০৩:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩১১ বার দেখা হয়েছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তাদের অনেককে আমরা ধরেছি। বিদেশে যারা পালিয়ে আছে তাদেরকেও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের নৌ পুলিশ সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামি ১০৫ জন। সেখানে গ্রেপ্তার মাত্র ৩৫ জন। আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

গ্রেপ্তারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন তাদের অনেককে আমরা ধরেছি। আসল জন (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে নেই। আমরা তাকে কোথা থেকে ধরব। যারা দেশে নেই তাদের তো পুলিশ গিয়ে ধরে আনতে পারে না। এক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে, সেভাবে তাদের আনার কাজ চলছে।

একই প্রশ্নের জবাবে পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কিছু আসামির বিষয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশের অনুরোধ জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস দ্রুতই ইন্টারপোলের নোটিশ জারি হবে। তখন সংশ্লিষ্ট দেশের পুলিশের একটি নৈতিক দায়িত্ব হবে এসব আসামি গ্রেপ্তার করার। আমার বিশ্বাস তারা তাদের গ্রেপ্তার করবে।

থানা ও কারাগারে বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কীভাবে এটা মোকাবিলা করছে, হামলার প্রতিকার হচ্ছে না বলেই কি এমন ঘটনা ঘটছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিকার হচ্ছে। উত্তরার ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে, এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারাগারের ঘটনায়ও একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: সব আসামি খালাস

নানা অজুহাতে রাস্তা অবরোধ করা হচ্ছে, এগুলো সরকারকে অস্থিতিশীল করতে করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, কারণে অকারণে রাস্তাঘাট বন্ধ করা হচ্ছে। গণমাধ্যম ভালোভাবে প্রচার করলে জনগণ রুখে দেবে। ধৈর্যের সীমা শেষ করে দিচ্ছে। রাস্তা বন্ধ না করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ বলতে পারে। কর্তৃপক্ষ কাজ না করলে স্কুল বা কলেজের মাঠে আন্দোলন করতে পারে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কাজ যেন না করে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছয় মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কতটা সফল সেটা জনগণ বলতে পারবে। গণমাধ্যমের সহকর্মীরা বলতে পারবেন আমরা কেমন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েছি। সেই থেকে বর্তমান পরিস্থিতি কেমন। জনগণের আশা আমরা পূরণ করতে চেষ্টা করছি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নৌ পুলিশের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। তাদের নৌযান ও জনবলের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। এই নৌযান ও জনবলগুলো দিতে পারলে তারা আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ সেহেতু আমাদের নৌ পুলিশের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। নৌপথে অনেক ঘটনা ঘটেছে চাঁদাবাজি হচ্ছে এগুলো কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েই আমাদের এখানে এই আলোচনা হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট: ০১:২০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তাদের অনেককে আমরা ধরেছি। বিদেশে যারা পালিয়ে আছে তাদেরকেও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের নৌ পুলিশ সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামি ১০৫ জন। সেখানে গ্রেপ্তার মাত্র ৩৫ জন। আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

গ্রেপ্তারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন তাদের অনেককে আমরা ধরেছি। আসল জন (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে নেই। আমরা তাকে কোথা থেকে ধরব। যারা দেশে নেই তাদের তো পুলিশ গিয়ে ধরে আনতে পারে না। এক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে, সেভাবে তাদের আনার কাজ চলছে।

একই প্রশ্নের জবাবে পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কিছু আসামির বিষয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশের অনুরোধ জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস দ্রুতই ইন্টারপোলের নোটিশ জারি হবে। তখন সংশ্লিষ্ট দেশের পুলিশের একটি নৈতিক দায়িত্ব হবে এসব আসামি গ্রেপ্তার করার। আমার বিশ্বাস তারা তাদের গ্রেপ্তার করবে।

থানা ও কারাগারে বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কীভাবে এটা মোকাবিলা করছে, হামলার প্রতিকার হচ্ছে না বলেই কি এমন ঘটনা ঘটছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিকার হচ্ছে। উত্তরার ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে, এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারাগারের ঘটনায়ও একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: সব আসামি খালাস

নানা অজুহাতে রাস্তা অবরোধ করা হচ্ছে, এগুলো সরকারকে অস্থিতিশীল করতে করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, কারণে অকারণে রাস্তাঘাট বন্ধ করা হচ্ছে। গণমাধ্যম ভালোভাবে প্রচার করলে জনগণ রুখে দেবে। ধৈর্যের সীমা শেষ করে দিচ্ছে। রাস্তা বন্ধ না করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ বলতে পারে। কর্তৃপক্ষ কাজ না করলে স্কুল বা কলেজের মাঠে আন্দোলন করতে পারে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কাজ যেন না করে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছয় মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কতটা সফল সেটা জনগণ বলতে পারবে। গণমাধ্যমের সহকর্মীরা বলতে পারবেন আমরা কেমন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েছি। সেই থেকে বর্তমান পরিস্থিতি কেমন। জনগণের আশা আমরা পূরণ করতে চেষ্টা করছি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নৌ পুলিশের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। তাদের নৌযান ও জনবলের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। এই নৌযান ও জনবলগুলো দিতে পারলে তারা আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ সেহেতু আমাদের নৌ পুলিশের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। নৌপথে অনেক ঘটনা ঘটেছে চাঁদাবাজি হচ্ছে এগুলো কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েই আমাদের এখানে এই আলোচনা হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