০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ১১৪ কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪২৫৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (৯ থেকে ১৩ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিন কর্মদিবস পতন আর দুই কর্মদিবস উত্থানের মধ্য শেষ হয়েছে।বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ১১৪ কোটি ৪ লাখ লাখ টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২২.৭২ শতাংশ। প্রায় একই চিত্র দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৬ কোটি ৩ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬২ হাজার ৯১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১১৪ কোটি ৪ লাখ টাকা।

গেল সপ্তাহে মোট পাঁচ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৮৪টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩৮টির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৭৬টির, কমেছিল ৫৮টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

তাতে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: ১০ কোম্পানির ‍ডিভিডেন্ড ঘোষণা

ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ দশমিক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এ সপ্তাহে ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ার লেনদেন হয়নি ২ শতাধিক কোম্পানির। এ কারণে লেনদেন হওয়া বড় বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৩৬ কোটি ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৮ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮৯৩ কোটি ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৮ টাকা। অর্থাৎ ৬৫৭ কোটি ২৬ লাখ ৪২ হাজার ২৮৭ টাকার শেয়ার লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসাবে ২২ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আমরা নেটওয়ার্কসের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে, জেনেক্স ইনফোসিস, জেমিনি সি ফুড, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার, এপেক্স ফুটওয়্যার, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ইউনিক হোটেল, ওনিয়ন ইনফিউশন এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রজ লিমিটেডের শেয়ার।

আরও পড়ুন: ডিএসই’র পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ৪৯ শতাংশ

দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে লেনদেনেও প্রায় একই চিত্র ছিল। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ১ লাখ ১৫ হাজার হাজার ৩৪৭ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৯ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার হাজার ৪১৯টাকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ৫৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার সিএসইর মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬০৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৪৬৯ কোটি ২ লাখ টাকা।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ১১৪ কোটি টাকা

আপডেট: ০১:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (৯ থেকে ১৩ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিন কর্মদিবস পতন আর দুই কর্মদিবস উত্থানের মধ্য শেষ হয়েছে।বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ১১৪ কোটি ৪ লাখ লাখ টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২২.৭২ শতাংশ। প্রায় একই চিত্র দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৬ কোটি ৩ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬২ হাজার ৯১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১১৪ কোটি ৪ লাখ টাকা।

গেল সপ্তাহে মোট পাঁচ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৮৪টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩৮টির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৭৬টির, কমেছিল ৫৮টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

তাতে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: ১০ কোম্পানির ‍ডিভিডেন্ড ঘোষণা

ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ দশমিক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এ সপ্তাহে ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ার লেনদেন হয়নি ২ শতাধিক কোম্পানির। এ কারণে লেনদেন হওয়া বড় বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৩৬ কোটি ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৮ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮৯৩ কোটি ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৮ টাকা। অর্থাৎ ৬৫৭ কোটি ২৬ লাখ ৪২ হাজার ২৮৭ টাকার শেয়ার লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসাবে ২২ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আমরা নেটওয়ার্কসের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে, জেনেক্স ইনফোসিস, জেমিনি সি ফুড, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার, এপেক্স ফুটওয়্যার, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ইউনিক হোটেল, ওনিয়ন ইনফিউশন এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রজ লিমিটেডের শেয়ার।

আরও পড়ুন: ডিএসই’র পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ৪৯ শতাংশ

দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে লেনদেনেও প্রায় একই চিত্র ছিল। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ১ লাখ ১৫ হাজার হাজার ৩৪৭ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৯ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার হাজার ৪১৯টাকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ৫৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার সিএসইর মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬০৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৪৬৯ কোটি ২ লাখ টাকা।

ঢাকা/টিএ