০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

জিআই অনুমোদন পেলো আরও তিন পণ্য

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৪২০ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে আরও তিনটি পণ্যকে অনুমোদন দিয়ে জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। পণ্য তিনটি হলো- যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা।। এ নিয়ে বাংলাদেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টি। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর স্বীকৃতি পায় আরও ২০টি পণ্য।

সেগুলো হলো- বাংলাদেশ ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারীভোগ, কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি, বাংলাদেশের শীতল পাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই ও কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।

সবশেষ গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর ও আতর এবং মুক্তগাছার মণ্ডা এই চার পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এর একদিন আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিনটি পণ্যের জিআই সনদ হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। পণ্য তিনটি হলো- টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লা।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৪৪

জিআই স্বীকৃতি পাওয়া পণ্যগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।

কোনো দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও মানুষের সৃজনশীলতা মিলে কোনো পণ্য তৈরি হলে তাকে বলা হয় সেই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। শুধু বাংলাদেশেই উৎপাদিত হয় এমন ৩১টি পণ্য এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব কর্তৃপক্ষ থেকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিপিডিটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন হয়। ২০১৫ সালে আইনের বিধিমালা তৈরির পর জিআই পণ্যের নিবন্ধন নিতে আহ্বান জানায় ডিপিডিটি। এর পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিআই পণ্য হিসেবে ২০১৬ সালে স্বীকৃতি পায় জামদানি শাড়ি।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

জিআই অনুমোদন পেলো আরও তিন পণ্য

আপডেট: ০৫:৩৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে আরও তিনটি পণ্যকে অনুমোদন দিয়ে জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। পণ্য তিনটি হলো- যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা।। এ নিয়ে বাংলাদেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টি। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর স্বীকৃতি পায় আরও ২০টি পণ্য।

সেগুলো হলো- বাংলাদেশ ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারীভোগ, কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি, বাংলাদেশের শীতল পাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই ও কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।

সবশেষ গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর ও আতর এবং মুক্তগাছার মণ্ডা এই চার পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এর একদিন আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিনটি পণ্যের জিআই সনদ হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। পণ্য তিনটি হলো- টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লা।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৪৪

জিআই স্বীকৃতি পাওয়া পণ্যগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।

কোনো দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও মানুষের সৃজনশীলতা মিলে কোনো পণ্য তৈরি হলে তাকে বলা হয় সেই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। শুধু বাংলাদেশেই উৎপাদিত হয় এমন ৩১টি পণ্য এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব কর্তৃপক্ষ থেকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিপিডিটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন হয়। ২০১৫ সালে আইনের বিধিমালা তৈরির পর জিআই পণ্যের নিবন্ধন নিতে আহ্বান জানায় ডিপিডিটি। এর পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিআই পণ্য হিসেবে ২০১৬ সালে স্বীকৃতি পায় জামদানি শাড়ি।

ঢাকা/কেএ