০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কৃষিঋণ সহজ করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:২২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১০৩৭১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো ও কৃষি সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য কৃষকদের ঋণ প্রাপ্তি সহজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সুষ্ঠু কৃষিঋণ ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় খামারবাড়িতে বিএআরসি মিলনায়তনে নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিতকরণের বিষয়ে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব
তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো ও কৃষির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য সুষ্ঠু কৃষিঋণ ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি। অনেক তরুণ উদোক্তা বাণিজ্যিক কৃষিতে এগিয়ে আসছেন, তাদের ঋণ দরকার।

অনেক সময় কৃষকরা এনজিও বা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ নেন উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সে জন্য কৃষকদের সহজ শর্তে, কম সুদে, জামানত ছাড়া ও বিনা হয়রানিতে ঋণ দিতে হবে।

এ বিষয়টিকে কার্যকর করতে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকদের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস

বিসেফ ফাউন্ডেশনের আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বর্তমান সরকার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। তারপরও একটি কম্বাইন হারভেস্টার কিনতে কৃষককে স্থানভেদে ১০ থেকে ১৪ লাখ টাকা দিতে হয়। ভর্তুকি দেয়ার পরও অনেক কৃষক এত টাকা দিয়ে  হারভেস্টার কিনতে পারেন না।

এখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি ব্যাংক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের একসঙ্গে বসে, সমন্বয় করে মাঠপর্যায়ে কৃষিঋণ বিতরণের সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, সবার জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এরই মধ্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের উৎপাদন ও প্রাপ্যতা অনেক বেড়েছে। তবে অনেক মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম, তারা সীমিত আয় দিয়ে এখনও পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে মানুষের আয় বাড়াতে হবে, অ্যাগ্রো প্রসেসিংয়ে বিনিয়োগ করতে হবে এবং কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিসেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

কৃষিঋণ সহজ করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

আপডেট: ০৮:২২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো ও কৃষি সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য কৃষকদের ঋণ প্রাপ্তি সহজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সুষ্ঠু কৃষিঋণ ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় খামারবাড়িতে বিএআরসি মিলনায়তনে নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিতকরণের বিষয়ে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব
তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো ও কৃষির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য সুষ্ঠু কৃষিঋণ ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি। অনেক তরুণ উদোক্তা বাণিজ্যিক কৃষিতে এগিয়ে আসছেন, তাদের ঋণ দরকার।

অনেক সময় কৃষকরা এনজিও বা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ নেন উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সে জন্য কৃষকদের সহজ শর্তে, কম সুদে, জামানত ছাড়া ও বিনা হয়রানিতে ঋণ দিতে হবে।

এ বিষয়টিকে কার্যকর করতে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকদের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস

বিসেফ ফাউন্ডেশনের আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বর্তমান সরকার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। তারপরও একটি কম্বাইন হারভেস্টার কিনতে কৃষককে স্থানভেদে ১০ থেকে ১৪ লাখ টাকা দিতে হয়। ভর্তুকি দেয়ার পরও অনেক কৃষক এত টাকা দিয়ে  হারভেস্টার কিনতে পারেন না।

এখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি ব্যাংক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের একসঙ্গে বসে, সমন্বয় করে মাঠপর্যায়ে কৃষিঋণ বিতরণের সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, সবার জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এরই মধ্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের উৎপাদন ও প্রাপ্যতা অনেক বেড়েছে। তবে অনেক মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম, তারা সীমিত আয় দিয়ে এখনও পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে মানুষের আয় বাড়াতে হবে, অ্যাগ্রো প্রসেসিংয়ে বিনিয়োগ করতে হবে এবং কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিসেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ঢাকা/টিএ