০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘চলতি বছরেই চীনের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • / ১০৩৯৮ বার দেখা হয়েছে

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়ে। তিনি আশা করছেন, বাংলাদেশের সাথে চীনের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং একটি নতুন অধ্যায় শুরুর পথ তৈরি করবে। চলতি বছরের মধ্যে চীনের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে এবং ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে চীনের বিনিয়োগকারীরা তাদের সরকারের নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে থাকেন। প্রেসিডেন্ট শি ইতিমধ্যে তাদের উৎসাহিত করার কথা বলেছেন, যার ফলে চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশের দিকে আসবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গতকাল শুক্রবার (২৮ মার্চ) বেইজিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জিঙপিনের বৈঠক নিয়ে আলোচনার বিষয় নিয়ে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চান এবং চীনের বিনিয়োগ এ ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। যদি চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করেন, তাহলে তা কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। এটি একটি অত্যন্ত সফল সফর বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

তিনি আরও বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক প্রত্যাশিতভাবে সফল হয়েছে। প্রেসিডেন্টের আন্তরিকতা বৈঠককে বিশেষ করে তুলেছে। এতে বোঝা যায়, প্রফেসর ইউনূসকে উনারা উচ্চমহল হিসেবে দেখছেন।

শফিকুল আলম বলেন, চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে চীনের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

তিনি আরও জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো চীনের বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশে সহযোগিতা করার জন্য উৎসাহিত করা।

আরও পড়ুন: যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার টোল আদায়

শফিকুল আলম বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বাংলাদেশের আম ও কাঁঠাল খেয়েছেন এবং এর প্রশংসা করেছেন। এর ফলে আগামী মৌসুমে চীনে বাংলাদেশের আম রফতানি শুরু হওয়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

‘চলতি বছরেই চীনের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে’

আপডেট: ১১:২২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়ে। তিনি আশা করছেন, বাংলাদেশের সাথে চীনের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং একটি নতুন অধ্যায় শুরুর পথ তৈরি করবে। চলতি বছরের মধ্যে চীনের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে এবং ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে চীনের বিনিয়োগকারীরা তাদের সরকারের নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে থাকেন। প্রেসিডেন্ট শি ইতিমধ্যে তাদের উৎসাহিত করার কথা বলেছেন, যার ফলে চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশের দিকে আসবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গতকাল শুক্রবার (২৮ মার্চ) বেইজিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জিঙপিনের বৈঠক নিয়ে আলোচনার বিষয় নিয়ে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চান এবং চীনের বিনিয়োগ এ ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। যদি চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করেন, তাহলে তা কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। এটি একটি অত্যন্ত সফল সফর বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

তিনি আরও বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক প্রত্যাশিতভাবে সফল হয়েছে। প্রেসিডেন্টের আন্তরিকতা বৈঠককে বিশেষ করে তুলেছে। এতে বোঝা যায়, প্রফেসর ইউনূসকে উনারা উচ্চমহল হিসেবে দেখছেন।

শফিকুল আলম বলেন, চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে চীনের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

তিনি আরও জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো চীনের বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশে সহযোগিতা করার জন্য উৎসাহিত করা।

আরও পড়ুন: যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার টোল আদায়

শফিকুল আলম বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বাংলাদেশের আম ও কাঁঠাল খেয়েছেন এবং এর প্রশংসা করেছেন। এর ফলে আগামী মৌসুমে চীনে বাংলাদেশের আম রফতানি শুরু হওয়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে।

ঢাকা/টিএ