গাইবান্ধার উপনির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়েছি: রাশেদা সুলতানা
- আপডেট: ০৩:০১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৪২৫৩ বার দেখা হয়েছে
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘গাইবান্ধার উপনির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়েছি। সে কারণে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নীতি-নৈতিকতা, লোভ-লালসা ও ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে একেবারে স্বাধীনভাবে আইনের কাঠামো অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রংপুর সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে সিটি করপোরেশেন নির্বাচনে দায়িত্ব পাওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘নির্বাচন চলাকালে কোনও প্রার্থীর লোকজন ভোট কেন্দ্রে কোনও ধরনের প্রভাব খাটায় কিংবা ভোটার বা বহিরাগতদের ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষ বুথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে সেখান থেকে বের করে দেবেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করবেন। এটা আমি তাদের পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছি। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা যা করার দরকার নির্বাচন কমিশন সবই করবে।’
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে। ভোটার ছাড়া কাউকে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে রংপুরে থাকা অচল সব ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর পরিবর্তে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি নতুন ইভিএম ইতোমধ্যে চলে এসেছে। এসব এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার।
এর আগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘গাইবান্ধার উপনির্বাচনের আগে আমি তিনবার সেখানে গিয়েছি। আমরা নির্বাচনের দিন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সেখানে প্রহসনের নির্বাচন হয়ে গেছে। বাইরে মনে হলে ভালোই ভোট হচ্ছে। কিন্তু ভেতরে যাচ্ছে তাই অবস্থা। ভোটারের নিজের ভোট আর একজন দিচ্ছে। এসব অরাজকতার জন্যই পুরো ভোট আমরা বাতিল করে দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন
প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করলে চাকরি যাবে না। কিন্তু অন্যায় অবিচার করলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। আপনারা যারা প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন তারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করবেন এবং এটা করতে আপনারা বাধ্য। আপনারা এখন নির্বাচনের কমিশনের অধীনে কারও হুমকি-ধমকি তোয়াক্কা করবেন না, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। ’
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক চিক্র লেখা নাজনীন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মীনা, রিটানিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ঢাকা/এসএ