০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

জেড ক্যাটাগরি কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠনে নির্দেশনা জারি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:০১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৭৫৯ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে মন্দ কোম্পানি হিসেবে পরিচিত জেড জেট ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর পরিচালন মান উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড কমিশন (বিএসইসি) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপনে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ, গত ১৩ আগস্ট, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭৩৫তম কমিশন সভায় জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর বিষয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। বিএসইসির নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে ছিল-
জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির সকল স্পন্সর ও বর্তমান পরিচালকদের ধারণকৃত শেয়ার বিক্রয়, হস্তান্তর, স্থানান্তর এবং প্লেজ রাখায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ; কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন ইত্যাদি।

কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে আজ একটি গাইডলাইন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিএসইসি।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, জেড ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির স্পন্সর ও বর্তমান পরিচালকরা বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া তাদের ধারণকৃত শেয়ার বিক্রয়, হস্তান্তর, স্থানান্তর এবং প্লেজ রাখতে পারবে না।

আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে সকল খাতের জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হবে। কোম্পানির বর্তমান পরিচালকরাও নতুন পর্ষদে থাকার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। তবে পর্ষদে বিএসইসি মনোনীত এক বা একাধিক পরিচালক অন্তর্ভুক্ত হবেন।

জেড ক্যাটাগরির সব কোম্পানিকে আর্থিক বছর শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে হবে। শেয়ারহোল্ডারদের সরাসরি উপস্থিতি অথবা ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এই এজিএমের আয়োজন করা যাবে। তবে যে পদ্ধতিতেই করা হোক না কেন, এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের মতামত জানানো ও ভোট দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া কোনো শেয়ারহোল্ডার নিজে অংশ নিতে না পারলে তার মনোনীত ব্যক্তির মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।

যদি কোনো কোম্পানি পর পর দুই বছর এজিএম অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয় তাহলে বিএসইসি ওই কোম্পানিতে প্রশাসক বসাবে। কোম্পানির উদ্যোক্তা ও বর্তমান পরিচালকরা নতুন পর্ষদে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন। এছাড়া বিএসইসি ওই কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের উপর বিশেষ নিরীক্ষা চালাবে।

পুনর্গঠিত পর্ষদ ৪ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ব্যবসায়িক ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান, দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ এবং কোম্পানিটিকে লাভজনক করার পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।

পুনর্গঠিত পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার ৪ বছরের মধ্যেও কোম্পানির ব্যবসায়িক অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ওই কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করে দেবে।

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

জেড ক্যাটাগরি কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠনে নির্দেশনা জারি

আপডেট: ০৯:০১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০

পুঁজিবাজারে মন্দ কোম্পানি হিসেবে পরিচিত জেড জেট ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর পরিচালন মান উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড কমিশন (বিএসইসি) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপনে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ, গত ১৩ আগস্ট, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭৩৫তম কমিশন সভায় জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর বিষয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। বিএসইসির নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে ছিল-
জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির সকল স্পন্সর ও বর্তমান পরিচালকদের ধারণকৃত শেয়ার বিক্রয়, হস্তান্তর, স্থানান্তর এবং প্লেজ রাখায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ; কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন ইত্যাদি।

কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে আজ একটি গাইডলাইন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিএসইসি।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, জেড ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির স্পন্সর ও বর্তমান পরিচালকরা বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া তাদের ধারণকৃত শেয়ার বিক্রয়, হস্তান্তর, স্থানান্তর এবং প্লেজ রাখতে পারবে না।

আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে সকল খাতের জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হবে। কোম্পানির বর্তমান পরিচালকরাও নতুন পর্ষদে থাকার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। তবে পর্ষদে বিএসইসি মনোনীত এক বা একাধিক পরিচালক অন্তর্ভুক্ত হবেন।

জেড ক্যাটাগরির সব কোম্পানিকে আর্থিক বছর শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে হবে। শেয়ারহোল্ডারদের সরাসরি উপস্থিতি অথবা ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এই এজিএমের আয়োজন করা যাবে। তবে যে পদ্ধতিতেই করা হোক না কেন, এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের মতামত জানানো ও ভোট দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া কোনো শেয়ারহোল্ডার নিজে অংশ নিতে না পারলে তার মনোনীত ব্যক্তির মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।

যদি কোনো কোম্পানি পর পর দুই বছর এজিএম অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয় তাহলে বিএসইসি ওই কোম্পানিতে প্রশাসক বসাবে। কোম্পানির উদ্যোক্তা ও বর্তমান পরিচালকরা নতুন পর্ষদে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন। এছাড়া বিএসইসি ওই কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের উপর বিশেষ নিরীক্ষা চালাবে।

পুনর্গঠিত পর্ষদ ৪ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ব্যবসায়িক ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান, দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ এবং কোম্পানিটিকে লাভজনক করার পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।

পুনর্গঠিত পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার ৪ বছরের মধ্যেও কোম্পানির ব্যবসায়িক অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ওই কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করে দেবে।