০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

তামাকপণ্যে কর ও মূল্যবৃদ্ধির আহ্বান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৫৫ বার দেখা হয়েছে

তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপসহ মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স-আত্মা। মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট সভায় এই দাবি জানিয়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠনটি।

সভায় আত্মার পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাবি বাস্তবায়ন করা হলে প্রায় আট লাখ অকাল মৃত্যু রোধ হবে এবং তিন হাজার ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিগারেটের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে প্রায় একই রকম রয়েছে।

করের ভিত্তি এবং করহার খুবই কম হওয়ায় সিগারেট, বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য (জর্দা ও গুল) অধিক সহজলভ্য থেকে যাচ্ছে। দেশের বর্তমান তামাক কর অত্যন্ত জটিল, যা মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণে যথেষ্ট নয়।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

ফলে বিদ্যমান তামাক কর ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারছে না।

বাংলাদেশে এখনো প্রায় তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করেন, ধূমপান না করেও প্রায় তিন কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বিভিন্ন পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন (গ্যাটস ২০১৭)।

তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লাখ ২৬ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

তামাকের দাম বেশি হলে তরুণ জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার শুরু করতে নিরুৎসাহিত হয় এবং তামাকাসক্তরাও বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠী তামাক ছাড়তে উৎসাহিত হয়।

সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য তামাক-কর বিষয়ক বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন এবং এনবিআর এর নিকট হস্তান্তর করা হয়। সভায় এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নীতি) মো. মাসুদ সাদিক বলেন, ‘বাজেট প্রণয়নে আত্মার প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।’

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এএ

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

তামাকপণ্যে কর ও মূল্যবৃদ্ধির আহ্বান

আপডেট: ০৭:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১

তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপসহ মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স-আত্মা। মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট সভায় এই দাবি জানিয়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠনটি।

সভায় আত্মার পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাবি বাস্তবায়ন করা হলে প্রায় আট লাখ অকাল মৃত্যু রোধ হবে এবং তিন হাজার ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিগারেটের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে প্রায় একই রকম রয়েছে।

করের ভিত্তি এবং করহার খুবই কম হওয়ায় সিগারেট, বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য (জর্দা ও গুল) অধিক সহজলভ্য থেকে যাচ্ছে। দেশের বর্তমান তামাক কর অত্যন্ত জটিল, যা মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণে যথেষ্ট নয়।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

ফলে বিদ্যমান তামাক কর ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারছে না।

বাংলাদেশে এখনো প্রায় তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করেন, ধূমপান না করেও প্রায় তিন কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বিভিন্ন পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন (গ্যাটস ২০১৭)।

তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লাখ ২৬ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

তামাকের দাম বেশি হলে তরুণ জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার শুরু করতে নিরুৎসাহিত হয় এবং তামাকাসক্তরাও বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠী তামাক ছাড়তে উৎসাহিত হয়।

সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য তামাক-কর বিষয়ক বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন এবং এনবিআর এর নিকট হস্তান্তর করা হয়। সভায় এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নীতি) মো. মাসুদ সাদিক বলেন, ‘বাজেট প্রণয়নে আত্মার প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।’

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এএ

 

আরও পড়ুন: