ঢাকা মেডিকেলে ডেঙ্গুতে বেশি মৃত্যু, দ্বিতীয় কুর্মিটোলা

- আপডেট: ০৬:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১০২২৩ বার দেখা হয়েছে
দেশজুড়ে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ছড়িয়ে পড়লেও সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র রাজধানীর বড় হাসপাতালগুলোতেই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একাই মারা গেছেন ৩৩ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আরও ১৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এসব হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে না পারায় মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি হচ্ছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (সিডিসি) শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদ জানান, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে ২০–৩০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি হলেও মৃত্যুর ঘনত্ব রাজধানীর বড় হাসপাতালগুলোতেই বেশি। শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই মারা গেছেন ৩৩ জন রোগী। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন ১৪ জন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুর ডেথ রিভিউ চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১৪টি ডেথ রিভিউ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে দেখা যাচ্ছে, বড় হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।
হালিমুর রশিদ আরও জানান, ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছেন ৫৭ জন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছেন ৭৮ জন। অনেকে ভর্তি হওয়ার সময়েই গুরুতর অবস্থায় থাকেন। এছাড়া মারা যাওয়া রোগীদের প্রায় ৪০ শতাংশের অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগ ছিল।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, আমরা যত ব্যবস্থাপনা নেই, জনগণ সচেতন না হলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তবে স্বীকার করতে হবে, বড় হাসপাতালে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হলে সেবা দেওয়ায় সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে দ্রুত চিকিৎসা জটিল হয়ে পড়ে।
তিনি আরও জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে তবে মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক কম। সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি হচ্ছে।
অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, বড় হাসপাতালে চাপ সামলাতে আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমে আসার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালে পর্যাপ্ত প্লুইড মজুদ রাখা হয়েছে, যাতে চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি না হয়।
ঢাকা/এসএইচ