০৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে শিক্ষাকে গুরুত্ব দেই: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪১৯২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের জন্য শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেই। কারণ শিক্ষাই দারিদ্র্য মুক্তির প্রধান হাতিয়ার।

আজ শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে এসব পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদের মুখস্থের পাশাপাশি মেধা বিকাশের জন্য তাদের উপযুক্ত চিন্তার সুযোগ দিতে হবে। সে কী বিষয়ে নতুন কিছু করতে পারে, সেটা আমরা দেখতে চাই। সবার জন্য নতুন নতুন জ্ঞান ও গবেষণার পথ উন্মুক্ত করতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে বহুমুখী শিক্ষা পায়, সে ব্যবস্থা করেছি।

বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়ে সমালোচনাকারীদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এত কিছু করার পরও একটা শ্রেণি বলবে কিছুই করি নাই। ওই ‘কিছুই করি নাই শ্রেণি’ চোখ থাকতেও দেখে না। তারা দেখবেও না। তাদের মাথায় ওই নাই নাই শব্দ ঢুকে আছে। নাই নাই শুনবো না, আমরা সব করবো। আমাদের বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিও করে দিয়েছি। আমরা জাহাজ বানাবো, যুদ্ধ জাহাজ এবং প্লেনও বানাবো। এগুলো তো আমাদের ছেলে-মেয়েদেরই করতে হবে। এজন্য তাদের জন্য সব ধরনের শিক্ষার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। প্রযুক্তি জ্ঞানে স্মার্ট হবে আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী। পারবে না আমাদের ছেলে-মেয়েরা? জবাবে শিক্ষার্থীরা বলে, পারবো।

আরও পড়ুন: থার্টি ফার্স্টে ডিজে পার্টি করা যাবে না: ডিএমপি কমিশনার

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তরিকতার সঙ্গে আমরা যতবেশি এই ছেলে-মেয়েদের গাইড করবো, তারা ততবেশি দক্ষ হয়ে ওঠবে। তারপরও একটা শ্রেণি বলবে কিছুই হয়নি, কিছুই করি নাই। ওই ‘কিছুই করি নাই শ্রেণি’ চোখ থাকতে দেখে না। তারা দেখবেও না। তাদের মাথায় ওই নাই নাই শব্দ ঢুকে আছে। নাই নাই শুনবো না। আমরা সব করবো।

তিনি আরও বলেন, শীত পড়ছে, গরম কাপড় পরতে হবে। শীতে ডেঙ্গু হয়, এটার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। স্কুল-কলেজ-বাড়িঘর নিজের প্রতিষ্ঠান-ঘর নিজেদের পরিষ্কার রাখতে হবে।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, উভয় মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে শিক্ষাকে গুরুত্ব দেই: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৩:৩০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের জন্য শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেই। কারণ শিক্ষাই দারিদ্র্য মুক্তির প্রধান হাতিয়ার।

আজ শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে এসব পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদের মুখস্থের পাশাপাশি মেধা বিকাশের জন্য তাদের উপযুক্ত চিন্তার সুযোগ দিতে হবে। সে কী বিষয়ে নতুন কিছু করতে পারে, সেটা আমরা দেখতে চাই। সবার জন্য নতুন নতুন জ্ঞান ও গবেষণার পথ উন্মুক্ত করতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে বহুমুখী শিক্ষা পায়, সে ব্যবস্থা করেছি।

বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়ে সমালোচনাকারীদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এত কিছু করার পরও একটা শ্রেণি বলবে কিছুই করি নাই। ওই ‘কিছুই করি নাই শ্রেণি’ চোখ থাকতেও দেখে না। তারা দেখবেও না। তাদের মাথায় ওই নাই নাই শব্দ ঢুকে আছে। নাই নাই শুনবো না, আমরা সব করবো। আমাদের বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিও করে দিয়েছি। আমরা জাহাজ বানাবো, যুদ্ধ জাহাজ এবং প্লেনও বানাবো। এগুলো তো আমাদের ছেলে-মেয়েদেরই করতে হবে। এজন্য তাদের জন্য সব ধরনের শিক্ষার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। প্রযুক্তি জ্ঞানে স্মার্ট হবে আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী। পারবে না আমাদের ছেলে-মেয়েরা? জবাবে শিক্ষার্থীরা বলে, পারবো।

আরও পড়ুন: থার্টি ফার্স্টে ডিজে পার্টি করা যাবে না: ডিএমপি কমিশনার

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তরিকতার সঙ্গে আমরা যতবেশি এই ছেলে-মেয়েদের গাইড করবো, তারা ততবেশি দক্ষ হয়ে ওঠবে। তারপরও একটা শ্রেণি বলবে কিছুই হয়নি, কিছুই করি নাই। ওই ‘কিছুই করি নাই শ্রেণি’ চোখ থাকতে দেখে না। তারা দেখবেও না। তাদের মাথায় ওই নাই নাই শব্দ ঢুকে আছে। নাই নাই শুনবো না। আমরা সব করবো।

তিনি আরও বলেন, শীত পড়ছে, গরম কাপড় পরতে হবে। শীতে ডেঙ্গু হয়, এটার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। স্কুল-কলেজ-বাড়িঘর নিজের প্রতিষ্ঠান-ঘর নিজেদের পরিষ্কার রাখতে হবে।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, উভয় মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/টিএ