০৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ৯৫৫ কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪২৮৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩০ মার্চ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের সাথে কমেছে লেনদেন। বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯৫৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বা দশমিক ১৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে মোট লেনদেন কমলেও গড়ে বেড়েছে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। নিষ্ক্রিয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় করতে নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই ফলশ্রুতিতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেনের সাথে বেড়েছে বাজার মূলধন, যা পুঁজিবাজারের জন্য ভালো দিক হিসেবে বিবেচনা করে।

বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৪১০ কোটি ৯৩ লাখ ২১ হাজার ৪০৯ টাকা। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩১ লাখ ২০ হাজার ৪৩১ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৯৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ৯৯ হাজার ২২ টাকা বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে হয়েছিল ১ হাজার ৭৬২ কোটি ৩ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ১২২ কোটি ৮৬ লাখ কমেছে।

আরও পড়ুন: ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে ৪০৯ কোটি ৭৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৩ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৫২ কোটি ৪০ লাখ ৬৬ হাজার ৭৪৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে গড় লেনদেন বেড়েছে ৫৭ কোটি ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৮৭ টাকা বা ১৬.৮ শতাংশ।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২০৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ২০৯ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯১টির, কমেছে ৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩৭টির শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে ছিল ৬৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ৫০ কোটি ৫২ লাখ টাকা টাকার।

সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৮৮ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ১৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪৬টির দর বেড়েছে, ৪৩টির দর কমেছে এবং ৯৮ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের সিএসইর শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৯ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫৭৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ৯৫৫ কোটি টাকা

আপডেট: ১২:২০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩০ মার্চ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের সাথে কমেছে লেনদেন। বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯৫৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বা দশমিক ১৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে মোট লেনদেন কমলেও গড়ে বেড়েছে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। নিষ্ক্রিয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় করতে নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই ফলশ্রুতিতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেনের সাথে বেড়েছে বাজার মূলধন, যা পুঁজিবাজারের জন্য ভালো দিক হিসেবে বিবেচনা করে।

বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৪১০ কোটি ৯৩ লাখ ২১ হাজার ৪০৯ টাকা। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩১ লাখ ২০ হাজার ৪৩১ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৯৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ৯৯ হাজার ২২ টাকা বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে হয়েছিল ১ হাজার ৭৬২ কোটি ৩ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ১২২ কোটি ৮৬ লাখ কমেছে।

আরও পড়ুন: ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে ৪০৯ কোটি ৭৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৩ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৫২ কোটি ৪০ লাখ ৬৬ হাজার ৭৪৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে গড় লেনদেন বেড়েছে ৫৭ কোটি ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৮৭ টাকা বা ১৬.৮ শতাংশ।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২০৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ২০৯ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯১টির, কমেছে ৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩৭টির শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে ছিল ৬৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ৫০ কোটি ৫২ লাখ টাকা টাকার।

সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৮৮ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ১৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪৬টির দর বেড়েছে, ৪৩টির দর কমেছে এবং ৯৮ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের সিএসইর শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৯ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫৭৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

ঢাকা/টিএ