০৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চাকরির ইন্টারভিউতে ভালো করবেন যেভাবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:১৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / ১০৪১০ বার দেখা হয়েছে

ইন্টারভিউতে ভালো করার জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন। আপনি কীভাবে আপনার নিজেকে উপস্থাপন করছেন, কীভাবে কথা বলছেন সবকিছু এখানে বিবেচ্য বিষয়। এমনকী যে বিষয়ে আপনার জানা নেই, নিজের সেই অপরাগতার কথা আপনি কীভাবে বলছেন সেটিও কিন্তু লক্ষণীয়। এগুলো অভ্যাসের বিষয়, যা একদিনে অর্জন করা সম্ভব নয়। চাকরির ইন্টারভিউতে ভালো করার জন্য আপনাকে কিছু বিষয়ের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কী সেই বিষয়গুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এক সেকেন্ড সময় নিন

তাড়াহুড়া করে উত্তর দেওয়ার অভ্যাস? এমন অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে। প্রশ্নকর্তার কাছ থেকে প্রশ্নটি শোনার পরে এক বা দুই সেকেন্ডের জন্য বিরতি নিন। এই ছোট বিরতি আপনাকে কথাগুলো গোছাতে সাহায্য করবে। এতে আপনার কাছ থেকে আরও ভালো উত্তর পাওয়া যাবে।

না জানলে স্বীকার করুন

যদি কোনো প্রশ্ন আপনাকে বিভ্রান্ত করে, ভান করার দরকার নেই। সৎ থাকুন। নিজের অপরাগতার কথা স্বীকার করে নিন। সবাই সবকিছু জানবে এমনটা কখনোই হতে পারে না। কোনো বিষয়ে আপনার জানা না-ই থাকতে পারে, সেটি সুন্দরভাবে বলুন। এতে আপনার সততার পরিচয় মিলবে।

ক্যারিয়ারে বিরতি থাকলে লুকাবেন না

ক্যারিয়ারে বিরতি বা চাকরি পরিবর্তন- এগুলো ঘটে। সেগুলো লুকানোর চেষ্টা করা বা খুব বেশি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা সাধারণত উল্টো ফল বয়ে আনে। শুধু কারণটা কী ছিল তা বলুন। সেটা ব্যক্তিগত বিষয়ের জন্য হোক, কিছু শেখার জন্য হোক, অথবা ভিন্ন কিছু চেষ্টা করার জন্য হোক, সৎ এবং শান্ত থাকুন। এটি আপনার আত্মবিশ্বাসের পরিচয় বহন করে।

খুব তাড়াতাড়ি বা দেরি করবেন না

খুব তাড়াতাড়ি ইন্টারভিউ স্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি অস্বস্তিকর হতে পারে। কিন্তু কয়েক মিনিট দেরি? সেটিও নিশ্চয়ই ভালো কিছু নয়। তাই ইন্টারভিউর জন্য দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মোটামুটি মিনিট দশেক আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।

রিসার্চ করুন

কোম্পানি কী করছে, কে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা কীসের উপর মনোযোগ দিচ্ছে – মূল বিষয়গুলো জানা থাকলে তা আপনার ধারণার চেয়েও বেশি সাহায্য করতে পারে। এতে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আপনার জন্য আরও বেশি সহজ হয়ে উঠবে। তাই ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগে রিসার্চের দিকে খেয়াল রাখুন।

আরও পড়ুন: ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী এই খাবারগুলো খাচ্ছেন না তো!

শারীরিক ভাষা

সামনাসামনি ইন্টারভিউ হোক কিংবা জুম মিটিং, আপনি কীভাবে বসছেন সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। সোজা হয়ে বসুন। হাত লুকানোর প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক থাকুন। মাঝে মাঝে সরাসরি প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে তাকান। মাথা উঁচু করে বসুন। মনে রাখবেন, আপনার যেমন চাকরি দরকার, চাকরিরও আপনাকে দরকার। কেউ আপনাকে দয়া করছে না বরং আপনি নিজের যোগ্যতার কারণে কাজটি পাচ্ছেন। তাই নিজেকে গুরুত্বহীন ভাবার প্রয়োজন নেই।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

