ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিতরণ করেনি ওয়েস্টার্ন মেরিন

- আপডেট: ০৯:১৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১০৪৪৬ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ২০২১ সালের জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল। এর পর শেয়ার দর পড়তে শুরু করলে ২৩ ডিসেম্বর এজিএমে ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে কোম্পানিটি। তবে সেই ডিভিডেন্ড কোম্পানিটি বিতরণ করেনি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর ডিভিডেন্ড না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার দিন শেয়ার দর ছিল ১১ টাকা ১০ পয়সা। পরিচালনা পর্ষদের এই সিদ্ধান্তের পর শেয়ার দর কমে আসে ৯ টাকা ৫০ পয়সা।
এজিএমের দিন শেয়ারদর ছিল ১০ টাকা ২০ পয়সা। এরপর ১২ কর্মদিবস পর ১০ জানুয়ারি শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। এই সময়ে বাড়ে ৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ৪৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।
যে কোম্পানিটির ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে যাওয়ার কথা ছিল, ডিভিডেন্ড দেয়ার সিদ্ধান্তের কারণে সেটি আর সেই ক্যাটাগরিতে না গিয়ে ‘বি’তে লেনদেন হতে থাকে। কিন্তু এজিএমের ১০ মাসেও পর্যন্ত ডিভিডেন্ড বিতরণ সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি শেয়ারধারীদেরকে জানানো হয়নি।
বলে রাখা ভালো যে, কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৩ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ক্যাশ ও বাকি ২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক শেয়ার। অর্থাৎ প্রতি ২০০ শেয়ারের বিপরীতে পাঁচটি স্টক শেয়ার ও ১০ পয়সা ক্যাশ বিতরণ করা হয়।
ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর এজিএমে সেই লভ্যাংশ অনুমোদনও হয়। কিন্তু সে বছরও ডিভিডেন্ড বিতরণ করে কোনো প্রতিবেদন দেয়া হয়নি।
পরিচালনা পর্ষদ ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর দিন শেয়ারদর ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা। পরের বছর ৫ আগস্ট দর বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ টাকা।
প্রসঙ্গত, কোম্পানিটি ২০২১ সালের জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর এখন পর্যন্ত কোনো প্রান্তিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেনি। অথচ এরই মধ্যে আরও একটি অর্থবছর শেষ হয়ে গেছে। জুনে যেসব কোম্পানির অর্থবছর শেষ হয়, সেগুলোর মধ্যে বেশ কিছু কোম্পানি তাদের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে লভ্যাংশও ঘোষণা করেছে, হাতে গোনা এক দুইটি বাদ দিয়ে বাকিগুলো মার্চে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কয়েক মাস আগেই।
ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিতরণ করে যে প্রতিবেদন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইতে দেয়ার কথা ছিল, সেটি জমা দেয়া হয়নি। বিষয়টি অবহিত করে নির্দেশনা চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
বিএসইসিতে পাঠানো ডিএসইর চিঠিতে বলা হয়, ডিএসইর ২০১৫ সালের রেগুলেশনস অনুযায়ী- তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে এক্সচেঞ্জ ও বিএসইসিতে লভ্যাংশ প্রদান সংক্রান্ত প্রতিবেদন সাতদিনের মধ্যে কমিশন নির্ধারিত ফরম্যাটে জমা দিতে হবে।
এর ব্যত্যয় ঘটলে সেই কোম্পানিকে কমিশনের অনুমোদনক্রমে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ওয়েস্টার্ন মেরিন দুই বছর ধরে ডিভিডেন্ড কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা না দেয়ার পরও তাদের ‘ক্যাটাগরি’ সমন্বয় হয়নি।ডিএসইর ওয়েব সাইট দেয়া কোম্পানির যোগাযোগ নম্বরে ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৩৫ কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ২৬১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৫২ লাখ ৩ হাজার ৭৬৯টি। এর মধ্যে ৩০ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৫৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বে লিজিংয়ের ডিভিডেন্ড বিএসইসির নির্দেশনার পরিপন্থী: ডিএসই
ঢাকা/এসএ