ডিএমপি কমিশনারের মেয়াদ বাড়লো

- আপডেট: ০৪:০৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
- / ১০৩৫১ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে অতিরিক্ত আইজিপি মোহা: শফিকুল ইসলামকে আরো এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উসচিব অলিউর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী মোহা. শফিকুল ইসলামকে তার অবসরোত্তর ছুটি ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতের শর্তে আগামী ৩০ অক্টোবর অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর মেয়াদে ডিএমপি কমিশনার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হলো। এ নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
উল্লেখ্য, মোহা: শফিকুল ইসলামকে ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ডিএমপির ৩৪তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেয় সরকার। তার চাকরির বয়স শেষে ৩০ অক্টোবর তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। জানা গেছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতামূলক পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সঠিকভাবে দায়িত্বে পালন করায় তাকে দায়িত্বে বহাল রাখে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর আগে তিনি সিআইডি প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অষ্টম ব্যাচের এ কর্মকর্তা ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। মোহা: শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবনে তিনি নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী, সুনামগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলায় পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রামের রেঞ্জ ডিআইজি ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এইচআরএম শাখার প্রধান ও সিআইডি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শফিকুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার নওদাবন্ড বিল দোয়ারপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো: শওকত আলী ও মায়ের নাম বেগম সুফিয়া খাতুন।
ঢাকা/এমটি