০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে মঙ্গোলিয়ায় পুতিন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৪৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৪০৭ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আজ মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটার পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত বছর ১৭ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এই প্রথম আইসিসির কোনো সদস্য দেশ সফরে গেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে, পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে মঙ্গোলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আইসিসি, ইউক্রেন, পশ্চিমা কয়েকটি দেশ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। কিন্তু রাজধানী উলানবাটার পৌঁছালে পুতিনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান মঙ্গোলিয়া।

ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। এরপর দেশটি থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়া ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আইসিসি।

এ পরিস্থিতিতে পুতিনের মঙ্গোলিয়া সফর নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে কিয়েভ। গত সোমবার কিয়েভ জানিয়েছে, যদি বিমানবন্দরে নামার পর মঙ্গোলিয়ার কর্তৃপক্ষ পুতিনকে গ্রেপ্তার না করে তাহলে তাঁর (পুতিনের) ‘যুদ্ধাপরাধের দায়’ মঙ্গোলিয়াকেও নিতে হবে।

আরও পড়ুন: মমতার পদত্যাগ দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও, ব্যাপক সংঘর্ষ

আদেশ মানার বিষয়ে সদস্য দেশগুলোর বাধ্যবাধকতার কথা গত সপ্তাহে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে আইসিসি। মঙ্গোলিয়া যেহেতু আইসিসির সদস্য, তাই আদেশ মেনে পুতিনকে গ্রেপ্তারে দেশটির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে দেশটি যদি এ আদেশ না মানে, সেক্ষেত্রে তেমন কিছু করার নেই।

প্রসঙ্গত, সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলে মঙ্গোলিয়া সোভিয়েতভুক্ত ছিল। তবে সোভিয়েতের পতনের পর থেকে মঙ্গোলিয়া বেইজিং ও মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছে।
গত সপ্তাহে ক্রেমলিন জানিয়েছে, মঙ্গোলিয়া সফরের সময় পুতিনকে গ্রেপ্তার করা, না করা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।

পাঁচ বছরের মধ্যে মঙ্গোলিয়ায় পুতিনের প্রথম সফর উপলক্ষে রাজধানী উলানবাটোরের সেন্ট্রাল চেঙ্গিস খান চত্বরে দুই দেশের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে। গতকাল বিকেলে সেখানে ‘যুদ্ধাপরাধী পুতিনকে বের করে দেওয়ার’ দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।

আজ মঙ্গোলিয়ায় পুতিনের বিরুদ্ধে আরও বড় বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও মঙ্গোলিয়া সরকার পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে মঙ্গোলিয়ায় পুতিন

আপডেট: ০১:৪৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আজ মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটার পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত বছর ১৭ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এই প্রথম আইসিসির কোনো সদস্য দেশ সফরে গেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে, পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে মঙ্গোলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আইসিসি, ইউক্রেন, পশ্চিমা কয়েকটি দেশ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। কিন্তু রাজধানী উলানবাটার পৌঁছালে পুতিনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান মঙ্গোলিয়া।

ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। এরপর দেশটি থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়া ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আইসিসি।

এ পরিস্থিতিতে পুতিনের মঙ্গোলিয়া সফর নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে কিয়েভ। গত সোমবার কিয়েভ জানিয়েছে, যদি বিমানবন্দরে নামার পর মঙ্গোলিয়ার কর্তৃপক্ষ পুতিনকে গ্রেপ্তার না করে তাহলে তাঁর (পুতিনের) ‘যুদ্ধাপরাধের দায়’ মঙ্গোলিয়াকেও নিতে হবে।

আরও পড়ুন: মমতার পদত্যাগ দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও, ব্যাপক সংঘর্ষ

আদেশ মানার বিষয়ে সদস্য দেশগুলোর বাধ্যবাধকতার কথা গত সপ্তাহে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে আইসিসি। মঙ্গোলিয়া যেহেতু আইসিসির সদস্য, তাই আদেশ মেনে পুতিনকে গ্রেপ্তারে দেশটির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে দেশটি যদি এ আদেশ না মানে, সেক্ষেত্রে তেমন কিছু করার নেই।

প্রসঙ্গত, সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলে মঙ্গোলিয়া সোভিয়েতভুক্ত ছিল। তবে সোভিয়েতের পতনের পর থেকে মঙ্গোলিয়া বেইজিং ও মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছে।
গত সপ্তাহে ক্রেমলিন জানিয়েছে, মঙ্গোলিয়া সফরের সময় পুতিনকে গ্রেপ্তার করা, না করা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।

পাঁচ বছরের মধ্যে মঙ্গোলিয়ায় পুতিনের প্রথম সফর উপলক্ষে রাজধানী উলানবাটোরের সেন্ট্রাল চেঙ্গিস খান চত্বরে দুই দেশের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে। গতকাল বিকেলে সেখানে ‘যুদ্ধাপরাধী পুতিনকে বের করে দেওয়ার’ দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।

আজ মঙ্গোলিয়ায় পুতিনের বিরুদ্ধে আরও বড় বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও মঙ্গোলিয়া সরকার পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

ঢাকা/এসএইচ