তদারকির অভাব ও কারিগরি দুর্বলতায় নাগরিকদের তথ্য ফাঁস: তদন্ত কমিটি

- আপডেট: ০৩:১৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩
- / ১০৩৭৯ বার দেখা হয়েছে
ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশিত হওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব এপ্লিকেশনের কারিগরি দুর্বলতা মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তাদের ওয়েব এপ্লিকেশন যথাযথভাবে তদারকির অভাব ছিল বলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ গত ৭ জুলাই এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের একটি সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানায়।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
ঘটনা তদন্তে ১০ জুলাই আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির (ডিএসএ) মহাপরিচালককে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ২০ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।
এ প্রতিবেদন নিয়ে আজ সোমবার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামোসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে বসেছেন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশিত হওয়ার কারণ উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদনা বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং তাদের টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে তদন্ত পর্যালোচনা এবং অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে যে, যথাযথ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকবল না থাকায় তাদের ওয়েব এপ্লিকেশনসমূহ যথাযথভাবে তদারকির অভাব দেখা গেছে।
উল্লেখ্য যে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এপ্লিকেশন সিস্টেমে কোন লগ ফাইল সংরক্ষণ হয় না। বলে উক্ত দপ্তর হতে জানানো হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসহ সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে আইসিটি বিষয়ক জ্ঞান সম্পূর্ণ দক্ষ জনবল নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়
এ ছাড়া বিদ্যমান ওয়েব এপ্লিকেশনটির সফটওয়্যার আর্কিটেকচার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)-এর সফটওয়্যার কোয়ালিটি টেস্টিং এন্ড সার্টিফিকেশন সেন্টার (SQTC) এবং বিসিসির বিএনডিএ সদস্যদের সমন্বয়ে পরীক্ষা করা।
ভবিষ্যতে কোন দপ্তরে উক্তরূপ ঘটনার পুনারাবৃত্তি এড়াতে কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার (বিএনডিএ) নির্দেশিকা এবং সংশ্লিষ্ট স্ট্যান্ডার্ডস ও গাইডলাইন অনুসরণ করে যেকোন ধরনের সিস্টেম/সফটওয়্যার/ওয়েব এপ্লিকেশন প্রস্তুত করা।
ঢাকা/এসএ