১০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাইয়ে প্রবাসী আয় কমেছে ২৫ শতাংশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০৩৯২ বার দেখা হয়েছে

দেশের চলমান অস্থিরতার মধ্যে রেমিট্যান্স শাটডাউন ঘোষণা করেছেন প্রবাসীরা।  যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়েছে প্রবাসী আয়ে।  জুন মাসের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত জুলাইয়ে প্রবাসী আয় কমেছে ৬৪ কোটি ডলার।বা ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯০ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এসেছিলো ১৯৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০২৩ সালের একই মাসের চেয়ে রেমিট্যান্স কমেছে ৭ কোটি ডলার। এছাড়া এর আগের মাস জুনে এসেছিলেো ২৫৪ কোটিডলার, সে হিসাবে রেমিট্যান্স কমেছে ৬৪ কোটি বা ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট বন্ধ থাকাসহ নানা কারণে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স কমেছে। আন্দোলনে সহিংসতায় বহু হতাহতের প্রতিবাদে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন করছেন অনেক প্রবাসী। যার প্রভাব ইতিমধ্যে সদ্য সমাপ্ত মাসের রেমিট্যান্সে দেখা গেছে।

জুলাইয়ের প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৬ কোটি ১২ লাখ ডলার। এটি আগের মাস জুনের চেয়ে কম। জুনে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫৪ কোটি ডলার। ওই মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় ছিল ৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।

আরও পড়ুন: ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার

অর্থনীতিবিদরা বলেন, রেমিট্যান্সের উপর ইতিমধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতেও যদি প্রবাসী আয় কমতে থাকে তাহলে অর্থনীতির জন্য খারাপ হবে। অপরদিকে একটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হলে অর্থ পাচারকারীরা সক্রিয় হয়। এতে অর্থপাঁচার বেড়ে যেতে পারে। চলমান অস্থিরতার মধ্যে প্রবাসীরা দেশে অর্থ পাঠালেও দেশে ডলার আসবে না। কারণে এক্ষেত্রে হুন্ডি বেছে নেবে তারা। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।

প্রবাসীদের মধ্যে ‘রেমিটেন্স শাটডাউন’ এর ব্যাপক প্রচারণার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকর পক্ষ থেকে কয়েকটি ব্যাংককে মৌখিকভাবে বেশি দরে রেমিট্যান্সের ডলার কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্সের ডলারের দর ১১৯ টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। বেশি দামে ডলার কেনার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী করা তোলা। অপরদিকে খোলাবাজারে ডলারের দর ছাড়িয়েছে ১২৫ টাকা।

সম্প্রতি বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করে এমন ১২টির মতো বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) এ নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর পর ব্যাংকগুলোতে ডলার রেট সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশের পর বেশ কয়েকটি ব্যাংক রেমিট্যান্স কেনার রেট ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৯ টাকা ৭০ পয়সা অফার করছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ম্যানুয়াল (বিপিএম) ৬ অনুযায়ী, ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

জুলাইয়ে প্রবাসী আয় কমেছে ২৫ শতাংশ

আপডেট: ০৬:০১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

দেশের চলমান অস্থিরতার মধ্যে রেমিট্যান্স শাটডাউন ঘোষণা করেছেন প্রবাসীরা।  যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়েছে প্রবাসী আয়ে।  জুন মাসের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত জুলাইয়ে প্রবাসী আয় কমেছে ৬৪ কোটি ডলার।বা ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯০ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এসেছিলো ১৯৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০২৩ সালের একই মাসের চেয়ে রেমিট্যান্স কমেছে ৭ কোটি ডলার। এছাড়া এর আগের মাস জুনে এসেছিলেো ২৫৪ কোটিডলার, সে হিসাবে রেমিট্যান্স কমেছে ৬৪ কোটি বা ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট বন্ধ থাকাসহ নানা কারণে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স কমেছে। আন্দোলনে সহিংসতায় বহু হতাহতের প্রতিবাদে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন করছেন অনেক প্রবাসী। যার প্রভাব ইতিমধ্যে সদ্য সমাপ্ত মাসের রেমিট্যান্সে দেখা গেছে।

জুলাইয়ের প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৬ কোটি ১২ লাখ ডলার। এটি আগের মাস জুনের চেয়ে কম। জুনে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫৪ কোটি ডলার। ওই মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় ছিল ৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।

আরও পড়ুন: ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার

অর্থনীতিবিদরা বলেন, রেমিট্যান্সের উপর ইতিমধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতেও যদি প্রবাসী আয় কমতে থাকে তাহলে অর্থনীতির জন্য খারাপ হবে। অপরদিকে একটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হলে অর্থ পাচারকারীরা সক্রিয় হয়। এতে অর্থপাঁচার বেড়ে যেতে পারে। চলমান অস্থিরতার মধ্যে প্রবাসীরা দেশে অর্থ পাঠালেও দেশে ডলার আসবে না। কারণে এক্ষেত্রে হুন্ডি বেছে নেবে তারা। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।

প্রবাসীদের মধ্যে ‘রেমিটেন্স শাটডাউন’ এর ব্যাপক প্রচারণার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকর পক্ষ থেকে কয়েকটি ব্যাংককে মৌখিকভাবে বেশি দরে রেমিট্যান্সের ডলার কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্সের ডলারের দর ১১৯ টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। বেশি দামে ডলার কেনার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী করা তোলা। অপরদিকে খোলাবাজারে ডলারের দর ছাড়িয়েছে ১২৫ টাকা।

সম্প্রতি বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করে এমন ১২টির মতো বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) এ নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর পর ব্যাংকগুলোতে ডলার রেট সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশের পর বেশ কয়েকটি ব্যাংক রেমিট্যান্স কেনার রেট ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৯ টাকা ৭০ পয়সা অফার করছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ম্যানুয়াল (বিপিএম) ৬ অনুযায়ী, ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার।

ঢাকা/এসএইচ