০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

ছাড়েও প্রভিশন ঘাটতি ১১ ব্যাংকের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৪৪ বার দেখা হয়েছে

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল কিছু স্থবির রয়েছে। সকল খাতে উন্নতির জন্য সব দেশের সরকারও বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনাসহ সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। এই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি বাংলাদেশ।। সরকার ব্যবসার উন্নতির জন্য বিভিন্ন ধরণের ছাড় ও প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।

ব্যাংকগুলোকে ভালো রাখার জন্য অনেক বিষয় থেকে ছাড় পেয়েছে ব্যাংকগুলো। এর পরও গত ডিসেম্বর শেষে ১১টি ব্যাংকে প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে সরকারি ৫টি ও বেসরকারি খাতের ৬টি ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর ঘাটতি দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। অবশ্য প্রকৃত ঘাটতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি বলে জানা গেছে। আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন ঋণের বিপরীতে নির্দিষ্ট হারে অর্থ আলাদা করে রাখতে হয়, যাকে প্রভিশন বলে।

ব্যাংকগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন ভালো দেখানোর জন্য প্রভিশন সংরক্ষণে কোনো কোনো ব্যাংককে কয়েক বছরের সময় দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে কারণে প্রকৃত ঘাটতির বিষয়টি সামনে আসছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে সার্বিকভাবে সব ব্যাংকের মোট ৬৩ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা প্রভিশন রাখার কথা ছিল। তবে ব্যাংকগুলো সংরক্ষণ করেছে ৬৩ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা।

ব্যাংকগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানার বেসিক ব্যাংকের ঘাটতি রয়েছে সর্বাধিক তিন হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রূপালী ব্যাংকের ঘাটতি ৮২২ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ১৬৫ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ১৩২ কোটি টাকা ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঘাটতি ৭৮ লাখ টাকা। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫০৯ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের। ন্যাশনাল ব্যাংকের ৪৩৫ কোটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ২১১ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের ১৯০ কোটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১৩৩ কোটি ও এসআইবিএলের ৭৩ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ঋণ পরিশোধ না করলেও খেলাপি না করার সুযোগসহ বিভিন্ন কারণে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ৮৮ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা, যা ৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এই খেলাপি ঋণের মধ্যে ৭৬ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকাই ক্ষতিজনক মানে শ্রেণীকৃত।

 
 

শেয়ার করুন

x

ছাড়েও প্রভিশন ঘাটতি ১১ ব্যাংকের

আপডেট: ০৫:১৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল কিছু স্থবির রয়েছে। সকল খাতে উন্নতির জন্য সব দেশের সরকারও বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনাসহ সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। এই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি বাংলাদেশ।। সরকার ব্যবসার উন্নতির জন্য বিভিন্ন ধরণের ছাড় ও প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।

ব্যাংকগুলোকে ভালো রাখার জন্য অনেক বিষয় থেকে ছাড় পেয়েছে ব্যাংকগুলো। এর পরও গত ডিসেম্বর শেষে ১১টি ব্যাংকে প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে সরকারি ৫টি ও বেসরকারি খাতের ৬টি ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর ঘাটতি দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। অবশ্য প্রকৃত ঘাটতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি বলে জানা গেছে। আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন ঋণের বিপরীতে নির্দিষ্ট হারে অর্থ আলাদা করে রাখতে হয়, যাকে প্রভিশন বলে।

ব্যাংকগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন ভালো দেখানোর জন্য প্রভিশন সংরক্ষণে কোনো কোনো ব্যাংককে কয়েক বছরের সময় দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে কারণে প্রকৃত ঘাটতির বিষয়টি সামনে আসছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে সার্বিকভাবে সব ব্যাংকের মোট ৬৩ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা প্রভিশন রাখার কথা ছিল। তবে ব্যাংকগুলো সংরক্ষণ করেছে ৬৩ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা।

ব্যাংকগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানার বেসিক ব্যাংকের ঘাটতি রয়েছে সর্বাধিক তিন হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রূপালী ব্যাংকের ঘাটতি ৮২২ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ১৬৫ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ১৩২ কোটি টাকা ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঘাটতি ৭৮ লাখ টাকা। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫০৯ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের। ন্যাশনাল ব্যাংকের ৪৩৫ কোটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ২১১ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের ১৯০ কোটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১৩৩ কোটি ও এসআইবিএলের ৭৩ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ঋণ পরিশোধ না করলেও খেলাপি না করার সুযোগসহ বিভিন্ন কারণে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ৮৮ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা, যা ৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এই খেলাপি ঋণের মধ্যে ৭৬ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকাই ক্ষতিজনক মানে শ্রেণীকৃত।