১১:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

জ্বরঠোসা  সারানোর ঘরোয়া উপায়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:১২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪১৬৫ বার দেখা হয়েছে

জ্বর হলে জ্বরঠোসার সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরই ঠোঁটের কোণে। এক্ষেত্রে ঠোঁটের আশপাশে ছোট ছোট একগুচ্ছ ফুসকুঁড়ি দেখা দেয়। যা প্রচণ্ড ব্যথা ও চুলকানির সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে ফুলে যায়। জ্বরঠোসা হলে মুখ খুলে খাবার খেতে এমনকি কথা বলা বা হাসতে গেলেও কষ্ট হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জ্বরঠোসাকে চিকিৎসার পরিভাষায় ফিভার ব্লিস্টার বলা হয়। রাতে জ্বর আসলেই যে জ্বরঠোসা হয়, তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মত ভিন্ন। জ্বরঠোসা হওয়ার আরও কারণ আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিভার ব্লিস্টার হওয়ার কারণ হলো এইচএসভি ১ সংক্রমণ।

এই সংক্রমণের ফলে জ্বর আসে। আবার জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এছাড়া ভিটামিন সি ও ডি’র ঘাটতি হলেও জ্বরঠোসা হতে পারে।

জানলে অবাক হবেন, প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই এইচএসভি ১ এ আক্রান্ত হন। যা সুপ্ত অবস্থায় থাকে। প্রথমবার হওয়া ফিভার ব্লিস্টার সেরে যাওয়ার পর এইচএসভি ১ স্নায়ুকোষে লুকিয়ে থাকে। পরবর্তীতে আবারও এটি প্রকাশ পায়।

জ্বরঠোসার লক্ষণ কী কী?

১. ঠোঁটের কোণে, বর্ডারে বা বর্ডারের আশেপাশে গুচ্ছ-বদ্ধ ফুসকুড়ি
২. জ্বর
৩. ব্যথা
৪. বমিভাব কিংবা বমি
৫. মাথাব্যথা
৬. খেতে অসুবিধা
৭. ঠোঁটে জ্বালা করা
৮. ঠোঁট বারবার শুকনো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

জ্বরঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায় কী?

বরফ

জ্বরঠোসার স্থানে বরফ ব্যবহার করলে ব্যথা কমে। এজন্য একটি কাপড়ে বরফ মুড়ে ক্ষত স্থানে ৫ মিনিট ধরে রাখুন। তবে ১৫ মিনিটের বেশি নয়। ত্বকে সরাসরি বরফ লাগাবেন না, তাহলে ক্ষত আরও বাড়তে পারে। দৈনিক ৩ বার করে অন্তত ৫দিন ব্যবহার করুন আইসপ্যাক

জিংক থেরাপি

২০০১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, জিঙ্ক অক্সাইড ও গ্লাইসিনযুক্ত একটি ক্রিম প্লেসবো ক্রিমের তুলনায় ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করতে বাঁধা দিতে জিঙ্ক অক্সাইডের ভূমিকা আছে।

এজন্য অবম্যই জিঙ্ক সালফেট সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। সাময়িক চিকিত্সার জন্য, আপনি দিনে ৪ বার করে ঘা না শুকানো পর্যন্ত জিঙ্ক অক্সাইড ক্রিম প্রয়োগ করতে পারেন।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে একদিনে নয় মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২২৮৮

অরেগানো অয়েল

হারপিসসহ বিভিন্ন ভাইরাসকে বাধা দিতে প্রাকৃতিক এই তেল বিশেষ কার্যকরী। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে পাতলা করে তেল প্রয়োগ করুন। একটি তুলোর বলে অরেগানো তেল দিয়ে সারাদিন কয়েকবার আক্রান্ত স্থানে লাগান।

চা গাছের তেল

টি ট্রি অয়েলও বিভিন্ন প্রদাহ সারাতে কাজ করে। একটি তুলোর বলে চা গাছের তেল নিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার জ্বরঠোসায় ব্যবহার করুন। দেখবেন দ্রুত সেরে যাবে ঘা।

আপেল সিডার ভিনেগার

সামান্য আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে পানি মিশিয়ে তুলোর বল ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে কয়েক মিনিটের জন্য ধরে রাখুন।

