০৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রেকর্ড পরিমাণ মূল্য বেড়েছে বিটকয়েনের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৫৪ বার দেখা হয়েছে

ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের ৫০ হাজার ডলার মূল্য বেড়েছে। বিটকয়েনের এই মূল্যবৃদ্ধি রেকর্ড পরিমাণ বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি। চলতি বছরে ৭২ শতাংশ মূল্য বেড়েছে বিটকয়েনের। 

দিন দিন বিটকয়েনের মূল্য বাড়ার সঙ্গে চাহিদাও বেড়েছে। কিন্তু অর্থ নিয়ন্ত্রকরা বিটকয়েন ও অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিকে প্রচলিত অর্থব্যবস্থার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। 

চলতি বছরে এলন মাস্কের টেসলা ১৫০ কোটি ডলার দিয়ে বিটকয়েন কিনে নেয়ার পর থেকে বিটকয়েনের মূল্য বেড়েই চলেছে। 
টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক বলেন, তারা এখন থেকে বিটকয়েনের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করবে। 

অনেকেই বলছেন, ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েন সোনার মতো মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ব্লকচেইন কোম্পানি আভা ল্যাবসের প্রেসিডেন্ট জন য়ু বলেন, ‘বিটকয়েন ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে সফলতা অর্জন করলে প্রতিটি বিটকয়েনের মূল্য ৫০ হাজার ডলার হবে এবং বাজারে এর পরিমাণ হবে ৯৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার যা বিশ্বে মজুদকৃত সোনার প্রায় ৯ শতাংশ।’ 

বিটকয়েনের মূল্য বেড়েই চলেছে

অন্যান্য পণ্যদ্রব্যের মতো বিটকয়েন যে কোনো পণ্যের বিনিময় মাধ্যম হবে না। এই কারণে এর মূল্য নির্ধারণ করা অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। সীমিত পরিসরে ব্যবসায়ের সুযোগ থাকার কারণে এর মূল্য অনেক বেশি। বিটকয়েনের সমর্থকরা মূল্য আরও বেশি হওয়ার অপেক্ষা করছেন। কারণ স্থাবর সম্পত্তির মূল্যের মতোই বিটকয়েনের মূল্য পরিবর্তনশীল। 

বিটকয়েনের অর্থনৈতিক রক্ষাকর্তা ফিন্যান্সিয়্যাল কনডাক্ট অথরিটি (এফসিএ) ২০২০ সালের ৩০ জুন ৫২টি ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। আরপিসির অংশীদার স্যাম টেট বলেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এই ধরনের জালিয়াতচক্রের বিষয়ে আমরা আশা করবো এফসিএ আরও তদন্ত করবে। এই বিষয়ে তারা তদন্ত করা ছেড়ে দেবে না।’ 

স্যাম আরও বলেন, ‘তাদেরকে সম্মান করার অর্থ হলো অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ও অনলাইন জালিয়াতচক্রকে উৎসাহিত করা।’ তবে এই বিষয় নিয়ে এফসিএ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। গত ৪ জানুয়ারি বিটকয়েনের মূল্য হয়েছিলো ৫ হাজার ডলার। ১১ জানুয়ারি সেটি বেড়ে ৯ হাজার থেকে ৩২ হাজার ডলারে উঠে যায়।

উল্লেখ্য, গত মাসে এফসিএ কথিত ক্রিপ্টোঅ্যাসেটের বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করেছিলো। তারা বলেছিলো, বিটকয়েনসহ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য বেড়ে যাওয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের উপার্জিত অর্থ হারানোর প্রস্তুতি নিতে হবে।

 

আরও পড়ুন:

 

শেয়ার করুন

x
English Version

রেকর্ড পরিমাণ মূল্য বেড়েছে বিটকয়েনের

আপডেট: ০৬:২৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের ৫০ হাজার ডলার মূল্য বেড়েছে। বিটকয়েনের এই মূল্যবৃদ্ধি রেকর্ড পরিমাণ বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি। চলতি বছরে ৭২ শতাংশ মূল্য বেড়েছে বিটকয়েনের। 

দিন দিন বিটকয়েনের মূল্য বাড়ার সঙ্গে চাহিদাও বেড়েছে। কিন্তু অর্থ নিয়ন্ত্রকরা বিটকয়েন ও অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিকে প্রচলিত অর্থব্যবস্থার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। 

চলতি বছরে এলন মাস্কের টেসলা ১৫০ কোটি ডলার দিয়ে বিটকয়েন কিনে নেয়ার পর থেকে বিটকয়েনের মূল্য বেড়েই চলেছে। 
টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক বলেন, তারা এখন থেকে বিটকয়েনের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করবে। 

অনেকেই বলছেন, ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েন সোনার মতো মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ব্লকচেইন কোম্পানি আভা ল্যাবসের প্রেসিডেন্ট জন য়ু বলেন, ‘বিটকয়েন ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে সফলতা অর্জন করলে প্রতিটি বিটকয়েনের মূল্য ৫০ হাজার ডলার হবে এবং বাজারে এর পরিমাণ হবে ৯৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার যা বিশ্বে মজুদকৃত সোনার প্রায় ৯ শতাংশ।’ 

বিটকয়েনের মূল্য বেড়েই চলেছে

অন্যান্য পণ্যদ্রব্যের মতো বিটকয়েন যে কোনো পণ্যের বিনিময় মাধ্যম হবে না। এই কারণে এর মূল্য নির্ধারণ করা অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। সীমিত পরিসরে ব্যবসায়ের সুযোগ থাকার কারণে এর মূল্য অনেক বেশি। বিটকয়েনের সমর্থকরা মূল্য আরও বেশি হওয়ার অপেক্ষা করছেন। কারণ স্থাবর সম্পত্তির মূল্যের মতোই বিটকয়েনের মূল্য পরিবর্তনশীল। 

বিটকয়েনের অর্থনৈতিক রক্ষাকর্তা ফিন্যান্সিয়্যাল কনডাক্ট অথরিটি (এফসিএ) ২০২০ সালের ৩০ জুন ৫২টি ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। আরপিসির অংশীদার স্যাম টেট বলেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এই ধরনের জালিয়াতচক্রের বিষয়ে আমরা আশা করবো এফসিএ আরও তদন্ত করবে। এই বিষয়ে তারা তদন্ত করা ছেড়ে দেবে না।’ 

স্যাম আরও বলেন, ‘তাদেরকে সম্মান করার অর্থ হলো অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ও অনলাইন জালিয়াতচক্রকে উৎসাহিত করা।’ তবে এই বিষয় নিয়ে এফসিএ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। গত ৪ জানুয়ারি বিটকয়েনের মূল্য হয়েছিলো ৫ হাজার ডলার। ১১ জানুয়ারি সেটি বেড়ে ৯ হাজার থেকে ৩২ হাজার ডলারে উঠে যায়।

উল্লেখ্য, গত মাসে এফসিএ কথিত ক্রিপ্টোঅ্যাসেটের বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করেছিলো। তারা বলেছিলো, বিটকয়েনসহ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য বেড়ে যাওয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের উপার্জিত অর্থ হারানোর প্রস্তুতি নিতে হবে।

 

আরও পড়ুন: