১১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

জি আই পণ্যের তালিকা প্রস্তুত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৪০০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

সম্প্রতি কয়েকশ বছরের পুরোনো টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের দাবি করে জি আই (জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তারপর বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর এবার বাংলাদেশের জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জি আই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের তালিকা করতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

একইসঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। বাণিজ্য সচিব, কৃষি সচিব, সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে এ তালিকা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা। গতকাল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষাও হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জি আই হিসেবে নিবন্ধিত হলেও মোট ১৪টি পণ্যের জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া, আবেদনের প্রক্রিয়ার মাঝে আছে আরও দু’টি পণ্য।

কোনও পণ্যের জন্য আবেদন করার অর্থ এই নয় যে সেগুলো জি আই সনদ পাওয়ার মতো যোগ্য বা পাবেই। নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নির্ধারিত হয় যে কোন পণ্য এই তালিকায় উঠবে। যাচাই-বাছাইয়ের পর এগুলোর কোনওটি যদি জি-আই সনদ পেয়ে যায়, তাহলে তখন সেগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করবে।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

জি আই পণ্যের তালিকা প্রস্তুত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

আপডেট: ১২:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সম্প্রতি কয়েকশ বছরের পুরোনো টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের দাবি করে জি আই (জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তারপর বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর এবার বাংলাদেশের জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জি আই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের তালিকা করতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

একইসঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। বাণিজ্য সচিব, কৃষি সচিব, সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে এ তালিকা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা। গতকাল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষাও হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জি আই হিসেবে নিবন্ধিত হলেও মোট ১৪টি পণ্যের জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া, আবেদনের প্রক্রিয়ার মাঝে আছে আরও দু’টি পণ্য।

কোনও পণ্যের জন্য আবেদন করার অর্থ এই নয় যে সেগুলো জি আই সনদ পাওয়ার মতো যোগ্য বা পাবেই। নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নির্ধারিত হয় যে কোন পণ্য এই তালিকায় উঠবে। যাচাই-বাছাইয়ের পর এগুলোর কোনওটি যদি জি-আই সনদ পেয়ে যায়, তাহলে তখন সেগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করবে।

ঢাকা/কেএ