ডিশ দেখতে লাগবে সেট টপ বক্স

- আপডেট: ১২:২০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১
- / ১০৪২০ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের দর্শক ও সমগ্র টেলিভিশন অঙ্গণের সুবিধার্থেই ডিজিটাল পদ্ধতি। দেশে টিভি কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে টেলিভিশনের দর্শক, মালিক, কেবল অপারেটরসহ সকলেই উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ডিশ ব্যবহারকারীরা সেট টপ বক্স না বসালে আর স্যাটেলাইট চ্যানেল দেখতে পারবেন না। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করা হবে। এই সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের সেট টপ বক্স বসাতে হবে। না হলে আর টেলিভিশন দেখতে পারবেন না। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল করা হবে সব বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহরের সঙ্গে পুরোনো ১১টি জেলা শহরের কেবল নেটওয়ার্ক। গতকাল রবিবার (৩১ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-অ্যাটকো এবং ক্যাবল ডিস্ট্রিবিউটর ও অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ড. হাছান বলেন, আমাদের প্রথম সিদ্ধান্ত বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড বাস্তবায়িত হয়েছে। অপরাপর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য আজকের এ বৈঠকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শহরে এবং গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ সব আদি জেলা শহরে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টিভি ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। ক্যাবল অপারেটরদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সময় বাড়ানোর প্রয়োজন নেই, তারা ইতোমধ্যে তাদের প্রান্তে ডিজিটাল-হেড স্থাপন করেছেন, এখন গ্রাহকদের সেট-টপ বক্স নিতে হবে’ জানিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সময়সীমার মধ্যে উল্লিখিত শহরগুলোতে গ্রাহকদের সেট-টপ বক্স না থাকলে টেলিভিশন দেখার ক্ষেত্রে ব্যত্যয় হবে। সহজ কিস্তিতে কম দামে ক্যাবল অপারেটররা গ্রাহকদের সেট-টপ বক্স সরবরাহ করবে। অ্যাটকো প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে সব টেলিভিশন চ্যানেলে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ক্যাবল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম এখনও ডিজিটালাইজ হয়নি, যা দুঃখজনক। ভারত ও নেপালে হয়েছে, আমাদের দেশে এটি করলে সবার জন্যই সুবিধা। গ্রাহকরা আরও ভালোভাবে টেলিভিশন দেখতে পাবেন। দ্বিতীয়ত, ডিজিটাল না হওয়ায় সরকার প্রতি মাসে ১২৫ থেকে দেড়শ’ কোটি টাকার ভ্যাট হারাচ্ছে। ক্যাবল অপারেটররাও গ্রাহকদের কাছ থেকে যতটা পাওয়ার কথা সেটি পায় না। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরও জানান, ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য নীতিমালার খসড়া তৈরি হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। দেখা যাচ্ছে, যেসব চ্যানেল ক্যাবল নেটওয়ার্কে মাধ্যমে ক্লিনফিড ছাড়া দেখা যাচ্ছে না, সেসব চ্যানেল অনেক ক্ষেত্রে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। এটিও আইনের বরখেলাপ। নীতিমালার আলোকে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মকবুল হোসেনের পরিচালনায় এটকো’র সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন, সদস্য আব্দুস সামাদ বাবু, আহমেদ জোবায়ের, হুমায়ুন কবীর বাবলু, ডিস্ট্রিবিউটর প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবুল খায়ের চৌধুরী, অপারেটর প্রতিনিধি এসএম আনোয়ার পারভেজ, সৈয়দ মোশারফ আলী, এবিএম সাইফুল হোসেন, মো: ফখরুদ্দিন মিয়া এবং মো: এনামুল হাফিজ ছোটন সভায় অংশ নেন। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মিজান-উল-আলম, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) খাদিজা বেগম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এমটি