০১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গ্রামীণফোনের ২২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড অনুমোদন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • / ১০৫৪২ বার দেখা হয়েছে

গ্রামীণফোনের ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেয়ারহোল্ডারদের অর্থবহ অংশগ্রহণের উদ্দেশে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনা করে গ্রামীণফোন।

আজ মঙ্গলবার (২ মে) গ্রামীণফোনের কোম্পানি সচিব এস এম ইমদাদুল হকের পরিচালনায় ভার্চুয়াল এজিএমে অংশ নেন গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ বোর্ড সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এজিএম অনুষ্ঠানে ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ বলেন, ২০২২ সালে গ্রামীণফোন বাংলাদেশের লক্ষাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কোটি মানুষের জন্য মোবাইল কানেক্টিভিটি সেবাদানের ২৫ বছর পূর্তি করে। তাই, ২০২২ সাল গ্রামীণফোনের জন্য এক অনন্য মাইলফলকের বছর। প্রতিকূল নিয়ন্ত্রক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ এটি জানাতে পেরে আনন্দিত যে কোম্পানি টপ-লাইন বৃদ্ধি, নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ, বাজার সক্রিয়তা আর প্রতিষ্ঠান জুড়ে ডিজিটাল রূপান্তর এবং আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনন্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বিশাল গ্রাহক সংখ্যার ক্রমবর্ধমান ডেটা চাহিদা মেটাতে দেশে সবচেয়ে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা দিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। ভবিষ্যৎ উদ্ভাবনীর পথ দেখাতে দেশের প্রধান শহরগুলিতে ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনাকারী অন্যতম মোবাইল অপারেটর হিসেবে স্থান করে নিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, দেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ডিজিটাল এনাব্লের হিসেবে ভবিষ্যতে গ্রামীণফোন আরও বিস্তৃত পরিসরের সেবা নিয়ে আসবে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং প্রযুক্তি খাতে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে গ্রামীণফোন দেশের তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কিছু বিশেষ প্রোগ্রাম পরিকল্পনা করেছে। আগামী বছরে আমাদের লক্ষ্য হবে তরুণদের আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (ফোরআইআর)-এর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা দিয়ে প্রস্তুত করে তোলা এবং তাদের সম্ভাবনার বিকাশে সহায়তা করা।

আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানে লেনদেন বেড়েছে দেড়’শ কোটি

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, সব সময়ের মতো ২০২২ সালেও আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করেছি। তাদের চাহিদা পূরণে ও উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে ধারাবাহিক বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা আধুনিকায়ন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ২৬০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের নিলামে আমরা সর্বোচ্চ অধিগ্রহণযোগ্য ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়েছি এবং নেটওয়ার্কের বিস্তৃতিতে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছি। সব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও, আমরা আমাদের নেটওয়ার্কের সক্ষমতা নিরবচ্ছিন্ন রেখেছি ও ক্রমাগত উদ্ভাবন করেছি। আমাদের কাস্টমাইজড প্রোডাক্ট পোর্টফলিও আরও উন্নত করার মধ্য দিয়ে আমরাই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ই-সিম নিয়ে এসেছি। সমাজের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে প্রান্তিক মানুষের কাছেও কানেক্টিভিটি পৌঁছে দিয়েছি। বাংলাদেশের তরুণদেরকে ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ করে তুলতে আমরা সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সামগ্রিকভাবে ২০২২ সালে আমরা শক্তিশালী আর্থিক সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছি। পাশাপাশি গ্রাহক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের গ্রাহক, অংশীদার ও অংশীজনদের জীবনের মানোন্নয়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একইসঙ্গে, বাংলাদেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবেও আমরা নিরলস কাজ করে যাবো।

এজিএম চলাকালে গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ৯৫ শতাংশ হারে (অর্থাৎ, প্রতি ১০ টাকার শেয়ারে ৯ দশমিক ৫ টাকা প্রতি শেয়ার) চূড়ান্ত আর্থিক ডিভিডেন্ড অনুমোদন করেছে। এ ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পরে পরিশোধিত মূলধনের মোট চূড়ান্ত ডিভিডেন্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২০ শতাংশ, যার মধ্যে রয়েছে পূর্ববর্তী ১২৫ শতাংশ অন্তর্র্বতীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড। এ হিসাবে ২০২২ সালে কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।

গ্রামীণফোনকে একটি ফিউচার-ফিট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নেতৃত্ব, সক্ষমতা, প্রয়োজনীয় টুলস, উদ্ভাবন ও পার্টনারশিপের সঠিক সমন্বয় ঘটানোর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক এবং অপারেশনের ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণের কারণেও ২০২২ সালকে প্রতিষ্ঠানটির জন্য সাফল্যের বছর হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত অগ্রসর হচ্ছে। গ্রাহকদের ডিজিটাল জীবনধারার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এই শিল্পখাতের অবকাঠামোও রূপান্তরিত হচ্ছে। ডিজিটালাইজেশনের এই নতুন যুগে সংশ্লিষ্ট খাতে শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য নিজ প্রতিষ্ঠানে উদ্ভাবনের নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে টেলিকম-টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য গ্রামীণফোন এ বছর ব্যবসায়িক মডেল, অপারেশন এবং সক্ষমতার ক্ষেত্রে নিজ কৌশলকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে। একটি স্মার্ট জাতি হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আর তাই দেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটি অংশীদার হিসেবে গ্রাহকদের উন্নততর অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা, অংশীদারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করা এবং সঠিক অবকাঠামো ও দক্ষতার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানকে ফিউচার-ফিট করে গড়ে তুলতে নিজেদের সেবার সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখবে গ্রামীণফোন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

