০৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

টিকটকে ফেইস ভিডিও প্রকাশে সতর্ক করলো বিশেষজ্ঞরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১০৩৯৩ বার দেখা হয়েছে

টিকটকের চুল পড়ার চিকিৎসা বিষয়ক ফুল ফেইস ভাইরাল ভিডিও প্রকাশে সতর্ক করছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ভাইরাল ভিডিওতে যেসব ব্যক্তির চেহারা, মুখ ও গলা দেখানো হয়েছে, সেসব ব্যক্তির চেহারা, মুখ ও গলা বিশেষ করে কান ও নাকের ছবি সরিয়ে ফেলা হবে। 

ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অব ডার্মাটোলজিস্ট বলছে, ‘চুল পড়া চিকিৎসার ভিডিওতে নাক ও কানের ভেতরের ছবি তুলতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’ 

যুক্তরাজ্যভিত্তিক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাক ও কানের ছবি তোলার কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা তৈরি হওয়ার ঝুঁকির কারণে সতর্ক করা হচ্ছে। ‘টিকটককেও এই বিষয়ে সতর্ক করা উচিত’, বলেছেন একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। 

‘বিশ্বে সবার আগে আমিই এই ধরনের ভিডিও তৈরি করেছি’

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল বলছে, নেদারল্যান্ডে অবস্থিত কাপসালন ফ্রিডম নামে একটি সেলুনকে ৮ লা টিকটক ব্যবহারকারী অনুসরণ করেন। ৮ কোটি ৪০ লাখ ব্যবহারকারী তাদের প্রথম ভিডিওটি দেখেছে। ভিডিওটির শেষাংশে একজন কাস্টমারের চেহারা দেখানো হয়েছে। 

সেলুনটির একজন নাপিত রেনাজ ইসমাইল বলেছেন, তার জন্মস্থান মধ্যপ্রাচ্যে চুল পড়ার ভিডিওতে চেহারা দেখানো একটি সাধারণ ঘটনা। তিনি বলেন, ‘বিশ্বে সবার আগে আমিই এই ধরনের ভিডিও তৈরি করেছি। এই ধরনের ভিডিও চামড়ার জন্য ক্ষতিকর নয়।’ 

নেই জনপ্রিয়তা

ইসমাইল এখন তার ভিডিও ক্লিপ প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ ভাইরাল ব্যবহার করছেন। তিনি এসব ভিডিও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে প্রকাশ করেন। কিন্তু সেগুলো তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। 

‘শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যাহত হওয়াই মূল কারণ’

পশ্চিম সাসেক্সে অবস্থিত জন অ্যান্ড গিংগার সেলুনে কর্মরত এক নাপিত অ্যালেক্স ইচেভেরি নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এর মাধ্যমে শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যাহত হবে। এটিই মূল কারণ।’ 

‘মারাত্মক ক্ষতিকর’

ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশন বলছে, কোনো কোনো ভিডিওতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে। ডাঃ ইমা ওয়েজওয়ার্থ বলেন, ‘ভিডিওতে আমি ব্যক্তিগতভাবে শিশুদের ব্যবহার করার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ভিডিওতে শিশুদের ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতিকর। এই বিষয়ে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করাই অভিপ্রেত।’

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

টিকটকে ফেইস ভিডিও প্রকাশে সতর্ক করলো বিশেষজ্ঞরা

আপডেট: ০৬:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

টিকটকের চুল পড়ার চিকিৎসা বিষয়ক ফুল ফেইস ভাইরাল ভিডিও প্রকাশে সতর্ক করছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ভাইরাল ভিডিওতে যেসব ব্যক্তির চেহারা, মুখ ও গলা দেখানো হয়েছে, সেসব ব্যক্তির চেহারা, মুখ ও গলা বিশেষ করে কান ও নাকের ছবি সরিয়ে ফেলা হবে। 

ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অব ডার্মাটোলজিস্ট বলছে, ‘চুল পড়া চিকিৎসার ভিডিওতে নাক ও কানের ভেতরের ছবি তুলতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’ 

যুক্তরাজ্যভিত্তিক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাক ও কানের ছবি তোলার কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা তৈরি হওয়ার ঝুঁকির কারণে সতর্ক করা হচ্ছে। ‘টিকটককেও এই বিষয়ে সতর্ক করা উচিত’, বলেছেন একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। 

‘বিশ্বে সবার আগে আমিই এই ধরনের ভিডিও তৈরি করেছি’

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল বলছে, নেদারল্যান্ডে অবস্থিত কাপসালন ফ্রিডম নামে একটি সেলুনকে ৮ লা টিকটক ব্যবহারকারী অনুসরণ করেন। ৮ কোটি ৪০ লাখ ব্যবহারকারী তাদের প্রথম ভিডিওটি দেখেছে। ভিডিওটির শেষাংশে একজন কাস্টমারের চেহারা দেখানো হয়েছে। 

সেলুনটির একজন নাপিত রেনাজ ইসমাইল বলেছেন, তার জন্মস্থান মধ্যপ্রাচ্যে চুল পড়ার ভিডিওতে চেহারা দেখানো একটি সাধারণ ঘটনা। তিনি বলেন, ‘বিশ্বে সবার আগে আমিই এই ধরনের ভিডিও তৈরি করেছি। এই ধরনের ভিডিও চামড়ার জন্য ক্ষতিকর নয়।’ 

নেই জনপ্রিয়তা

ইসমাইল এখন তার ভিডিও ক্লিপ প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ ভাইরাল ব্যবহার করছেন। তিনি এসব ভিডিও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে প্রকাশ করেন। কিন্তু সেগুলো তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। 

‘শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যাহত হওয়াই মূল কারণ’

পশ্চিম সাসেক্সে অবস্থিত জন অ্যান্ড গিংগার সেলুনে কর্মরত এক নাপিত অ্যালেক্স ইচেভেরি নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এর মাধ্যমে শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যাহত হবে। এটিই মূল কারণ।’ 

‘মারাত্মক ক্ষতিকর’

ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশন বলছে, কোনো কোনো ভিডিওতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে। ডাঃ ইমা ওয়েজওয়ার্থ বলেন, ‘ভিডিওতে আমি ব্যক্তিগতভাবে শিশুদের ব্যবহার করার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ভিডিওতে শিশুদের ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতিকর। এই বিষয়ে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করাই অভিপ্রেত।’

 

আরও পড়ুন: