০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বৈশ্বিক ব্যয় সাড়ে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়াবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪১৭৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বিশ্বজুড়ে চলতি বছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যয় ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে। মূল্যস্ফীতি, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও দক্ষ জনবলের সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা থাকলেও এ ব্যয় বাড়বে। সম্প্রতি এক পূর্বাভাসে এমনটিই জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গার্টনারের গবেষণা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন ডেভিড লাভলক বলেন, চলতি বছর প্রধান তথ্য কর্মকর্তাদের জন্য অন্যতম ব্যস্ত বছর হবে। ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রামানের তারতম্য ও সরবরাহ চেইনের সমস্যা বড় ঘটনা। এর মধ্যে ২০২০ সালের শুরু থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান তথ্য কর্মকর্তারা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তাদের বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। কেননা তারা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তিগত উত্কর্ষের বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ, ক্লাউড কম্পিউটিং, গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা প্রদান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০২২ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও ক্রয় অব্যাহত থাকবে।

দুই বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের হার্ডওয়্যার বাজারে মূল্যস্ফীতির যে প্রভাব বিরাজমান ছিল তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে এ প্রভাব সফটওয়্যার ও সার্ভিসে ছড়িয়ে পড়ছে। এ খাতে দক্ষ কর্মীর সংকট থাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বেশি বেতনে কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছে। ফলে প্রযুক্তি পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মূল্য বাড়াচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে এ খাতের ব্যয় বাড়াতে সাহায্য করছে। চলতি বছর শেষে সফটওয়্যার খাতের ব্যয় ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৬৭ হাজার ৪৯০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি সার্ভিসের ব্যয় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, অবকাঠামো সফটওয়্যার এবং পরিচালিত পরিষেবাগুলোর উত্থান প্রমাণ করে ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে প্রবণতা এক বা দুই বছরের নয়, বরং এটি পদ্ধতিগত ও দীর্ঘমেয়াদি। গার্টনারের আশা, ডিজিটাল ব্যবসায়িক উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে ২০২৩ সাল নাগাদ এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশন ও অবকাঠামো সফটওয়্যার খাতের বিনিয়োগ দুই সংখ্যা ছাড়াবে।

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে স্পেশাল অপারেশন নামে রাশিয়া যে সামরিক আগ্রাসন শুরু করেছে, সেটি বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যয়ে সরাসরি কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা। দক্ষ কর্মী সংকট, সরবরাহ চেইনের সমস্যাসহ বেতনভাতা ও মজুরি নিয়ে যে বিবাদ, চলতি বছর তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান তথ্য কর্মকর্তাদের বাধা দেবে। তবে এটি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিনিয়োগে নেতিবাচক কোনো প্রভাব ফেলবে না।

লাভলক বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান তথ্য কর্মকর্তারা চলতি ও আগামী বছর মূল প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের সক্ষমতা ধরে রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। ২০২২ সালের শুরুতে কভিড-১৯ মহামারীর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে অনেকে বিনিয়োগ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল।

গার্টনারের আইটি স্পেন্ড ফোরকাস্ট ওয়ানকিউ২২ আপডেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বৈশ্বিক ব্যয়ের আরো বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। এ পূর্বাভাস পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ পরিসরে এক হাজারেরও বেশি বিক্রেতার মোট তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য বিক্রি ও পরিষেবার বিশ্লেষণের ওপর নির্ভরশীল।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বৈশ্বিক ব্যয় সাড়ে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়াবে

আপডেট: ০৩:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বিশ্বজুড়ে চলতি বছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যয় ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে। মূল্যস্ফীতি, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও দক্ষ জনবলের সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা থাকলেও এ ব্যয় বাড়বে। সম্প্রতি এক পূর্বাভাসে এমনটিই জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গার্টনারের গবেষণা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন ডেভিড লাভলক বলেন, চলতি বছর প্রধান তথ্য কর্মকর্তাদের জন্য অন্যতম ব্যস্ত বছর হবে। ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রামানের তারতম্য ও সরবরাহ চেইনের সমস্যা বড় ঘটনা। এর মধ্যে ২০২০ সালের শুরু থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান তথ্য কর্মকর্তারা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তাদের বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। কেননা তারা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তিগত উত্কর্ষের বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ, ক্লাউড কম্পিউটিং, গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা প্রদান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০২২ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও ক্রয় অব্যাহত থাকবে।

দুই বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের হার্ডওয়্যার বাজারে মূল্যস্ফীতির যে প্রভাব বিরাজমান ছিল তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে এ প্রভাব সফটওয়্যার ও সার্ভিসে ছড়িয়ে পড়ছে। এ খাতে দক্ষ কর্মীর সংকট থাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বেশি বেতনে কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছে। ফলে প্রযুক্তি পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মূল্য বাড়াচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে এ খাতের ব্যয় বাড়াতে সাহায্য করছে। চলতি বছর শেষে সফটওয়্যার খাতের ব্যয় ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৬৭ হাজার ৪৯০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি সার্ভিসের ব্যয় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, অবকাঠামো সফটওয়্যার এবং পরিচালিত পরিষেবাগুলোর উত্থান প্রমাণ করে ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে প্রবণতা এক বা দুই বছরের নয়, বরং এটি পদ্ধতিগত ও দীর্ঘমেয়াদি। গার্টনারের আশা, ডিজিটাল ব্যবসায়িক উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে ২০২৩ সাল নাগাদ এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশন ও অবকাঠামো সফটওয়্যার খাতের বিনিয়োগ দুই সংখ্যা ছাড়াবে।

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে স্পেশাল অপারেশন নামে রাশিয়া যে সামরিক আগ্রাসন শুরু করেছে, সেটি বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যয়ে সরাসরি কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা। দক্ষ কর্মী সংকট, সরবরাহ চেইনের সমস্যাসহ বেতনভাতা ও মজুরি নিয়ে যে বিবাদ, চলতি বছর তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান তথ্য কর্মকর্তাদের বাধা দেবে। তবে এটি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিনিয়োগে নেতিবাচক কোনো প্রভাব ফেলবে না।

লাভলক বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান তথ্য কর্মকর্তারা চলতি ও আগামী বছর মূল প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের সক্ষমতা ধরে রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। ২০২২ সালের শুরুতে কভিড-১৯ মহামারীর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে অনেকে বিনিয়োগ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল।

গার্টনারের আইটি স্পেন্ড ফোরকাস্ট ওয়ানকিউ২২ আপডেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বৈশ্বিক ব্যয়ের আরো বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। এ পূর্বাভাস পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ পরিসরে এক হাজারেরও বেশি বিক্রেতার মোট তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য বিক্রি ও পরিষেবার বিশ্লেষণের ওপর নির্ভরশীল।

ঢাকা/এসএম