গ্রামীণফোনের ২২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড অনুমোদন

আপডেট: ০৭:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

গ্রামীণফোনের ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেয়ারহোল্ডারদের অর্থবহ অংশগ্রহণের উদ্দেশে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনা করে গ্রামীণফোন।

আজ মঙ্গলবার (২ মে) গ্রামীণফোনের কোম্পানি সচিব এস এম ইমদাদুল হকের পরিচালনায় ভার্চুয়াল এজিএমে অংশ নেন গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ বোর্ড সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এজিএম অনুষ্ঠানে ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ বলেন, ২০২২ সালে গ্রামীণফোন বাংলাদেশের লক্ষাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কোটি মানুষের জন্য মোবাইল কানেক্টিভিটি সেবাদানের ২৫ বছর পূর্তি করে। তাই, ২০২২ সাল গ্রামীণফোনের জন্য এক অনন্য মাইলফলকের বছর। প্রতিকূল নিয়ন্ত্রক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ এটি জানাতে পেরে আনন্দিত যে কোম্পানি টপ-লাইন বৃদ্ধি, নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ, বাজার সক্রিয়তা আর প্রতিষ্ঠান জুড়ে ডিজিটাল রূপান্তর এবং আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনন্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বিশাল গ্রাহক সংখ্যার ক্রমবর্ধমান ডেটা চাহিদা মেটাতে দেশে সবচেয়ে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা দিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। ভবিষ্যৎ উদ্ভাবনীর পথ দেখাতে দেশের প্রধান শহরগুলিতে ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনাকারী অন্যতম মোবাইল অপারেটর হিসেবে স্থান করে নিয়েছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, দেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ডিজিটাল এনাব্লের হিসেবে ভবিষ্যতে গ্রামীণফোন আরও বিস্তৃত পরিসরের সেবা নিয়ে আসবে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং প্রযুক্তি খাতে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে গ্রামীণফোন দেশের তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কিছু বিশেষ প্রোগ্রাম পরিকল্পনা করেছে। আগামী বছরে আমাদের লক্ষ্য হবে তরুণদের আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (ফোরআইআর)-এর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা দিয়ে প্রস্তুত করে তোলা এবং তাদের সম্ভাবনার বিকাশে সহায়তা করা।

আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানে লেনদেন বেড়েছে দেড়’শ কোটি

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, সব সময়ের মতো ২০২২ সালেও আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করেছি। তাদের চাহিদা পূরণে ও উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে ধারাবাহিক বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা আধুনিকায়ন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ২৬০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের নিলামে আমরা সর্বোচ্চ অধিগ্রহণযোগ্য ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়েছি এবং নেটওয়ার্কের বিস্তৃতিতে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছি। সব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও, আমরা আমাদের নেটওয়ার্কের সক্ষমতা নিরবচ্ছিন্ন রেখেছি ও ক্রমাগত উদ্ভাবন করেছি। আমাদের কাস্টমাইজড প্রোডাক্ট পোর্টফলিও আরও উন্নত করার মধ্য দিয়ে আমরাই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ই-সিম নিয়ে এসেছি। সমাজের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে প্রান্তিক মানুষের কাছেও কানেক্টিভিটি পৌঁছে দিয়েছি। বাংলাদেশের তরুণদেরকে ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ করে তুলতে আমরা সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সামগ্রিকভাবে ২০২২ সালে আমরা শক্তিশালী আর্থিক সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছি। পাশাপাশি গ্রাহক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের গ্রাহক, অংশীদার ও অংশীজনদের জীবনের মানোন্নয়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একইসঙ্গে, বাংলাদেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবেও আমরা নিরলস কাজ করে যাবো।

এজিএম চলাকালে গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ৯৫ শতাংশ হারে (অর্থাৎ, প্রতি ১০ টাকার শেয়ারে ৯ দশমিক ৫ টাকা প্রতি শেয়ার) চূড়ান্ত আর্থিক ডিভিডেন্ড অনুমোদন করেছে। এ ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পরে পরিশোধিত মূলধনের মোট চূড়ান্ত ডিভিডেন্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২০ শতাংশ, যার মধ্যে রয়েছে পূর্ববর্তী ১২৫ শতাংশ অন্তর্র্বতীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড। এ হিসাবে ২০২২ সালে কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।

গ্রামীণফোনকে একটি ফিউচার-ফিট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নেতৃত্ব, সক্ষমতা, প্রয়োজনীয় টুলস, উদ্ভাবন ও পার্টনারশিপের সঠিক সমন্বয় ঘটানোর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক এবং অপারেশনের ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণের কারণেও ২০২২ সালকে প্রতিষ্ঠানটির জন্য সাফল্যের বছর হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত অগ্রসর হচ্ছে। গ্রাহকদের ডিজিটাল জীবনধারার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এই শিল্পখাতের অবকাঠামোও রূপান্তরিত হচ্ছে। ডিজিটালাইজেশনের এই নতুন যুগে সংশ্লিষ্ট খাতে শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য নিজ প্রতিষ্ঠানে উদ্ভাবনের নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে টেলিকম-টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য গ্রামীণফোন এ বছর ব্যবসায়িক মডেল, অপারেশন এবং সক্ষমতার ক্ষেত্রে নিজ কৌশলকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে। একটি স্মার্ট জাতি হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আর তাই দেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটি অংশীদার হিসেবে গ্রাহকদের উন্নততর অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা, অংশীদারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করা এবং সঠিক অবকাঠামো ও দক্ষতার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানকে ফিউচার-ফিট করে গড়ে তুলতে নিজেদের সেবার সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখবে গ্রামীণফোন।

ঢাকা/টিএ