সূত্র: হেলথলাইন

ঢাকা/ এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

জ্বরঠোসা  সারানোর ঘরোয়া উপায়

আপডেট: ০২:১২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

জ্বর হলে জ্বরঠোসার সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরই ঠোঁটের কোণে। এক্ষেত্রে ঠোঁটের আশপাশে ছোট ছোট একগুচ্ছ ফুসকুঁড়ি দেখা দেয়। যা প্রচণ্ড ব্যথা ও চুলকানির সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে ফুলে যায়। জ্বরঠোসা হলে মুখ খুলে খাবার খেতে এমনকি কথা বলা বা হাসতে গেলেও কষ্ট হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জ্বরঠোসাকে চিকিৎসার পরিভাষায় ফিভার ব্লিস্টার বলা হয়। রাতে জ্বর আসলেই যে জ্বরঠোসা হয়, তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মত ভিন্ন। জ্বরঠোসা হওয়ার আরও কারণ আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিভার ব্লিস্টার হওয়ার কারণ হলো এইচএসভি ১ সংক্রমণ।

এই সংক্রমণের ফলে জ্বর আসে। আবার জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এছাড়া ভিটামিন সি ও ডি’র ঘাটতি হলেও জ্বরঠোসা হতে পারে।

জানলে অবাক হবেন, প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই এইচএসভি ১ এ আক্রান্ত হন। যা সুপ্ত অবস্থায় থাকে। প্রথমবার হওয়া ফিভার ব্লিস্টার সেরে যাওয়ার পর এইচএসভি ১ স্নায়ুকোষে লুকিয়ে থাকে। পরবর্তীতে আবারও এটি প্রকাশ পায়।

জ্বরঠোসার লক্ষণ কী কী?

১. ঠোঁটের কোণে, বর্ডারে বা বর্ডারের আশেপাশে গুচ্ছ-বদ্ধ ফুসকুড়ি
২. জ্বর
৩. ব্যথা
৪. বমিভাব কিংবা বমি
৫. মাথাব্যথা
৬. খেতে অসুবিধা
৭. ঠোঁটে জ্বালা করা
৮. ঠোঁট বারবার শুকনো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

জ্বরঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায় কী?

বরফ

জ্বরঠোসার স্থানে বরফ ব্যবহার করলে ব্যথা কমে। এজন্য একটি কাপড়ে বরফ মুড়ে ক্ষত স্থানে ৫ মিনিট ধরে রাখুন। তবে ১৫ মিনিটের বেশি নয়। ত্বকে সরাসরি বরফ লাগাবেন না, তাহলে ক্ষত আরও বাড়তে পারে। দৈনিক ৩ বার করে অন্তত ৫দিন ব্যবহার করুন আইসপ্যাক

জিংক থেরাপি

২০০১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, জিঙ্ক অক্সাইড ও গ্লাইসিনযুক্ত একটি ক্রিম প্লেসবো ক্রিমের তুলনায় ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করতে বাঁধা দিতে জিঙ্ক অক্সাইডের ভূমিকা আছে।

এজন্য অবম্যই জিঙ্ক সালফেট সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। সাময়িক চিকিত্সার জন্য, আপনি দিনে ৪ বার করে ঘা না শুকানো পর্যন্ত জিঙ্ক অক্সাইড ক্রিম প্রয়োগ করতে পারেন।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে একদিনে নয় মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২২৮৮

অরেগানো অয়েল

হারপিসসহ বিভিন্ন ভাইরাসকে বাধা দিতে প্রাকৃতিক এই তেল বিশেষ কার্যকরী। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে পাতলা করে তেল প্রয়োগ করুন। একটি তুলোর বলে অরেগানো তেল দিয়ে সারাদিন কয়েকবার আক্রান্ত স্থানে লাগান।

চা গাছের তেল

টি ট্রি অয়েলও বিভিন্ন প্রদাহ সারাতে কাজ করে। একটি তুলোর বলে চা গাছের তেল নিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার জ্বরঠোসায় ব্যবহার করুন। দেখবেন দ্রুত সেরে যাবে ঘা।

আপেল সিডার ভিনেগার

সামান্য আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে পানি মিশিয়ে তুলোর বল ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে কয়েক মিনিটের জন্য ধরে রাখুন।

সূত্র: হেলথলাইন

ঢাকা/ এসএম