০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুঁজিবাজারের চার ব্যাংক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫০:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০৫২৩ বার দেখা হয়েছে

অর্থনৈতিক সংকট এবং দুর্বল আর্থিক সূচকের কারণে কয়েকটি ব্যাংক মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল, তবে এখন চারটি ব্যাংক ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষভাবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক তাদের আর্থিক কার্যক্রম পুনর্গঠন এবং শক্তিশালী অবস্থানে ফিরছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের অবস্থা গত কিছু সময় আগে শঙ্কাস্পদ ছিল, তবে নতুন পরিচালনা পর্ষদ ও অভ্যন্তরীণ সুশাসন প্রবর্তনের পর ব্যাংকটি এখন সফলভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্টের পর ছয় মাসে ব্যাংকটির নিট আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকটি রমজানে কোনো সমস্যা ছাড়াই সেবা প্রদান করেছে এবং গ্রাহকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা তুলতে পেরেছেন।

ইউসিবি ব্যাংকও সরকারের কোনো প্রণোদনা বা সহায়তা ছাড়া শক্তিশালী আর্থিক শৃঙ্খলা গড়ে তুলেছে। গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ৩,৬৮২ কোটি টাকার নিট আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যার মধ্যে ৭৫ শতাংশ ছিল সাধারণ মানুষের ছোট ছোট সঞ্চয়। এছাড়া, ব্যাংকটি নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার রেকর্ড গড়েছে, তিন মাসে ১,৬৫,০০০ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক নতুন বোর্ড গঠন করেছে এবং করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। ব্যাংকটি এখন প্রযুক্তিনির্ভর সেবা প্রদান করছে এবং বিভিন্ন অটোমেশন প্রযুক্তি সংযোজন করছে। ব্যাংকটি কঠিন পরিস্থিতিতেও গ্রাহকসেবার মান উন্নত করেছে এবং তারল্য সংকটে সহায়তা নেয়নি।

আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানে চলছে লেনদেন

এক্সিম ব্যাংক তার ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখছে এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহায়তার ওপর নির্ভর করছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, ইসলামী ব্যাংক ও ইউসিবি প্রায় গ্র্যাজুয়েটেড হয়ে যাবে এবং তাদের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন নেই। তারা এখন নতুন ঋণ প্রদান করতে পারবে। এই ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন এবং উন্নতি বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুঁজিবাজারের চার ব্যাংক

আপডেট: ১১:৫০:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

অর্থনৈতিক সংকট এবং দুর্বল আর্থিক সূচকের কারণে কয়েকটি ব্যাংক মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল, তবে এখন চারটি ব্যাংক ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষভাবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক তাদের আর্থিক কার্যক্রম পুনর্গঠন এবং শক্তিশালী অবস্থানে ফিরছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের অবস্থা গত কিছু সময় আগে শঙ্কাস্পদ ছিল, তবে নতুন পরিচালনা পর্ষদ ও অভ্যন্তরীণ সুশাসন প্রবর্তনের পর ব্যাংকটি এখন সফলভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্টের পর ছয় মাসে ব্যাংকটির নিট আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকটি রমজানে কোনো সমস্যা ছাড়াই সেবা প্রদান করেছে এবং গ্রাহকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা তুলতে পেরেছেন।

ইউসিবি ব্যাংকও সরকারের কোনো প্রণোদনা বা সহায়তা ছাড়া শক্তিশালী আর্থিক শৃঙ্খলা গড়ে তুলেছে। গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ৩,৬৮২ কোটি টাকার নিট আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যার মধ্যে ৭৫ শতাংশ ছিল সাধারণ মানুষের ছোট ছোট সঞ্চয়। এছাড়া, ব্যাংকটি নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার রেকর্ড গড়েছে, তিন মাসে ১,৬৫,০০০ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক নতুন বোর্ড গঠন করেছে এবং করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। ব্যাংকটি এখন প্রযুক্তিনির্ভর সেবা প্রদান করছে এবং বিভিন্ন অটোমেশন প্রযুক্তি সংযোজন করছে। ব্যাংকটি কঠিন পরিস্থিতিতেও গ্রাহকসেবার মান উন্নত করেছে এবং তারল্য সংকটে সহায়তা নেয়নি।

আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানে চলছে লেনদেন

এক্সিম ব্যাংক তার ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখছে এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহায়তার ওপর নির্ভর করছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, ইসলামী ব্যাংক ও ইউসিবি প্রায় গ্র্যাজুয়েটেড হয়ে যাবে এবং তাদের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন নেই। তারা এখন নতুন ঋণ প্রদান করতে পারবে। এই ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন এবং উন্নতি বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ঢাকা/টিএ