কেনিয়ায় কর বিরোধী বিক্ষোভে ২২ জনের মৃত্যু

- আপডেট: ০৬:১৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
- / ১০৩৮৮ বার দেখা হয়েছে
কেনিয়ায় কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত আইনের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিক্ষোভে একদিনে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) দেশটির রাজধানী নাইরোবির রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। এদিন সংসদে কর বৃদ্ধির আইন পাস করা হয়। এরপরই বিক্ষোভের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। অনেক বিক্ষোভকারী সংসদের ভেতর ঢুকে পড়েন। তাদের আটকাতে সরাসরি গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে এত মানুষ হতাহত হয়েছেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
২২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে দেশটির সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত মানবাধিকার সংস্থা। তারা বলেছে, এটি কেনিয়ায় বিক্ষোভে একদিনে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা। কেন এত মানুষ মারা গেলেন সেটির কারণ খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান রোজালিন ওদেদে বলেছেন, “আমরা ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করেছি। আমরা এ নিয়ে তদন্ত করব।”
২২ জনের মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজধানী নাইরোবিতে। দেশের অন্যান্য জায়গায় বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ হলেও নাইরোবির বিক্ষোভকারীরা সহিংস হয়ে পড়েন। এরপরই তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ৪ শিশুসহ একই পরিবারের ৯ জনকে গুলি করে হত্যা
এদিকে গত সপ্তাহে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ-সমাবেশ দেশটির সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছে। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো গত সপ্তাহের শেষের দিকে বলেছিলেন, তিনি বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত।
কিন্তু মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে নাইরোবিতে উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হাজার হাজার মানুষ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের পাশাপাশি ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেসময় এমপিরা কর বৃদ্ধির প্রস্তাবের একটি বিতর্ক করছিলেন। সংসদ অধিবেশন চলাকালীন বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে হামলার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ সংসদ ভবনের বাইরে জনতার ওপর গুলি চালায়।
গুলি চালানো সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা ভেতরে ঢুকে পড়ায় এমপিরা পার্লামেন্টের বেজমেন্টে গিয়ে আশ্রয় নেন। বিক্ষোভকারীদের কারণে তারা এখনো সেখানে আটকে ছিলেন।
সূত্র: এএফপি
ঢাকা/এসএইচ