০৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

খুলনায় বন্ধ জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৫০ বার দেখা হয়েছে

জ্বালানি তেল বিক্রয়ের উপর কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও এ অঞ্চলে জ্বালানি তেল পরিবহণ বন্ধ রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

খুলনা নগরীর খালিশপুরে অবস্থিত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে জ্বালানি তেল উত্তোলন। সেই সঙ্গে খুলনা থেকে জ্বালানি তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না ১৫ জেলায়।

জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস বলেন, ৩১ আগস্টের মধ্যে ৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য তারা সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবস্থায় রোববার ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তাদের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন বৃদ্ধি করে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি যৌথভাবে এই ধর্মঘট করছে।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন কাল

জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, গত ৪ বছর ধরে একই এবং যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। কর্তৃপক্ষ কয়েকবার আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, প্রতিবারই সময় নিয়েছেন কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন করেননি। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে।

তবে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা জানান, জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকলেও পেট্রোল পাম্পগুলো যথারীতি খোলা রয়েছে। পেট্রোল পাম্পগুলোতে সাধারণত ২ থেকে ৪ দিনের জ্বালানি তেল মজুদ থাকে।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট খুলনার খালিশপুরে ট্যাংকলরি ভবনে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সমন্বয়ে এক সভায় তিন সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেয় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

খুলনায় বন্ধ জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন

আপডেট: ১২:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জ্বালানি তেল বিক্রয়ের উপর কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও এ অঞ্চলে জ্বালানি তেল পরিবহণ বন্ধ রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

খুলনা নগরীর খালিশপুরে অবস্থিত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে জ্বালানি তেল উত্তোলন। সেই সঙ্গে খুলনা থেকে জ্বালানি তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না ১৫ জেলায়।

জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস বলেন, ৩১ আগস্টের মধ্যে ৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য তারা সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবস্থায় রোববার ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তাদের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন বৃদ্ধি করে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি যৌথভাবে এই ধর্মঘট করছে।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন কাল

জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, গত ৪ বছর ধরে একই এবং যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। কর্তৃপক্ষ কয়েকবার আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, প্রতিবারই সময় নিয়েছেন কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন করেননি। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে।

তবে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা জানান, জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকলেও পেট্রোল পাম্পগুলো যথারীতি খোলা রয়েছে। পেট্রোল পাম্পগুলোতে সাধারণত ২ থেকে ৪ দিনের জ্বালানি তেল মজুদ থাকে।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট খুলনার খালিশপুরে ট্যাংকলরি ভবনে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সমন্বয়ে এক সভায় তিন সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেয় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।

ঢাকা/টিএ