চাকরির ইন্টারভিউতে ভালো করবেন যেভাবে

আপডেট: ০২:১৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

ইন্টারভিউতে ভালো করার জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন। আপনি কীভাবে আপনার নিজেকে উপস্থাপন করছেন, কীভাবে কথা বলছেন সবকিছু এখানে বিবেচ্য বিষয়। এমনকী যে বিষয়ে আপনার জানা নেই, নিজের সেই অপরাগতার কথা আপনি কীভাবে বলছেন সেটিও কিন্তু লক্ষণীয়। এগুলো অভ্যাসের বিষয়, যা একদিনে অর্জন করা সম্ভব নয়। চাকরির ইন্টারভিউতে ভালো করার জন্য আপনাকে কিছু বিষয়ের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কী সেই বিষয়গুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এক সেকেন্ড সময় নিন

তাড়াহুড়া করে উত্তর দেওয়ার অভ্যাস? এমন অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে। প্রশ্নকর্তার কাছ থেকে প্রশ্নটি শোনার পরে এক বা দুই সেকেন্ডের জন্য বিরতি নিন। এই ছোট বিরতি আপনাকে কথাগুলো গোছাতে সাহায্য করবে। এতে আপনার কাছ থেকে আরও ভালো উত্তর পাওয়া যাবে।

না জানলে স্বীকার করুন

যদি কোনো প্রশ্ন আপনাকে বিভ্রান্ত করে, ভান করার দরকার নেই। সৎ থাকুন। নিজের অপরাগতার কথা স্বীকার করে নিন। সবাই সবকিছু জানবে এমনটা কখনোই হতে পারে না। কোনো বিষয়ে আপনার জানা না-ই থাকতে পারে, সেটি সুন্দরভাবে বলুন। এতে আপনার সততার পরিচয় মিলবে।

ক্যারিয়ারে বিরতি থাকলে লুকাবেন না

ক্যারিয়ারে বিরতি বা চাকরি পরিবর্তন- এগুলো ঘটে। সেগুলো লুকানোর চেষ্টা করা বা খুব বেশি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা সাধারণত উল্টো ফল বয়ে আনে। শুধু কারণটা কী ছিল তা বলুন। সেটা ব্যক্তিগত বিষয়ের জন্য হোক, কিছু শেখার জন্য হোক, অথবা ভিন্ন কিছু চেষ্টা করার জন্য হোক, সৎ এবং শান্ত থাকুন। এটি আপনার আত্মবিশ্বাসের পরিচয় বহন করে।

খুব তাড়াতাড়ি বা দেরি করবেন না

খুব তাড়াতাড়ি ইন্টারভিউ স্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি অস্বস্তিকর হতে পারে। কিন্তু কয়েক মিনিট দেরি? সেটিও নিশ্চয়ই ভালো কিছু নয়। তাই ইন্টারভিউর জন্য দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মোটামুটি মিনিট দশেক আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।

রিসার্চ করুন

কোম্পানি কী করছে, কে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা কীসের উপর মনোযোগ দিচ্ছে – মূল বিষয়গুলো জানা থাকলে তা আপনার ধারণার চেয়েও বেশি সাহায্য করতে পারে। এতে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আপনার জন্য আরও বেশি সহজ হয়ে উঠবে। তাই ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগে রিসার্চের দিকে খেয়াল রাখুন।

আরও পড়ুন: ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী এই খাবারগুলো খাচ্ছেন না তো!

শারীরিক ভাষা

সামনাসামনি ইন্টারভিউ হোক কিংবা জুম মিটিং, আপনি কীভাবে বসছেন সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। সোজা হয়ে বসুন। হাত লুকানোর প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক থাকুন। মাঝে মাঝে সরাসরি প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে তাকান। মাথা উঁচু করে বসুন। মনে রাখবেন, আপনার যেমন চাকরি দরকার, চাকরিরও আপনাকে দরকার। কেউ আপনাকে দয়া করছে না বরং আপনি নিজের যোগ্যতার কারণে কাজটি পাচ্ছেন। তাই নিজেকে গুরুত্বহীন ভাবার প্রয়োজন নেই।

ঢাকা/এসএইচ