১০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট হলেন বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৩২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৩০০ বার দেখা হয়েছে

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-‌দেলদুয়ার) আস‌নের সংসদ সদস্য আহসানুল ইস‌লাম টিটু‌। তিনি একজন পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ এবং রাজনীতিবিদ। তি‌নি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচ‌নেও আওয়ামী লী‌গের টি‌কিটে একই আসনে সংসদ সদস্য হন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এছাড়া তি‌নি ২০১৩-১৪ মেয়াদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন ক‌রেন। ব্যবসায়ী হি‌সে‌বেও প‌রি‌চিত টিটু সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

আহসানুল ইসলাম টিটো ১৯৬৯ সালে টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল থেকে এসএসসি ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে উচ্চ শিক্ষার জন্য থাইল্যান্ডে যান তিনি। থাইল্যান্ড থেকে বিবিএ ও যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএ শেষ করে দেশে ফিরে ১৯৯৩ সালে ডিএসইর সদস্য হিসাবে ব্যবসা শুরু করেন তিনি।

সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম হক টিটুর বাবা মকবুল হো‌সেন ঢাকা-৯ আসন থেকে ১৯৯৬ সা‌লে সংসদ সদস্য নির্বা‌চিত হন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গতকাল ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন সংসদ সদস্যরা। শপথ নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেন।

সংসদ নেতা হওয়ার পর বুধবার বিকেলে সংসদ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি শেখ হাসিনাকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানান।

এরপর প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভা গঠন করেন এবং বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী গঠিত মন্ত্রিসভায় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এরপর মন্ত্রিসভার ওই তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বুধবার রাতে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তালিকায় থাকা ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন। ওই তালিকার একটি কপি তিনি সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।

আরও পড়ুন: পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা

নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গোলযোগের কারণে একটি আসনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২ আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। বাকি ৬৫ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।

শেয়ার করুন

x

ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট হলেন বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী

আপডেট: ১০:৩২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-‌দেলদুয়ার) আস‌নের সংসদ সদস্য আহসানুল ইস‌লাম টিটু‌। তিনি একজন পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ এবং রাজনীতিবিদ। তি‌নি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচ‌নেও আওয়ামী লী‌গের টি‌কিটে একই আসনে সংসদ সদস্য হন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এছাড়া তি‌নি ২০১৩-১৪ মেয়াদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন ক‌রেন। ব্যবসায়ী হি‌সে‌বেও প‌রি‌চিত টিটু সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

আহসানুল ইসলাম টিটো ১৯৬৯ সালে টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল থেকে এসএসসি ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে উচ্চ শিক্ষার জন্য থাইল্যান্ডে যান তিনি। থাইল্যান্ড থেকে বিবিএ ও যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএ শেষ করে দেশে ফিরে ১৯৯৩ সালে ডিএসইর সদস্য হিসাবে ব্যবসা শুরু করেন তিনি।

সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম হক টিটুর বাবা মকবুল হো‌সেন ঢাকা-৯ আসন থেকে ১৯৯৬ সা‌লে সংসদ সদস্য নির্বা‌চিত হন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গতকাল ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন সংসদ সদস্যরা। শপথ নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেন।

সংসদ নেতা হওয়ার পর বুধবার বিকেলে সংসদ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি শেখ হাসিনাকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানান।

এরপর প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভা গঠন করেন এবং বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী গঠিত মন্ত্রিসভায় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এরপর মন্ত্রিসভার ওই তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বুধবার রাতে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তালিকায় থাকা ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন। ওই তালিকার একটি কপি তিনি সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।

আরও পড়ুন: পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা

নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গোলযোগের কারণে একটি আসনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২ আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। বাকি ৬৫ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।