০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কিউআর কোড দিয়ে অভিনব প্রতারণা!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪০:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩৯২ বার দেখা হয়েছে

ভারতের কলকাতা শহরের পার্ক সার্কাসের এক রেস্টুরেন্টে অভিনব পদ্ধতিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিআর কোডের মাধ্যমে প্রতারণার করে ১ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে রেস্টুরেন্টের দুই কর্মী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ক্যাশিয়ার ও এক পরিচারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন প্রসেনজিৎ মাইতি (পরিচারক) ও শেখ গোলাম নবি আজাদ (ক্যাশিয়ার)।

কয়েক মাস আগেই প্রসেনজিৎ এই রেস্টুরেন্টে কাজ শুরু করেছিল। আর গোলাম নবি দীর্ঘদিন ধরে ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিল।

তদন্তে জানা গেছে, তারা মূলত টার্গেট করত অনলাইন পেমেন্টকারী গ্রাহকদের। ক্রেতারা খাবারের বিল দেওয়ার জন্য কিউআর কোড স্ক্যান করলে, সেই টাকা রেস্টুরেন্টের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে না গিয়ে ক্যাশিয়ারের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে চলে যেত।

আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে সাইবার হামলা, ২৪ দেশে সতর্কতা জারি

পরিচারক প্রসেনজিৎ প্রথমে বিল সংগ্রহ করত এবং অনলাইন পেমেন্টের অনুরোধ পেলে ক্যাশিয়ারের কাছে যেত। ক্যাশিয়ার গোলাম নবি নিজের ব্যক্তিগত কিউআর কোড স্ক্যান করার জন্য প্রসেনজিতের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিজের কাছে নিয়ে আসতেন। এই কৌশলে বিগত কয়েক মাসে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।

সম্প্রতি আর্থিক বছরের শেষে হিসাব মেলাতে গিয়ে রেস্টুরেন্টের মালিকরা দেখেন, আয়ের হিসাবে বিশাল গরমিল। সন্দেহ হওয়ায় ক্যাশিয়ারকে জেরা করা হলে প্রথমে সে অস্বীকার করে। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক হেনস্থার পর সে স্বীকার করে নেয়।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

কিউআর কোড দিয়ে অভিনব প্রতারণা!

আপডেট: ১১:৪০:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভারতের কলকাতা শহরের পার্ক সার্কাসের এক রেস্টুরেন্টে অভিনব পদ্ধতিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিআর কোডের মাধ্যমে প্রতারণার করে ১ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে রেস্টুরেন্টের দুই কর্মী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ক্যাশিয়ার ও এক পরিচারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন প্রসেনজিৎ মাইতি (পরিচারক) ও শেখ গোলাম নবি আজাদ (ক্যাশিয়ার)।

কয়েক মাস আগেই প্রসেনজিৎ এই রেস্টুরেন্টে কাজ শুরু করেছিল। আর গোলাম নবি দীর্ঘদিন ধরে ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিল।

তদন্তে জানা গেছে, তারা মূলত টার্গেট করত অনলাইন পেমেন্টকারী গ্রাহকদের। ক্রেতারা খাবারের বিল দেওয়ার জন্য কিউআর কোড স্ক্যান করলে, সেই টাকা রেস্টুরেন্টের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে না গিয়ে ক্যাশিয়ারের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে চলে যেত।

আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে সাইবার হামলা, ২৪ দেশে সতর্কতা জারি

পরিচারক প্রসেনজিৎ প্রথমে বিল সংগ্রহ করত এবং অনলাইন পেমেন্টের অনুরোধ পেলে ক্যাশিয়ারের কাছে যেত। ক্যাশিয়ার গোলাম নবি নিজের ব্যক্তিগত কিউআর কোড স্ক্যান করার জন্য প্রসেনজিতের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিজের কাছে নিয়ে আসতেন। এই কৌশলে বিগত কয়েক মাসে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।

সম্প্রতি আর্থিক বছরের শেষে হিসাব মেলাতে গিয়ে রেস্টুরেন্টের মালিকরা দেখেন, আয়ের হিসাবে বিশাল গরমিল। সন্দেহ হওয়ায় ক্যাশিয়ারকে জেরা করা হলে প্রথমে সে অস্বীকার করে। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক হেনস্থার পর সে স্বীকার করে নেয়।

ঢাকা/এসএইচ