯ লাখ ২১ হাজার। গত এক বছরে কার্ডের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৭১ লাখ। ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা মোট কার্ডের বেশির ভাগই ডেবিট কার্ড। গত মার্চ পর্যন্ত ডেবিট কার্ড দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৭০ হাজার। গত বছরের একই মাস শেষে ছিল ৩ কোটি ১ লাখ। ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা গত বছরের মার্চের ২১ লাখ ৭৮ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৫১ হাজার। আর প্রিপেইড কার্ডের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৬ লাখ ৯৭ হাজার। ২০২৩ সালের মার্চ শেষে যা ছিল ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার।

কার্ড থেকে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনের বেশির ভাগই হয়েছে ডেবিট কার্ড থেকে। গত মার্চে ডেবিট কার্ড থেকে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৮ হাজার ১০১ কোটি টাকা। ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন হয় ৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। আর প্রিপেইড কার্ডে ৪৬৭ কোটি টাকা।

ঢাকা/এসএইচ