০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার, দেড় ঘন্টায় সাড়ে চার’শ কোটি টাকার লেনদেন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২০৮ বার দেখা হয়েছে

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ফ্লোর প্রাইজ প্রতাহারের দ্বিতীয় দিনে সকল মূল্য সূচকের উত্থানে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার। আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে বা লেনদেন শুরুর দেড় ঘন্টায় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৪৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৮২ হাজার টাকার। তবে দরপতন থেকে বেড়িয়ে এসছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮.৩৫ পয়েন্ট বেড়ে পর সূচক এসে দাড়িয়েছে ৬ হাজার ২৪৮.৬১ পয়েন্টে।

এসময় ডিএসই শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ৬.৯২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮১.০৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই৩০ সূচক ১০.৩০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৪৭.৪৯ পয়েন্টে এসে দাড়িয়েছে।

এদিন প্রথম দেড় ঘন্টায় ডিএসই লেনদেনের পরিমাণ ৪৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৪ টি হাত বদলে ১৫ কোটি ৭৮ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪ শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

আজ প্রথম দেড় ঘন্টায় ডিএসইতে ৩৭৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০০টির, কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির।

আরও পড়ুন: মুনাফা থেকে লোকসানে বিডি ল্যাম্পস

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশের পুঁজিবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে পুঁজিবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩৫ প্রতিষ্ঠানে ফ্লোর প্রাইস রেখে বাকি সব প্রতিষ্ঠান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত বিক্রির চাপে রোববার লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২১৪ পয়েন্ট পড়ে যায়। তবে শেষ দিকে বিক্রির চাপ কমায় প্রধান সূচক ৯৬ পয়েন্ট কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এ পর্যায়ে শেয়ার লেনদেন ব্যাপক কমে গেলে সমালোচনায় পড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সম্প্রতি ফ্লোর প্রাইস নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে গত বৃহস্পতিবার ৩৫ প্রতিষ্ঠান বাদে বাকিগুলোর ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি।

পুঁজিবাজারের স্বার্থে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হলেও ৩৫ প্রতিষ্ঠানে ফ্লোর প্রাইস রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এই ৩৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বারাকা পাওয়ার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, বিএসআরএম স্টিল, বিএসআরএম লিমিটেড, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ, ডরিন পাওয়ার, ইনভয় টেক্সটাইল, গ্রামীণফোন, এইচআর টেক্সটাইল, আইডিএলসি, ইনডেক্স এগ্রো, ইসলামী ব্যাংক, কেডিএস লিমিটেড, কেপিসিএল, কেটিএল, মালেক স্পিনিং, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, ওরিয়ন ফার্মা, পদ্মা অয়েল, রেনেটা, রবি, সায়হাম কটন, শাসা ডেনিমস, সোনালী পেপার, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, শাহিনপুকুর সিরামিকস, শাহজিবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার এবং ইউনাইটেড পাওয়ার।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার, দেড় ঘন্টায় সাড়ে চার’শ কোটি টাকার লেনদেন

আপডেট: ১১:৪০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ফ্লোর প্রাইজ প্রতাহারের দ্বিতীয় দিনে সকল মূল্য সূচকের উত্থানে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার। আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে বা লেনদেন শুরুর দেড় ঘন্টায় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৪৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৮২ হাজার টাকার। তবে দরপতন থেকে বেড়িয়ে এসছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮.৩৫ পয়েন্ট বেড়ে পর সূচক এসে দাড়িয়েছে ৬ হাজার ২৪৮.৬১ পয়েন্টে।

এসময় ডিএসই শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ৬.৯২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮১.০৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই৩০ সূচক ১০.৩০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৪৭.৪৯ পয়েন্টে এসে দাড়িয়েছে।

এদিন প্রথম দেড় ঘন্টায় ডিএসই লেনদেনের পরিমাণ ৪৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৪ টি হাত বদলে ১৫ কোটি ৭৮ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪ শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

আজ প্রথম দেড় ঘন্টায় ডিএসইতে ৩৭৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০০টির, কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির।

আরও পড়ুন: মুনাফা থেকে লোকসানে বিডি ল্যাম্পস

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশের পুঁজিবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে পুঁজিবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩৫ প্রতিষ্ঠানে ফ্লোর প্রাইস রেখে বাকি সব প্রতিষ্ঠান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত বিক্রির চাপে রোববার লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২১৪ পয়েন্ট পড়ে যায়। তবে শেষ দিকে বিক্রির চাপ কমায় প্রধান সূচক ৯৬ পয়েন্ট কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এ পর্যায়ে শেয়ার লেনদেন ব্যাপক কমে গেলে সমালোচনায় পড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সম্প্রতি ফ্লোর প্রাইস নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে গত বৃহস্পতিবার ৩৫ প্রতিষ্ঠান বাদে বাকিগুলোর ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি।

পুঁজিবাজারের স্বার্থে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হলেও ৩৫ প্রতিষ্ঠানে ফ্লোর প্রাইস রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এই ৩৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বারাকা পাওয়ার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, বিএসআরএম স্টিল, বিএসআরএম লিমিটেড, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ, ডরিন পাওয়ার, ইনভয় টেক্সটাইল, গ্রামীণফোন, এইচআর টেক্সটাইল, আইডিএলসি, ইনডেক্স এগ্রো, ইসলামী ব্যাংক, কেডিএস লিমিটেড, কেপিসিএল, কেটিএল, মালেক স্পিনিং, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, ওরিয়ন ফার্মা, পদ্মা অয়েল, রেনেটা, রবি, সায়হাম কটন, শাসা ডেনিমস, সোনালী পেপার, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, শাহিনপুকুর সিরামিকস, শাহজিবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার এবং ইউনাইটেড পাওয়ার।

ঢাকা/টিএ