১২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের টিয়ারশেল, আহত ২৬

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • / ১০৪০৮ বার দেখা হয়েছে

কোটা সংস্কারের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ভবনের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেলে সাংবাদিকসহ অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উদ্দেশে শিক্ষার্থীরা রওনা দিলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দিলে পলিশ লাঠিচার্জ করে। এরপর শর্টগান দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলির পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। যা কিছুক্ষণ পর তুমুল সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এ সময় পুলিশের আঘাতে দৈনিক ইত্তেফাকের সংবাদদাতা মানছুর আলম অন্তর, আমাদের সময়ের সংবাদদাতা অনন মজুমদার ও সৌরভসহ প্রায় ২০ এর অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে তাদেরকে তিনটি এ্যাম্বুলেন্সযোগে সদর মেডিকেলে পাঠানো হয়।

পুলিশের বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ মারমুখী হয়ে ওঠে। এ সময় পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়লে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদনের আদেশ ২১ জুলাই

এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেলের অতিরিক্ত এএসপি এমরানুল হক মারুফ বলেন, প্রতিদিন এভাবে রাস্তা ব্লক করে রাখা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তাই আমরা আজ শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে আমরা এখানে এসেছি।

শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ বিষয়ে আমরা পরে ব্যবস্থা নেব।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের টিয়ারশেল, আহত ২৬

আপডেট: ০৫:৫১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কারের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ভবনের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেলে সাংবাদিকসহ অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উদ্দেশে শিক্ষার্থীরা রওনা দিলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দিলে পলিশ লাঠিচার্জ করে। এরপর শর্টগান দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলির পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। যা কিছুক্ষণ পর তুমুল সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এ সময় পুলিশের আঘাতে দৈনিক ইত্তেফাকের সংবাদদাতা মানছুর আলম অন্তর, আমাদের সময়ের সংবাদদাতা অনন মজুমদার ও সৌরভসহ প্রায় ২০ এর অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে তাদেরকে তিনটি এ্যাম্বুলেন্সযোগে সদর মেডিকেলে পাঠানো হয়।

পুলিশের বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ মারমুখী হয়ে ওঠে। এ সময় পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়লে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদনের আদেশ ২১ জুলাই

এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেলের অতিরিক্ত এএসপি এমরানুল হক মারুফ বলেন, প্রতিদিন এভাবে রাস্তা ব্লক করে রাখা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তাই আমরা আজ শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে আমরা এখানে এসেছি।

শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ বিষয়ে আমরা পরে ব্যবস্থা নেব।

ঢাকা/এসএইচ